বিশ্ব শান্তি দিবস
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৩১:২৬ অপরাহ্ন
সুযোগ যদি তোমার দরজায় কড়া না নাড়ে, তবে নতুন একটি দরজা বানাও।- মিল্টন বার্লে
শান্তির স্বেত কবুতর আকাশজুড়ে ভেসে বেড়াবে, বিশ্বের প্রতিটি দেশে বিরাজ করবে পরম শান্তি-এই অমিয় প্রত্যাশায় আজ দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব শান্তি দিবস। যুদ্ধ নয় শান্তি-শ্লোগানকে বাস্তবে রূপ দিতে জাতিসংঘের আহ্বানে দিবসটি পালিত হয়। জাতিসংঘ-ঘোষিত এই আন্তর্জাতিক দিবসটি পালিত হয় প্রতি বছর ২১ শে সেপ্টেম্বর। দিবসটির উদ্দেশ্য হলো, পৃথিবী থেকে যুদ্ধ ও সংঘাত চিরতরে নিরসন এবং সেই লক্ষে পৃথিবীর যুদ্ধরত অঞ্চলসমূহে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের মাধ্যমে সেসব অঞ্চলে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া।
যুদ্ধসহ সব ধরণের অশান্তির বিরুদ্ধে বিশ্বাসীকে সোচ্চার করতে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো ১৯৮২ সাল থেকে প্রতিবছর দিবসটি পালন করছে। ১৯৮১ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহিত প্রস্তাব অনুসারে প্রতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরু হওয়ার দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অর্থাৎ ১৯৮১ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে একটি যুদ্ধবিহীন বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাজ্য ও কোস্টারিকার একটি প্রস্তাব গৃহিত হয়। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের গৃহিত প্রস্তাব অনুসারে প্রতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরু হওয়ার দিনটিকে “যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই” স্লোগানে “আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস” হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে, ২০০১ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ২০০২ সাল থেকে প্রতিবছরের ২১ শে সেপ্টেম্বর তারিখে “আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস” হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে “শান্তির ঘণ্টা” বাজানোর মধ্য দিয়ে দিবসটির উদযাপনের সূচনা হয়। বিশ্বব্যাপি শিশুদের থেকে সংগৃহিত ধাতব মুদ্রা গলিয়ে নির্মিত এই ঘণ্টা জাপানের কার্যরত জাতিসংঘের সংগঠনসমূহ ১৯৫৪ সালে নিউ ইয়র্কের সদর দপ্তরে উপহার হিসেবে প্রদান করে। এই ঘণ্টা স্মরণ করিয়ে দেয়- “যুদ্ধের পরিণাম মানুষের মৃত্যু”। এছাড়া ঘণ্টাটির পার্শ্ববর্তী সড়কে ইংরেজিতে “স্থিতিশীল বৈশ্বিক শান্তি দীর্ঘজীবী হোক” বাণী খোদাই করা রয়েছে।
যুদ্ধ হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রীতিমতো পর্যুদস্ত সারা বিশ্ব। আছে নানান দেশে আভ্যন্তরিণ বাদ-বিসম্বাদ। অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের চিত্র এখন স্পষ্ট বিশ্বব্যপি। মহামারি ও যুদ্ধপরবর্তী বিশ্বে ক্ষুধা আর দারিদ্র্যের আঘাত বেড়েছে। সব মিলিয়ে শান্তিতে নেই বিশ্বের মানুষ। আগামিতে যাতে এই অশান্তির মাত্রা প্রশমিত হয়, সেই প্রত্যাশাতেই আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব শান্তি দিবস।