সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তৎপরতা
এক মাসে কোটি টাকার ভারতীয় চিনি-শাড়ি ও গরু-মহিষ আটক
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৩৩:৪৭ অপরাহ্ন

সীমান্তবর্তী উপজেলাসমূহে অভিযান জোরদার
স্টাফ রিপোর্টার ॥ সীমান্তে চোরাচালান রোধে অভিযান জোরদার করেছে সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতেও সীমান্তবর্তী উপজেলা কানাইঘাটে অভিযান চালিয়ে ভারত থেকে চোরাই পথে নিয়ে আসা দুটি মোটরসাইকেলসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর পুরো আগস্ট মাসজুড়ে একাধিক অভিযান চালিয়ে চিনিসহ প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় অবৈধ পণ্য আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা সূত্র জানায়, কানাইঘাট পৌরসভার আইয়ুব আলী মার্কেট এর সামনে হতে অভিযান পরিচালনা করে তারা চোরাইপথে ভারত হতে আনা একটি সুজুকি জিক্সার ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল ও একটি পালসার মোটরসাইকেল জব্দ করে। যার দাম ৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। এসময় কানাইঘাট উপজেলার ঢালাইচর গ্রামের আলী হোসেন (২৬) ও রিয়াজ মিয়া (৩০) নামের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় এসআই বিনয় ভূষণ চক্রবর্তী বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে, সিলেট জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা গত আগস্ট মাসে চোরাচালানী বিরোধী অভিযান চালিয়ে চিনিসহ প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় অবৈধ পণ্য আটক করেছে। চোরাচালানের সাথে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে ৩৬ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ১৮শ’ ১০ পিস ভারতীয় শাড়ি ও লেহেঙ্গা, ১৬ লাখ ১৭ হাজার টাকা মূল্যের ৩৭০ বস্তা চিনি, ৫১ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ৩৬টি ভারতীয় মহিষ, হাজার ৮শ’ টাকা মূল্যের ৫২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৯ লাখ টাকা মূল্যের ১৮০ বস্তা ভারতীয় চিনি, ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ৪৮ বস্তা ভারতীয় চিনি ও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ৫০ বস্তা ভারতীয় চিনি আটক করা হয়।
সিলেট জেলা গোয়েন্দা শাখার উত্তর অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী জানান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনের নির্দেশনায় ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে সিলেটের সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান রোধে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সব সময় তৎপর রয়েছে। এর অংশ হিসেবে গত আগস্ট মাসে জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে এক কোটি ১৮ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় অবৈধ পণ্য আটক করা হয়। ‘বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১২টি মামলা দায়ের করা হয়। তিনি আরো বলেন, চোরাচালান রোধে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এব্যাপারে গোয়েন্দা পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে বলে জানান তিনি।