বড়লেখায় ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীকে ফাঁসাতে দিনমজুর খুন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২:৪৮:২৮ অপরাহ্ন
![বড়লেখায় ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীকে ফাঁসাতে দিনমজুর খুন বড়লেখায় ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীকে ফাঁসাতে দিনমজুর খুন](https://sylheterdak.com.bd/wp-content/uploads/2021/01/sylheterdak-5-768x406.jpg)
আটক ৫ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ
বড়লেখা (মৌলভীবাজার) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : এক ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীকে ফাঁসাতে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় দিনমজুর রিয়াজ উদ্দিনকে (২৫) নৃশংসভাবে খুন করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি সিরাজুল ইসলাম ওরফে ইমন গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে এমন তথ্য দিয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে ইমনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বড়লেখা থানা পুলিশ আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত পাঁচজন হলেন- আজমিরীগঞ্জের সিরাজুল ইসলাম ওরফে ইমন (৩২), মো. আলমগীর মিয়া (২৮), মো. শাহ আলী (৪০), মো. আসাবুল (২১) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের মো. হুমায়ুন (৩১)। তারা সকলে বড়লেখায় ভাঙ্গারি ব্যবসার সাথে যুক্ত।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৫ জনকে গত শনিবার বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. মাসুদ পারভেজ আদালতের মাধ্যমে মৌলভীবাজার কারাগারে পাঠিয়েছেন।
বড়লেখা থানার ওসি মো. ইয়ারদৌস হাসান জানান, ‘ঘটনার পরপরই প্রধান আসামি সিরাজুল ইসলাম ওরফে ইমন পালিয়ে ঢাকায় চলে যায়। র্যাবের সহযোগিতায় তাকে ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করে বড়লেখায় আনা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে ঘটনায় জড়িত আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ব্যবসায়ীক প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। তবে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ দোহালিয়া গ্রামের মৃত ফরিদ আলীর ছেলে রিয়াজ উদ্দিন (২৫) রাজমিস্ত্রীর কাজসহ দিনমজুরির কাজ করে স্ত্রী ও মা সহ জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে ভাঙ্গারির দোকানে বস্তা উঠানোর কাজ আছে বলে রতুলী বাজারের উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ি থেকে বের হন। রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। পরদিন বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুলাউড়া-চান্দগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের মাধবছড়া ব্রিজের প্রায় ১৫০ গজ পশ্চিম দিকে ছড়ার তীরের কৃষিজমিতে স্থানীয় কৃষকরা অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে বড়লেখা থানার ওসি মো. ইয়াবদৌস হাসান, সেকেন্ড অফিসার এসআই হাবিবুর রহমান, স্থানীয় দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান আজির উদ্দিন, প্যানেল চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলামসহ জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করেন। পরে খবর পেয়ে নিহতের মা খনাবি বেগম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছেলের লাশ শনাক্ত করেন। এই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের মা খনাবি বেগম।