রাজনীতির রাক্ষসের দেশ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২:১৭:০৬ অপরাহ্ন
অ্যাডভোকেট আনসার খান
ড্যানিয়েল ওর্তেগা, নিকারাগুয়ার কৌডিলো বা নিকারাগুয়ান ‘রাজনীতির রাক্ষস’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। সময়ের বিবর্তনের সাথে-সাথে নিকারাগুয়ার জনগণ একটি জঘন্যতম একনায়ক ও সর্বগ্রাসী শাসকের মুখোমুখি হয়েছেন। শান্তিকামী জনগণের কথা, মার্কসবাদী-লেনিনবাদী শাসন যদি, হয় জনগণের জীবনকে শৃঙ্খলিত করা, মৌলিক মানবাধিকার বঞ্চিত করে রাখা, তবে সে-ধরনের কোনো আদর্শবাদী নামের কোনো অপশাসনের দরকার নেই নিকারাগুয়ানদের।
বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের নিকট অতি সুপরিচিত মার্কসবাদী-লেনিনবাদী নেতা হয়ে ওঠা ওর্তেগা ছিলেন নিকারাগুয়ার, ‘স্যান্ডিনিস্তা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট বা এফএসএলএন, নামক মার্কসবাদী-লেনিনবাদী সংগঠনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা। এই সংগঠনের নেতৃত্বে পরিচালিত বিপ্লবী সংগ্রামের মাধ্যমেই ১৯৭৯ সালের জুলাইয়ে নিকারাগুয়ার জঘন্য সর্বাত্মকবাদী শাসক পরিবার ‘সামোজা পরিবারের’ দীর্ঘ তেতাল্লিশ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে স্যান্ডিনিস্তারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে সাম্যবাদী মতাদর্শের একটি সমাজবাদী শাসনের সূচনা করেছিলো নিকারাগুয়ায়। কিন্তু স্যান্ডিনিস্তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক নির্যাতন, গুম, খুন ও গণহত্যাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের শত-শত অভিযোগ উঠেছিলো।
স্যান্ডিনিস্তা সংগঠনের নেতা হিসেবে ১৯৮৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ড্যানিয়েল ওর্তেগা নিকারাগুয়ার শাসকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। একজন বিপ্লবী নেতা হিসেবে ওর্তেগার শাসনের ওপর নিকারাগুয়ার জনগণ ভরসা রেখেছিলেন এবং স্যান্ডিনিস্তরা দাবিও করেছিলেন, তাদের শাসন, একটি মার্কসবাদী-লেনিনবাদী আদর্শে পরিচালিত শাসন হবে, যেখানে জনগণের আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত হবে। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে জনগণের নিকট উপলব্ধি হয়েছে যে, এটি একটি সর্বগ্রাসী স্বৈরাচারী শাসন- যেখানে নাৎসি জার্মানী ও সাবেক সোভিয়েত স্বৈরাচারী শাসনের অসংখ্য সাদৃশ্য রয়েছে।
যেমন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা স্ট্যালিনের উদাহরণ টেনে নিকারাগুয়ার অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেছেন, স্ট্যালিন যেভাবে সোভিয়েত ইউনিয়নের রাষ্ট্রক্ষমতার ওপর নিজের একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য তার বিরোধীদের ওপর তীব্র দমননীতি পরিচালনা করে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছিলেন, যেটিকে গণহত্যার সঙ্গে তুলনা করা হয়, তাকে একজন কসাইয়ের সাথে তুলনা করে তার সমালোচকরা বলেছিলেন, তার লৌহকঠিন শৃঙ্খলা, অসহিষ্ণুতা, নির্মম দমননীতি, বাকস্বাধীনতাহীন