ধূমপানে হৃৎপিন্ডের ক্ষতি
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২:২৪:২২ অপরাহ্ন

যারা নতুন কিছু খুঁজে না, একদিন তাদেরও কেউ খুঁজবে না। -জে আর আর টলকিন
ধূমপানের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে নানা ধরণের প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। ধূমপানের ভয়াবহতা নিয়ে নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। ধূমপানে জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এটা নতুন খবর নয়। তবে ইদানিং ধূমপানে ক্ষতির ভয়াবহতার নতুন একটি খবর বেরিয়ে এসেছে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপান হৃৎপি-ে ধারণার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি করে।
একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান পরিচালিত এই গবেষণায় বলা হয়, ধূমপান রক্তনালীকে বন্ধ (ব্লক) করে দিতে পারে এবং এক সময় তা থেকে হৃদরোগ অথবা ব্রেইন স্ট্রোক হতে পারে। ধূমপান হৃৎপি-কে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পুরুত্ব দিয়ে থাকে এবং হৃৎপি-কে দুর্বল করে দিতে পারে। এমন হলে হৃৎপি-কে সারা দেহে রক্ত পাম্প করতে বেগ পেতে হয় এবং একজন ব্যক্তি যতো বেশি ধূমপান করবে, ততোই তার হৃৎপি-ের কার্যকারিতা কমে যাবে। তাছাড়া, ধূমপান রক্ত নালীরও যে ক্ষতিসাধন করে, সেটা এতোদিন ধরে বলে আসছেন বিশেষজ্ঞগণ। গবেষণায় এ-ও বলা হয়, ধূমপান ছেড়ে দিলে কোন কোন ক্ষতিগ্রস্ত হৃৎপি- অথবা রক্তনালী আগের অবস্থায় ফিরে আসে। গবেষণা প্রমাণ করছে ধূমপান হার্ট ফেইলিউরের সাথে সরাসরি যুক্ত। অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ধূমপান সমাজের একটি ব্যাধি, যাতে একবার আসক্ত হয়ে গেলে ছেড়ে দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। যদিও এটা নির্ভর করে দৃঢ় মানসিকতার ওপর। পৃথিবীতে একশ’ কোটির বেশি মানুষ ধূমপানে আসক্ত এবং প্রায় প্রতি ২০ সেকেন্ডে একজনের তামাকের বিষক্রিয়াজনিত কারণে মৃত্যু হয়। আরও একটি মনে রাখার মতো বিষয় হলো মোট মৃত্যুর প্রায় ২০ শতাংশ মৃত্যু তামাক গ্রহণের ফলেই হয়। তামাকে নিকোটিন ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষতিকারক পদার্থ থাকে। তামাকের ধোঁয়ার কার্বন মনোক্সাইড, কারবাজোল, ভিনাইল ক্লোরাইড ইত্যাদি রাসায়নিক পদার্থ থাকে।
প্রধানমন্ত্রী আগামি ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাকের ব্যবহার সম্পূর্ণ নির্মূল করার ঘোষণা দিয়েছেন। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে দরকার যথাযথ উদ্যোগ। ধূমপান বিরোধি আইন আছে। কিন্তু এর কার্যকারিতা নেই বললেই চলে। আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি দরকার সচেতনতা। এটি যেহেতু সামাজিক ব্যাধি, তাই এর বিরুদ্ধে দরকার সামাজিক আন্দোলন।