জকিগঞ্জে আবুল হোসেন হত্যা মামলার ৩ আসামী নিঝুম দ্বীপ থেকে গ্রেফতার
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৫:৪৮:৫৯ অপরাহ্ন
জকিগঞ্জ (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : জকিগঞ্জে জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হোটেল ব্যবসায়ী আবুল হোসেন লিচু (৪২) হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত জাকারিয়া আহমদ (২৫), মামুন আহমদ (২২), জুবেল আহমদ (২৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বুধবার ভোরে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার অত্যন্ত দুর্গম নিঝুম দ্বীপ থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জকিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লিটন চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে একদল পুলিশ। সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) শেখ মো. সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি এ ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট জেলা পুলিশ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
প্রসঙ্গতঃ গত ২২ সেপ্টেম্বর কাজলসার ইউপির মঙ্গলসার গ্রামে জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সওয়াব আলীর ছেলে ভাগ্নে জাকারিয়া আহমদের নেতৃত্বে মৃত সৈয়ব আলীর ছেলে আবুল হোসেন লিচুকে লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় ঐদিন রাতে থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নিহত আবুল হোসেন লিচুর স্ত্রী শারমিন আক্তার সুমি (২৬)। পুলিশ তাৎক্ষণিক এজাহারভুক্ত আসামি চায়না বেগম (৪০) কে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) শেখ মো. সেলিম উল্লেখ করেন, নিহত আবুল হোসেন লিচুর সঙ্গে গ্রেফতারকৃত আসামীদের জায়গা জমি নিয়ে পূর্ব থেকেই বিরোধ চলে আসছিলো। ঘটনার দিন সকালে আসামীরা আবুল হোসেন লিচুকে প্রাণনাশের হুমকি দিলে তিনি জুমার নামাজ মসজিদে গিয়ে আদায় না করে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। একই দিন দুপুরে আসামীরা তার বাড়িতে আসে এবং চার বছরের ছোট ছেলেকে পেয়ে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। লিচু মিয়া তার ছেলে সন্তানকে আসামীদের কবল থেকে উদ্ধার করতে গেলে গ্রেফতারকৃত ও এজাহারে উল্লেখিত অন্য আসামীদের সহযোগিতায় নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরেই আসামীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। গত বুধবার ভোরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জকিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক লিটন চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে একদল পুলিশ নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার অত্যন্ত দুর্গম নিঝুম দ্বীপ থেকে হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত মঙ্গলসার গ্রামের ছওয়াব আলীর ছেলে জাকারিয়া আহমদ, একই গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে মামুন আহমদ ও জুবেল আহমদকে গ্রেফতার করেন। হত্যাকান্ডে জড়িত অন্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।