“আসদ খাল লক্ষ্মীপাশা-লক্ষণাবন্দ” উপ প্রকল্পের ত্রিপক্ষীয় বাস্তবায়ন চুক্তিস্বাক্ষর
প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন —-নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯:০২:২৮ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশজুড়ে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রগতির সব সূচকে যুগান্তকারী মাইলফলক স্পষ্ট করেছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বসভায় উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামাজিক এবং যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণের মধ্য দিয়ে ইতোমধ্যে যোগাযোগ খাতে রীতিমতো বিপ্লব হয়েছে। আজকের প্রকল্পের চুক্তির মাধ্যমে যে উন্নয়ন হবে গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের জনগণ উপকৃত হবেন।
তিনি গতকাল সোমবার বিকেল ৩টায় গোলাপগঞ্জ উপজেলার ৪নং লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সিলেটের বাস্তবায়নে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীন ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর আওতায় জাপান সরকারের আর্থিক সহায়তায় সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলাধীন “আসদ খাল লক্ষ্মীপাশা-লক্ষণাবন্দ” উপ প্রকল্পের (এসপি নং-৭৫১২১) ত্রিপক্ষীয় বাস্তবায়ন চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মাহতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও এলজিইডি গোলাপগঞ্জ উপজেলার প্রকৌশলী মো: মাহমুদুল হাসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এলজিইডি সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী কে. এম. ফারুক হোসেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার মৌসুমী মান্নান, আইডিএস সিলেট বিভাগের মো: হাবিবুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাশরেফুল আলম প্রমুখ।
প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপাশা ও লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের ৩০০ হেক্টর জমি আগাম বন্যা ও খড়া মৌসুমে পানির অভাব থেকে পরিত্রাণ পাবে এবং কৃষিকাজ বৃদ্ধি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নের ফলে দুটি ইউনিয়নের ৩১৩টি পরিবার উপকৃত হবে। প্রায় পৌনে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি রেগুলেটর, ৩টি আউটলেট, পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির জন্য ১টি অফিস ঘর নির্মাণ, ২ কিলোমিটার খাল পুনঃ খনন, ৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে প্রায় তিন হাজার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপির উপস্থিতিতে এলজিইডি, পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে উপ-প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।