সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিনব প্রতারণা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৪:০০:২৪ অপরাহ্ন
এস এম রায়হানুল নবী, সিকৃবি থেকে : গত ক’দিন থেকেই নিজেদের বধির পরিচয় দিয়ে সিলেট কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের চেম্বারে চেম্বারে ঘুরে টাকা তুলছে কয়েকজন পুরুষ, মাঝেমাঝে একজন নারীকেও এই দলের সাথে দেখা মিলে। “সিলেট বধির সংঘ” নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্যাড তাদের হাতে। কারো কাছ থেকে ১০০ টাকা, কারো কাছ থেকে ৫০০ টাকা তুলছে এই চক্র। ২৭০ জন বোবা ছেলে ও ৫০ জন বোবা ও প্রতিবন্ধীদের খেলার সরঞ্জামাদি ও সেলাইযন্ত্র কিনে দেবার সাহায্য চেয়ে তারা টাকা তুলছিলো। টাকা সংগ্রহের পর দানকারী ব্যক্তিদের নাম ও টাকার অংকটি লিখে রাখছে আরেকটি কাগজে। কিন্তু কার্যালয় থেকে বের হয়েই তারা টাকার অংকটি বদলে নিচ্ছে। কলমের নিখুঁত টানে ১০০ টাকা হয়ে যাচ্ছে ১১০০ টাকা, ২০০ টাকা হয়ে যাচ্ছে ২২০০ টাকা। পরবর্তীতে আরেকটি চেম্বারে গিয়ে যখন তারা টাকা দাবি করছে তখন পূর্ববর্তী শিক্ষক বা কর্মকর্তার সামনে মিথ্যে টাকার অংক সম্বলিত কাগজটি তারা প্রকাশ করছে এবং আরো বেশি পরিমাণ চাঁদা দিতে বাকিদের অনুপ্রাণিত করছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এই চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি। বধির সংঘের নামে চাঁদা তোলা তিন ব্যক্তিকে তাদের প্রতিষ্ঠান প্রধানের নাম লিখতে বলা হলে তারা সেটা লিখতে অস্বীকৃতি জানায়। প্রথমে লিখতে জানে না বললেও চাপ প্রয়োগের পর তারা নিজেদের নাম কাকুলী, সাইফুল হক এবং ইমতিয়াজ কামরান বলে লিখেছে। ক্যাম্পাসে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা ইতোমধ্যে তাদের কাছ থেকে একজনের জাতীয় পরিচয়পত্রের নকল কপি উদ্ধার করেছে। প্রথমে কিছু না শোনার ভান করলেও পরবর্তীতে বিপদ আঁচ করতে পেরে “আর কখনো এরকম অন্যায় করবে না বলে” তারা প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ মনিরুল ইসলামের পা ধরে মাফ চায়। প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রতারণার বিভিন্ন আলামত আমরা ইতোমধ্যে সংগ্রহ করেছি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সিলেটের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক অনুদানের বিষয়ে আরো সচেতন হবার আহ্বান জানিয়েছে।