সমাজ, ভিন্নমতের বিরুদ্ধে মাছি তাড়াবার জন্য কামান দাগানোর মতো ঘটনার নীতি দেশটির রাজনৈতিক বহুত্ববাদকে ধ্বংস করে স্ট্যালিনকে এককভাবে ক্ষমতায়িত করেছিলো, ঠিক একই কায়দায় ড্যানিয়েল ওর্তেগা নিকারাগুয়ায় ভিন্নমতের প্রতি তীব্র ও নির্মম দমননীতি পরিচালনা করে রাষ্ট্রীয় সকল ক্ষমতা তার নিজের এবং নিজের পরিবারের হাতে একীভূত করেছেন, এবং দেশটির রাজনৈতিক বহুত্ববাদীতাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। রাজনৈতিক দার্শনিকরা ওর্তেগার শাসনকে ‘অরওয়েলিয়ান’ সামাজিক অবস্থা বলে বর্ণনা করেছেন, যে সামাজিক ব্যবস্থা একটি ‘মুক্ত এবং উম্মুক্ত’ সমাজব্যবস্থার জন্য ধ্বংসাত্মক। এই ব্যবস্থা, প্রচার, নজরদারি, বিভ্রান্তি, সত্য অস্বীকার সহ কঠোর নিয়ন্ত্রণের এবং একটি নৃশংস নীতিকে নির্দেশ করে, যা সমাজকে ভীতিকর করে তোলে, সমাজের মানুষের ওপর সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ এবং যারা সরকারের মূল্যবোধ মেনে চলে না বা মানবে না, তাদেরকে খূন, গুমের মাধ্যমে সরিয়ে দেবে, তেমন সমাজকেই বোঝায়।
ওর্তেগার একসময়ের সহযোদ্ধা কমরেড ডোরা মারিয়া টেলেজ, ওর্তেগার সাথে যার তীব্র মতানৈক্য হয়েছে, তিনি বলেছেন, নিকারাগুয়া- ‘এখন শূণ্য গণতন্ত্র, সম্পূর্ণরূপে দূর্নীতিগ্রস্ত, একটি শাসনব্যবস্থা, যা শুধুমাত্র দমন-পীড়ন ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে বহাল আছে।’
ওর্তেগা তার দল, সরকারের নির্বাহী শাখা, আইনসভা, বিচার বিভাগ, নির্বাচন, পুলিশ, জাতীয় সশস্ত্রবাহিনী এবং গণমাধ্যম ইত্যাদির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর সম্পূর্ণ নিজস্ব ব্যক্তিগত নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে তিনি তার স্ত্রী ও সন্তানদের ঘিরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার চরম কেন্দ্রীভবন করেছেন।
বর্তমানে ওর্তেগা নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট এবং তার স্ত্রী রোজারিও মুরিলো ভাইস প্রেসিডেন্ট। তাদের সন্তানদেরও গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব দিয়েছেন। তাদের নয়জন সন্তানের মধ্যে ৮-জনকেই প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা করেছেন এবং তারা রাষ্ট্রের টেলিভিশন চ্যানেল, গণমাধ্যম, বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোর তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ করেন এবং রাষ্ট্রের লাভজনক তেল বিতরণ ব্যবসা এবং আন্তঃরাষ্ট্রীয় তেল চুক্তি পরিচালনা করেন এবং এসব থেকে ওর্তেগার পরিবার উপকৃত হন।
বিশ্লেষকরা বলেন, ওর্তেগার পরিবার রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে পরিবারের জন্য সম্পদের পাহাড় গড়ে তোললেও, দেশটি পশ্চিম গোলার্ধের একটি দরিদ্রতম দেশই রয়ে গেছে। ওর্তেগা তার বিপ্লবী শেকড়ের খোলস ত্যাগ করে বিরোধী দল ও বিরোধী মতকে নির্মূল করে তার পরিবার ও সহযোগিদের সমৃদ্ধ করার সাথে-সাথে দেশটির সকল প্রতিষ্ঠান এবং অর্থনীতির ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ সুসংহত করে কর্তৃত্ববাদী