পাকিস্তানে ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিলে ও একটি মসজিদে বোমা হামলায় নিহত ৫৬
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৪:৩৬:৫০ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : পাকিস্তানে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত একটি মিছিলে শক্তিশালী বোমা হামলায় অন্তত ৫২ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন একশ’রও বেশি মানুষ। অপরদিকে, একটি মসজিদেও গতকাল বোমা হামলায় ৪ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার বেলুচিস্তানের মাসতাং বিভাগে জুম্মার নামাজ শেষে মিছিলের জন্য জড়ো হন মানুষ। তখনই এই ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে।
শহীদ নবাব ঘৌস বখশ রাইসানি মেমোরিয়াল হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. সাঈদ মিরওয়ানি ডন ডটকমকে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। একই সময়ে সিটি স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) মোহাম্মদ জাভেদ লেহরি জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন।
ডা. মিরওয়ানি নিশ্চিত করেছেন যে এখন পর্যন্ত ২৮টি মৃতদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে আর ছয়জনকে মাস্তুং জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অসংখ্য মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং ২০ জনেরও বেশি আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা সহায়তার জন্য কোয়েটায় পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালটির এ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, মৃতদেহ ও আহত ব্যক্তিদের সরানোর প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত রয়েছে। এর আগে মাস্তুংয়ের সহকারী কমিশনার আত্তাহুল মুনিম জানান, বিস্ফোরণে ১৫ জন নিহত এবং ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, আলফালাহ রোডে মদিনা মসজিদের কাছে ঈদ-ই-মিলাদুন নবীর মিছিলে লোকজন জড়ো হওয়ার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। মাস্তুং সহকারী কমিশনার জানিয়েছে যে ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (ডিএসপি) নওয়াজ গিশকোরির গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে, যিনি মিছিলের পাশে ছিলেন। সিটি স্টেশন হাউস অফিসার লেহরি বলেছেন, বিস্ফোরণটি ছিল একটি আত্মঘাতী হামলা। বিস্ফোরণের পর প্রকাশিত অযাচাইকৃত ছবি এবং ভিডিওগুলোতে বেশ কয়েকটি রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখা গেছে।
এ বিষয়ে বেলুচিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন তথ্যমন্ত্রী জান আচাকজাই বলেছেন, মাস্তুংয়ে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। গুরুতর আহত ব্যক্তিদের কোয়েটায় স্থানান্তর করা হচ্ছে এবং সমস্ত হাসপাতালে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
এদিকে, পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে বড় ধরনের হামলার পর খাইবার পাখতুনখাওয়ায়ও একটি মসজিদে হামলা হয়েছে। এ হামলায় অন্তত ৪ জন নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। বিস্ফোরণে ভেঙ্গে পড়েছে মসজিদটির ছাদ। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় হানগু জেলার দোয়াবা পুলিশ স্টেশনের কাছে একটি মসজিদে এ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে ধ্বংসাবশেষের নিচে ৩০ থেকে ৪০ জন আটকা পড়ে আছেন বলে জানিয়েছেন হাংগু জেলা পুলিশ কর্মকর্তা নিসার আহমেদ। উদ্ধার অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি। নিসার আহমেদ জানান, দু’জন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী এ ঘটনা ঘটিয়েছে। একজন থানার গেট লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে আর অপরজন মসজিদে। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করে ১২ জনকে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, জানান তিনি।