দোয়ারাবাজারের খাসিয়ামারা সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ ৮ মাস ধরে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৫:২৩:২১ অপরাহ্ন
তাজুল ইসলাম, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) থেকে : সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে আটমাস ধরে নির্মাণকাজ বন্ধ থাকায় সাক্ষী গোপাল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে খাসিয়ামারা সেতুর পিলারগুলো। ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন উপজেলার সুরমা ও লক্ষীপুর ইউনিয়নের অর্ধলক্ষ মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অনুমোদন পায় বহুল প্রত্যাশিত খাসিয়ামারা সেতু। পরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে ৫শ’ মিটার চেইনেজে ৭৫ মিটার পিসি গার্ডারের ওই সেতুর নির্মাণবরাদ্দ ধরা হয় ৪ কোটি ২৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। এরপর ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর-টেংরাটিলা খেয়াঘাটে খাসিয়ামারা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এমপি মানিক। পরে টানা কয়েক মাস পর সেতুর পিলারের চলমান নির্মাণকাজ থমকে যায় গত আটমাস আগে।
স্থানীয় আলীপুর গ্রামের মৎস্যচাষী আব্দুর রহিম বলেন, ‘সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়াতে কৃষিপণ্য, মাছের খাদ্যসহ বিভিন্ন মালামাল পরিবহনে বাড়তি টাকা ও সময়ের অপচয় হচ্ছে।’ একই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ূন কবির বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু ঠিকাদারের খামখেয়ালিতে নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। দ্রুত সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করার দাবি জানাই।’
নূরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহম্মদ মশিউর রহমান বলেন, ‘এখন নদীতে প্রবল ¯্রােত, সেতুর কাজ শেষ না হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পারাপার হচ্ছে।’
জানতে চাইলে ঠিকাদার শংকর কুমার দেব বলেন, ‘ইচ্ছে করেই কাজ বন্ধ রেখেছি। এই সেতুর কাজে আমাকে লোকসান গুণতে হচ্ছে। রড সিমেন্টের দাম বৃদ্ধি ছাড়াও সড়কপথে মালামাল পরিবহনে ব্যয় বেশি। সপ্তাহ নাগাদ নদীপথে মালামাল এনে সেতুর কাজ শুরু করব।’
উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, ‘খাসিয়ামারা সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত শুরু করতে ঠিকাদারকে বলেছি। এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যের সাথেও কথা হয়েছে। আশা করি খুব শিগগির কাজ শুরু হয়ে যাবে।’