স্বৈরতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত, মার্কসবাদী-লেনিনবাদী মতাদর্শের আড়ালে এখানে একটি ইউটোপিয়ান মতাদর্শ বিদ্যমান রয়েছে- একটি গোপন রাজনৈতিক পুলিশ, একটি একক স্বৈরাচারী রাজনৈতিক দল, রয়েছেন একজন একক নেতা, যার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই বা থাকলেও তাদের কারারুদ্ধ করেছে, বা দেশ থেকে নির্বাসিত করেছে। এখানে অবরুদ্ধ গণমাধ্যম, মুক্ত সাংবাদিকতার উপর রয়েছে নিষেধাজ্ঞা, নাগরিক সমাজের সমস্ত ক্ষেত্রেই শাসকের কঠোর নিয়ন্ত্রণ, গণমানুষের মতপ্রকাশের অধিকারহীনতা, গণতান্ত্রিক ও মৌলিক মানবাধিকারহীনতা, নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকারহীনতা সহ নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা।
সমাজতান্ত্রিক আদর্শের বিপরীতে স্যান্ডিনিস্তা শাসক-একটি ইউটোপিয়ান মতাদর্শকে মেনে চলে, একটি বিস্তৃত অংশ, যেমন সেনা-পুলিশ নেক্সাস তৈরি করে রেখেছে এবং পুলিশের সঙ্গে রয়েছে ‘সশস্ত্র সরকার সমর্থক বেসামরিক ব্যক্তিদের দল‘ যারা পুলিশের সঙ্গে থেকে সরকার বিরোধীদের দমন ও নির্মূলের কাজে পুলিশকে সহযোগিতা করে এবং এরাই নিকারাগুয়ার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অনুপ্রবেশ করে সমাজের উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে, যাতে শাসকদের একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পথে জনগণ শাসকের বিরুদ্ধে অবস্থান না নিতে পারে। মোটকথা, সর্বগ্রাসীবাদের সব শর্ত পূরণ করে দেশ শাসন করছেন ওর্তেগা এবং তিনি বাকী জীবন ক্ষমতায় থাকার পাশাপাশি নিকারাগুয়ায় ‘রাজনৈতিক রাজবংশ’ প্রতিষ্ঠার দিকে পরিচালিত হয়েছেন, যেখানে তার অবর্তমানে তার স্ত্রী মুরিলো উত্তরাধিকার হিসেবে রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবেন বলে বিশ্লেষকদের অভিমত। তাদের রাজবংশ প্রতিষ্ঠার পথকে কন্ঠকমুক্ত রাখার জন্য ওর্তেগা ও মুরিলো, সোভিয়েতের স্ট্যালিনের ন্যায়, নিকারাগুয়ার সুশীল সমাজকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করেছেন এবং তাদের প্রাক্তণ সব সহযোদ্ধা, যারা ওর্তেগার প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে হয়েছে, সে-সব কমরেডদের হত্যা করেছেন, কারারুদ্ধ করেছেন অথবা নির্বাসিত করেছেন। জাভিয়ের আলভারেজের মতো সুপরিচিত ভিন্নমতাবলম্বীদের পরিবারের সদস্যদের ওপর হিংসাত্মক আক্রমণ পরিচালনা করেছেন, নির্বাসিত করেছেন। ওর্তেগার দমন-পীড়নে ব্যবহৃত গোপন পুলিশ, সহিংস কারাগারের ব্যাপক ব্যবহার, ধর্মীয় নিপীড়ন, জালিয়াতির নির্বাচন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গণহত্যা, বড় আকারের সেন্সরশীপ, গণ-নজরদারীর ব্যবস্থা, মানুষের অস্তিত্বহীন স্বাধীনতা এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে একটি ভীতিকর শাসন কায়েম করেছেন এবং এভাবে ওর্তেগার প্রতিহিংসার দাবানলে জ্বলেপুরে দেশ থেকে নির্বাসিত হয়েছেন হাজারে-হাজারে ভিন্নমতাবলম্বীগণ এবং ফলে নিকারাগুয়ানরা ক্রমবর্ধমানভাবে নির্বাসিত একটি দেশে পরিণত হওয়ার সাথে-সাথে একটি জঘন্যতম একনায়ক, স্বৈরাচারী ও কর্তৃত্ববাদী শাসনের মুখোমুখি হয়েছেন।
