বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতারের সুযোগ রেখে সাইবার বিল চূড়ান্ত
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৭:১৯:০৯ অপরাহ্ন

ডাক ডেস্ক : সাইবার নিরাপত্তা বিল থেকে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট বাদ দেওয়াসহ কিছু বিষয় সংশোধন করা হলেও বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার ও তল্লাশির সুযোগ থাকছেই। তবে সংশোধন করা বিষয়গুলো মূলত শব্দগত পরিবর্তন। এর বাইরে বিলের একটি ধারা বাদ দেওয়া হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সাইবার নিরাপত্তা বিলের কয়েকটি ধারা সংশোধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে সাংবাদিকদের কয়েকটি সংগঠনের নেতারা বিশেষ আমন্ত্রণে উপস্থিত থেকে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেফতারের ক্ষমতা বাতিলের দাবি জানান। তবে কমিটি এই ধারা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৪৩ ধারায় এই বিধান ছিল, এখন সাইবার নিরাপত্তা বিলের ৪২ ধারায় এই বিধান যুক্ত করা হয়েছে। দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে সরকার বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করতে যাচ্ছে। গত মঙ্গলবার সাইবার নিরাপত্তা বিল সংসদে তোলা হয়। এর পর বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের পরদিন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, বিলটি সংসদীয় কমিটিতে গেলে সেখানে অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বৈঠকে সংসদীয় কমিটির আমন্ত্রণে শুধু সাংবাদিকদের কয়েকটি সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাদের সবাই কমিটির সিদ্ধান্তে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হননি।
বৈঠকে অংশ নেওয়া সংশ্লিষ্টরা জানান, বিলের ২১ ধারায় শব্দগত পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রোপাগান্ডা ও প্রচারণা-সংক্রান্ত অপরাধের কথা বলা আছে। এখানে ‘প্রোপাগান্ডা ও প্রচারণার’ বদলে ‘বিদ্বেষ, বিভ্রান্তি ও কুৎসামূলক প্রচারণা’ প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে বিলের ৩২ ধারা বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই ধারায় অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট যুক্ত করা হয়েছিল। ডিজিটাল মাধ্যমে কেউ অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টভুক্ত অপরাধ করলে তার সাজার বিধান করতে এটি যুক্ত করা হয়েছিল।
বিলের ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া আছে পুলিশকে। এটি বাদ দেওয়ার দাবি ছিল সাংবাদিকদের। তবে, তা কিছুটা সংশোধন করে বহাল রাখা হচ্ছে। এতে সংশোধনী এনে বলা হচ্ছে, এই ধারায় পুলিশ পরিদর্শক পর্যায়ের কর্মকর্তা বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেফতার করতে পারবেন। আগে সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কর্মকর্তার কথা ছিল।