এইডস প্রসঙ্গ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১:৪১:৫১ অপরাহ্ন
মোছা. সানোয়ারা বেগম
AIDS হচ্ছে Acquired Immune Deficiency Syndrome এই চারটি ইংরেজী শব্দের প্রতিটির প্রথম অক্ষর নিয়ে এ রোগের নামকরণ করা হয়েছে। মরণব্যাধি এইচআইভি নামক ভাইরাসের আক্রমণে এইডস রোগ হয়। আজ পর্যন্ত বিশ্বের কোন দেশে এইডস রোগের ঔষধ আবিস্কার হয় নাই। মূলত তিনটি প্রধান মাধ্যমে এইচআইভি ভাইরাস মানব শরীরে প্রবেশ করে। যেমন- ব্লাড টু ব্লাড, মাদার টু চাইল্ড এন্ড আনপ্রটেকটেড সেক্স।
এইচআইভি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কোন মানুষের রক্ত যদি কোন সুস্থ মানুষের শরীরে প্রবেশ করানো হয়, তখন এই সুস্থ ব্যক্তির শরীরে রক্তের মাধ্যমে ভাইরাস প্রবেশ করে এবং ধীরে ধীরে এইডস রোগ হয়। এছাড়া এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত কোন মা যদি তার গর্ভের সন্তানকে বুকের দুধ পান করান তবে মা থেকে তার সন্তানের শরীরে সেই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। অনিরাপদ যৌন মিলনের ফলেও সেই ভাইরাস মানব শরীরে প্রবেশ করে। এ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কোন পুরুষ বা মহিলা যদি কোন সুস্থ মানুষের সাথে অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে তবে এই সুস্থ মানুষটির শরীরে এইচআইভি ভাইরাস প্রবেশ করে এবং ধীরে ধীরে অওউঝ রোগ হয়। এ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার করা সুঁচ, সিরিঞ্জ জীবানুমুক্ত না করে ব্যবহার করলে তা ছড়াতে পারে।
এইডস রোগের লক্ষণ সমূহ :
ক্স রোগীর দেহের ওজন ধীরে ধীরে কমে যায়। ক্স রোগীর শরীরে একটানা জ্বর থাকে। ক্স রোগী সহজেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। ক্স ঘাড় বা বগলে ব্যথা হয়। ক্স অনেক দিন পর্যন্ত শুকনো কাশি থাকে।
উল্লেখিত লক্ষণ থাকলেই রোগীর এইডস হয়েছে বলা যাবে না। কারণ শুধুমাত্র রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই নিশ্চিত ভাবে জানা যায় রোগীর এইডস রোগ হয়েছে কিনা।
এইডস রোগ প্রতিরোধের উপায় :
(১) ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে এইডস রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। (২) প্রয়োজনের সময় জীবানুমুক্ত সুচ, সিরিঞ্জ ব্যবহার করে। (৩) শরীরে রক্ত নেয়ার প্রয়োজন হলে পরীক্ষিত রক্ত গ্রহণের মাধ্যমে।
সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে শিক্ষক মহোদয়গণের শিক্ষকতার পাশাপাশি এইডস রোগ প্রতিরোধে এগিয়ে আসা উচিত। দেশ জাতি ও বিশ্বকে মরণব্যাধি এইডস মুক্ত রাখতে যদি সকল সচেতন মানুষ স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসেন তবে ধীরে ধীরে মরণব্যাধি এইডস রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
লেখক : সহকারী শিক্ষক, মাটিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দিরাই।