সিলেটে জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধন
বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থী নিতে বাইরের দেশগুলো খুবই আগ্রহী ——-শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৬:০৪:৫৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, মার্কিন ভিসানীতি শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে না। কেননা, বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থী নিতে বাইরের দেশগুলো খুব আগ্রহী। বাইরের দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি শিক্ষার্থীদের ফি’র ওপর নির্ভরশীল।
তিনি গতকাল বুধবার সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হবে। আমাদের স্বাধীন নির্বাচন কমিশন আছে। নির্বাচন কমিশন সেই নির্বাচন করবে, আর সংবিধান অনুযায়ী সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনকালে দৃষ্টিনন্দন ডিসপ্লে প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।
বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির সভাপতি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ডা. দীপু মণি বলেন, দেশকে মায়ের মতো ভালোবাসতে হবে। সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজে একজন খেলোয়াড় ছিলেন। ছাত্রজীবনে তিনি ফুটবল বাস্কেটবল খেলেছেন। পরবর্তীতে তিনি খেলাধুলার ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতাও করেছেন। এ বিষয়গুলোও সবার জানা উচিৎ।
দীপু মনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, তোমরা স্বপ্ন দেখবে এবং সেই স্বপ্নের চেয়েও বড় হবে বলে আমার প্রত্যাশা। ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য সরকার কর্মমুখী শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। পাঁচদিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান আগামী ১ অক্টোবর সিলেট আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল মঙ্গলবার এ ইস্যুতে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সবগুলো ইভেন্ট মিলিয়ে প্রায় চার লাখ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণকারী ফুটবলে প্রায় দুই লাখ। কাবাডি ও হ্যান্ডবলে প্রায় সত্তর হাজার অংশগ্রহণ করে। সাঁতারে প্রায় ৪৫ হাজার ও দাবাতে ১৫ হাজার অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে তিনটি ইভেন্টে (ফুটবল, কাবাডি, হ্যান্ডবল) ৬ সহ¯্রাধিক চৌকস-মেধাবী খেলোয়াড় বাছাই করা হচ্ছে। প্রতিযোগিতাটি প্রথম স্কুল/মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ে শুরু হয়। তারপর প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে টিম নিয়ে (একক/দলীয়) উপজেলা এবং মহানগরীর ২০টি থানা পর্যায়ে বিজয়ী দল জেলা পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে।