সিলেটে বিইআই’র সংলাপে বক্তারা
মানুষ দেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায়
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯:০৬:৩২ অপরাহ্ন
আসন্ন নির্বাচনেই আগামীর বাংলাদেশের পথরেখা নির্ধারিত হবে ॥ হুমায়ুন কবির
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটে গতকাল সোমবার আয়োজিত নাগরিক সংলাপে বক্তারা বলেছেন, মানুষ এদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায়। নির্বাচন নিয়ে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল সমূহের বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে সাধারণ মানুষ যাতে দুর্ভোগে না পড়ে-সে বিষয়টির প্রতিও খেয়াল রাখার তাগিদ তাদের।
সিলেটের একটি অভিজাত হোটেলে বাংলাদেশ এন্টার প্রাইজ ইন্সটিটিউটের (বিইআই) আয়োজনে এবং ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইন্সটিটিউটের সহযোগিতায় আয়োজিত সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। সংলাপের শিরোনাম ছিল-‘দ্বৈত উত্তরণঃ নির্বাচন ও উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় আসন্ন উত্তরণ জনপ্রত্যাশা ও অংশীজনের দায়িত্ব”। সংলাপের সঞ্চালনায় ছিলেন-বাংলাদেশ এন্টার প্রাইজ ইন্সটিটিউটের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির। সংলাপে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয়পার্টি ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দও বক্তব্য রাখেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনেই আগামীর বাংলাদেশের পথরেখা নির্ধারিত হবে। এজন্য প্রয়োজন শক্তিশালী বৈধতা সম্পন্ন সুষ্ঠু ও সকল দলের অংশগ্রহণের একটি নির্বাচন। কারণ সকলের অংশগ্রহণ থাকলেই কেবল নির্বাচন অর্থবহ হতে পারে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আমাদেরকে অবশ্যই শান্তিপূর্ণভাবে একটি সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে। আর তাই সকল রাজনৈতিক দলকে এক টেবিলে বসার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে আমাদের যেকোনো সংঘাত এড়িয়ে যেতে হবে এবং একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য।
সংলাপে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আশফাক আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসাইন, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, সুজন সিলেট চ্যাপ্টারের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক আ.র.ম রেনু, সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আলহাজ্ব সাব্বির আহমদ, ব্লাস্ট-এর কোঅর্ডিনেটর এডভোকেট ইরফানুজ্জামান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল আলম রুহেল, এডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী, সিলেট উইমেন্স চেম্বারের সভাপতি স্বর্ণলতা রায়, সনাক সিলেটের সভাপতি সমিক শহীদ জাহান, আকবেট-এর কোঅর্ডিনেটর আসাদুজ্জামান সায়েম, বাসদ জেলা শাখার আহ্বায়ক আবু জাফর, জাসদ সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কে এ কিবরিয়া চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহমুদুল হাসান, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের ব্যুরো প্রধান শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেল, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক আহবাব মোস্তফা খান, সাবেক পাঠাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক খালেদ আহমদ, প্রথম আলোর সিলেট প্রতিনিধি মানাউবি সিংহ, জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির চৌধুরী, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাছান, সদস্য মনীষা ওয়াহিদ ও তপন চৌধুরী, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ব্রজ গোপাল চৌধুরী প্রমুখ।
সংলাপে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পর বিগত ৫২ বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়েছে। অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি মাথাপিছু আয় এবং মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। তবে, দেশে দুর্নীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।
বক্তারা বলেন, আঞ্চলিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সিলেট এখনো পিছিয়ে আছে। বিশেষ করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সিলেটের পশ্চাদপদতা রয়েছে। সরকারি চাকুরিতেও এ অঞ্চলে বিপুল সংখ্যক পদ শূন্য রয়েছে। এ অবস্থা হতে উত্তরণে সকলকে একযোগে কাজ করার তাগিদ দেন তারা।