মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪ জনে
সিলেটে ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও ২ জনের মৃত্যু
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৫:০১:৫৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সিলেট নগরীর মিরাবাজার এলাকার বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও দুই ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে এই ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হল। পাঁচজন এখনো চিকিৎসাধীন। সবশেষ মারা যাওয়া দুজন হলেন, সিলেট সদর উপজেলার জাঙ্গাঈল এলাকার তারেক আহমদ (৩২) ও সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার কাদিরগাওয়ের অর্জুন দাসের ছেলে বাদল দাস (৪১)। তারা রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফিলিং স্টেশনের মালিক আফতাব আহমদ লিটন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, রোববার দিবাগত রাতে মারা যান তারেক। আর গতকাল সোমবার সকালে মারা যান বাদল। দুজনের শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে সিলেট বিমানবন্দর থানার কোরবানটিলা এলাকার বাসিন্দা রুমেল সিদ্দিক ও ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে টুকেরবাজার এলাকার ইমন আহমদ (৩২) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
গত ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর মিরাবাজার এলাকার বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ওই ফিলিং স্টেশনের ৭ জন কর্মচারী ও ২ জন পথচারী দগ্ধ হন। অগ্নিকা-ের খবর পেয়ে দ্রুত সিলেট তালতলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে ছুটে এসে ১৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
এদিকে, শুরু থেকেই অভিযোগ ছিলো ওই পাম্প বন্ধের সময়েও খোলা ছিল বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফিলিং স্টেশনটির কম্প্রেসার কক্ষের একটি সেফটি বাল্ব বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এসময় কম্প্রেসার মেশিনসহ আশপাশের যন্ত্রপাতিতে আগুন ধরে যায়। এসময় সিলেট ফায়ার সার্ভিসের ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষনিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঘাটতি ছিলো বলে গণমাধ্যম বলেছিলো।
ফিলিং স্টেশনটির স্বত্বাধিকারী আফতাব আহমদ লিটন বলেন, দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় তার আন্তরিকতার কোন ঘাটতি ছিলো না। তাদের চিকিৎসার জন্য তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, নিহতদের লাশ রাতে সিলেটে পৌছাতে পারে।