অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত
সিলেট পরিবার পরিকল্পনা অফিসের সাবেক উচ্চমান সহকারীর বেতন গ্রেড অবনমন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৫:২৮:৪৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: অসদাচরণ ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত পরিবার পরিকল্পনা সিলেট জেলা অফিসের সাবেক উচ্চমান সহকারী বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত মো. দেলোয়ার হোসেনের বেতন গ্রেড অবনমন করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে আহরিত ১৩ তম গ্রেড হতে ১৪তম বেতন গ্রেডের প্রারম্ভিক ধাপের বেতন প্রাপ্ত হবেন। গত মঙ্গলবার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব ও পরিচালক (প্রশাসন) এ এইচ এম লোকমান স্বাক্ষরিত এক দাপ্তরিক আদেশে এই তথ্য জানানো হয়। আদেশ জারির দিন থেকেই এই আদেশ কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়। মো. দেলোয়ার হোসেনকে ২০২২ সালের ৬ জুলাই সিলেট থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছিলো।
অভিযোগ রয়েছে, উড়ো চিঠি অধিদপ্তরে জমা দিয়ে ‘উৎকোচ বাণিজ্য’ করতেন উচ্চমান সহকারী মো. দেলোয়ার হোসেন। সহকর্মী বাশির উদ্দিনের দায়ের করা এমনই এক অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত হয় তদন্ত কমিটি। দীর্ঘ ৭ মাসে দুই দফা তদন্তের পর ২০২২ সালের ৬ জুলাই শাস্তিমূলক স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয় তাকে । একই সঙ্গে তাকে সিলেট থেকে বদলি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়। এরপর বিভাগীয় মামলার তদন্ত চলতে থাকে তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি বিভাগীয় মামলার তদন্ত শেষে বিভাগীয় মামলার শাস্তির আদেশ জারি করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। সিলেট জেলা অফিসে কর্মকালীন এই দুর্নীতির অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এক দাপ্তরিক আদেশে (স্মারক নং-৫৯.১১.০০০০.১৫৩.২৭.১২৪.২১) বেতন গ্রেড অবনমন করে অধিদপ্তর। দাপ্তরিক আদেশে উল্লেখ করা হয়, প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন, বিভাগীয় মামলায় আনিত অভিযোগ, অভিযুক্তের দাখিলকৃত লিখিত জবাব, ব্যক্তিগত শুনানীতে প্রদত্ত
বক্তব্য, কন্ডাক্টিং কর্মকর্তার লিখিত বক্তব্য এবং নথিতে রক্ষিত আনুষাঙ্গিক রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে বিভাগীয় মামলায় আনিত অভিযোগসমূহ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ৪ (৩) (ক) দফা অনুযায়ী আদেশ জারির তারিখ থেকে তাঁর বর্তমানে আহরিত ১৩ (তেরো) তম বেতনগ্রেড হতে ১৪ (চৌদ্দ) তম বেতন গ্রেড এর প্রারম্ভিক ধাপে অবনমিত করা হ’ল। আদেশ জারির তারিখ থেকে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, সিলেট অফিসে কর্মকালীন উচ্চমান সহকারী দেলোয়ারের বিরুদ্ধে সহকর্মী বাশির উদ্দিনের দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ ছিল। এ প্রেক্ষিতে শাস্তি পেলেন দেলোয়ার হোসেন।
এ ব্যাপারে দেলোয়ার হোসেন এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত তার কাছে কোন চিঠি আসেনি। বিষয়টি তার জানা নেই।