নিকারাগুয়ানরা ভয় পান যে, ওর্তেগা অত্যন্ত বিপজ্জনক, দূর্নীতিগ্রস্থ এবং চরম স্বৈরাচারী শাসক হয়ে উঠেছেন এবং তিনি তার বিপ্লবী আদর্শ থেকে সরে গেছেন, তিনি যে স্বৈরাচারী শাসক আনাস্তাসিও সোমোজাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করেছিলেন, গণমানুষের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক মুক্তির কথা বলে, তিনি সেই আদর্শ থেকে সরে গেছেন এবং বলতে গেলে তিনি এখন- ‘সামোজার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ’ হয়ে উঠেছেন। নিকারাগুয়ান সমাজবিজ্ঞানী অস্কার রেনে ভার্গাস বলেছেন, ওর্তেগা ও তার স্ত্রী ২০১৮ সালেই- ‘রাস্তা হারিয়েছেন।’ তারা,- ‘একমাত্র শক্তির দিকে ফিরেছে, যা তারা রেখেছে, -সামরিক, পুলিশ, আমলাতন্ত্র এবং আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে একটি জোট।’ তারা দেশে একটি ভীতিকর পরিবেশ ও শাসন তৈরি করেছে, যেখানে স্বাধীন মানুষের জীবন বিপন্ন, -বলেছেন রেনে ভার্গাস।
ভার্গাস মনে করেন, মানাগুয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বন্ধ দরজার পেছনে যে সমীকরণটি তৈরি করেছে তা সহজ- ‘ক্ষমতা বা মৃত্যু।’ তবে আমি এটি নিশ্চিত যে, তারা ১৯৮৯ সালের ডিসেম্বরে রোমানিয়ার তৎকালীন স্বৈরশাসক নিকোলাই চওশেস্কোর প্রকাশ্য মৃত্যুদন্ডের দৃশ্যটি ভূলে যায়নি। তারা তাই ‘চওশেস্কোর মতো শেষ হতে ভয় পায়।’
কবি ও লেখক জিওকোন্ডা বেলি বলেছেন আরেকটি অভিজ্ঞতা; ওর্তেগাকে ১৯৯০ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের কথা মনে করিয়ে দেয়, ক্ষমতা পূণরায় ফিরে পেতে তার প্রায় দুই দশক লেগেছিলো। তাই এখন তিনি যেকোনো মূল্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে দৃঢ় সংকল্প ও বদ্ধপরিকর।
ওর্তেগার ক্ষমতার উচ্চাকাক্সক্ষা আরও তীব্র হয়েছে এবং এই উচ্চাকাক্সক্ষাই একজন পুরানো বিপ্লবীকে বিশ্বের অন্যান্য স্বৈরাচারী শাসকের ন্যায় ‘চরম কর্তৃত্ববাদী স্বৈরশাসক’ রূপে রূপান্তরিত করেছে। এরা ক্ষমতার ধারাবাহিকতা এবং উন্নয়নের কথা বলে, ক্ষমতার চিরস্থায়ীত্ব কামনা করে তীব্র দমননীতির আশ্রয়ে আরও আরও ক্ষমতা চায় এবং ক্ষমতা চাওয়ার অধিক আকাঙ্ক্ষাই ওইসব কর্তৃত্ববাদী স্বৈরশাসকদের শেষপর্যন্ত নির্মম ‘মৃত্যুদন্ডের রশির মুখোমুখি’ করে।
এটিই বোধহয় মার্কসবাদী-লেনিনবাদী আদর্শের নামে, তথাকথিত সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার নামে জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া চরম কর্তৃত্ববাদী শাসনের হোতা, বিপ্লবী নেতা ও শাসকদের শেষ করুণ পরিণতি হিসেবে ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকে। নিকারাগুয়ার ওর্তেগা শাসনের পরিণতি কী তেমনটাই হবে।
সূত্র : ওপেন ডেমোক্রেসি, জার্নাল অব ডেমোক্রেসি, দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি নিউজ, ইএল পাইস, অরিজিন অব টোটাললিটারিয়ানিজম, দ্য ডায়ালগ, মধ্য আমেরিকায় গোপন যুদ্ধ, ট্রুথআউট, সিবিসি নিউজ।
লেখক : আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষক।