ঈদে মিলাদুন্নবি সা.
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১০:৩৩ অপরাহ্ন
জোর করে শান্তি রাখা যায় না, এইটা কেবল অনুধাবন করার মাধ্যমেই অর্জিত হতে পারে। -অ্যালবার্ট আইনস্টাইন।
আজ ১২ই রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.)। মহানবি মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও ওফাত দিবস। ইসলামিক বর্ষপঞ্জি অনুসারে, হিজরি বর্ষের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়াল-এর ১২ তারিখে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব এবং সর্বশেষ নবি হযরত মোহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ ও মৃত্যুবরণ করেন। তাই এই দিনটি বিশ্ব মুসলিমের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালিত হয়।
হযরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত সর্বশেষ নবি। তাঁকে ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ নবি গণ্য করা হয়। হযরত মুহাম্মদ (সা.) সৌদি আরবের মক্কা নগরির কুরাইশ গোত্রের বনি হাশিম বংশে জন্মগ্রহণ করেন ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ২৯ শে আগস্ট। মুসলমানদের কাছে ১২ই রবিউল আউয়াল অত্যন্ত পবিত্র একটি দিন। ওই দিন হযরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ এবং ওই তারিখেই ৬৩ বছর বয়সে ওফাত লাভ করেন। তাছাড়া, ১২ই রবিউল আউয়াল পবিত্র কুরআন শরিফ নাযিল হয় হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ওপর। এই দিনটি বিশ্ব মুসলিমের জন্য নিঃসন্দেহে রহমত ও বরকতময়। দিনটি উপলক্ষে ধর্মপ্রাণ মুসলমান নাতে রাসুল, জশনেজুলুস, মিলাদ মাহফিল ইত্যাদির মাধ্যমে তাঁর জন্মসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি স্মরণ করে। জানা যায় হিজরি চতুর্থ শতাব্দির মাঝামাঝি থেকে মিলাদুন্নবির প্রচলন শুরু হয়। ইরাক অঞ্চলের ইরবিল প্রদেশের আবু সাঈদ কুকবুরি ঈদে মিলাদুন্নবিকে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম উৎসব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। সপ্তম হিজরি থেকে আনুষ্ঠানিক মিলাদ উদযাপন শুরু হয়। বিশ্বনবি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি মহব্বত ও ভালোবাসা পোষণ করা ঈমানের পূর্বশর্ত। এটি আল্লাহর মহব্বত ও ভালোবাসাপ্রাপ্তিরও একমাত্র মাধ্যম। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মহান আল্লাহ তোমাদের নিয়ামত দান করেন, সেজন্য তোমরা তাঁকে ভালোবাসবে আর তাঁর মহব্বত পাওয়ার জন্য তোমরা আমাকে ভালোবাসবে।’ অন্যত্র আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রসুলের আনুগত্য কর তাহলে তোমরা দয়াপ্রাপ্ত হবে।’ (সূরা আলে ইমরান : ১৩২)। প্রিয় নবী (সা.)-এর অনুপম আদর্শ অনুসরণ করা প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই রসুলের মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ। তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও আখিরাতকে ভয় করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে তাদের জন্য।’ (সূরা আহজাব : ২১)।
ঈদে মিলাদুন্নবি পালন উপলক্ষে পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে- ‘হে প্রিয় হাবিব আপনি বলে দিন, তারা যেন আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত প্রাপ্তিতে খুশি উদযাপন করে। উক্ত খুশি ও আনন্দ তাদের সমুদয় সঞ্চয় থেকে অতি উত্তম।’ সর্বাবস্থায় প্রিয় রাসুলের পবিত্র সত্তা আল্লাহ পাকের সর্বশ্রেষ্ঠ রহমত। উভয় জাহানে তারই রহমতের বারিধারা প্রবাহিত। মহানবী (স.) এর দেখানো পথেই যেন আমরা চলতে পারি, তাঁর আদর্শই যেন আমরা অনুসরণ করতে পারি-আজকের দিনে এটাই কামনা মহান আল্লাহ্ তায়া’লার কাছে।