বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকান্ডে লাশের মিছিল বাড়ছে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৪:৪২:১০ অপরাহ্ন
দগ্ধ ৯ জনের মধ্যে মারা গেছেন ৫ জন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ নগরীর মিরাবাজারস্থ বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকান্ডে লাশের মিছিল বাড়ছেই। দগ্ধ ৯ জনের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাম্পের ম্যানেজার নজরুল ইসলাম মুহিন গত বুধবার রাতে মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ জনে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নজরুল ইসলাম মুহিনের পরিবারের ঘনিষ্ঠজন এডভোকেট আব্দুল মুকিত অপি। নজরুল ইসলাম মুহিন সিলেট নগরীর পশ্চিম পীরমহল্লার ঐক্যতান ২১৫/৩ মৃত মুজিবুর রহমানের ছেলে। গত বুধবার রাত দেড়টার দিকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে জানান অপি।
মুহিনের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তার লাশ সিলেট এসে পৌঁছার কথা। আজ শুক্রবার বাদ জুমা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। ৪৭ বছর বয়সী মুহিনের স্ত্রী ও দুটি সন্তান রয়েছে।
অগ্নিদগ্ধদের গত ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হলে ১১ সেপ্টেম্বর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট বিমানবন্দর থানার কোরবানটিলা এলাকার বাসিন্দা রুমেল সিদ্দিক ও পরদিন (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টুকেরবাজার এলাকার ইমন আহমদ (৩২) একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর গত ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর পৃথক সময়ে সিলেট সদর উপজেলার জাঙ্গাঈল গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তারেক আহমদ (৩২) ও সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার কাদিরগাঁও গ্রামের বাদল দাস (৪০) নামে দুজন মারা যান।
প্রসঙ্গত, গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর পূর্ব মিরাবাজার বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের জেনারেটর কক্ষে বিস্ফোরণে ঘটে। এতে ৯ জন দগ্ধ হন। দগ্ধদের মধ্যে ম্যানেজারসহ ৭ জন সিএনজি ফিলিং স্টেশনে কাজ করতেন এবং বাকি দুই জন পথচারী ছিলেন। তাৎক্ষণিক আহতদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর দগ্ধ ৯ জনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে প্রেরণ করা হয়। ঢাকায় পাঠানোদের মধ্যে বেশিরভাগের শরীর ১৫-৪০ ভাগ পর্যন্ত পুড়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।