যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০১ অক্টোবর ২০২৩, ৩:৩৯:১৮ অপরাহ্ন
অ্যাডভোকেট আনসার খান
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)’ এর বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের বক্তব্যের উদ্ধৃতি তুলে ধরে লেখাটি শুরু করতে চাই যে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র কেন জরুরি। প্রথম আলো পত্রিকাকে মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ‘পণ্য রপ্তানিতে ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন জোট বাংলাদেশের বড় বাজার। তবে একক বাজার হিসেবে সবচেয়ে বড় বাজার হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যুক্ত হওয়ার, উত্তরণের পর ছয় বছর বাড়তি সুবিধা চাচ্ছি। সেটি যদি পেতে হয়, তাহলেও যুক্তরাষ্ট্রই বড় নিয়ামক ভূমিকা পালন করবে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ একটি দেশের অর্থনৈতিক, বানিজ্যিক ও উন্নয়নের কর্মকা-ের মূল ভিত্তি। আর এই রিজার্ভের মজুদের স্ফীতির জন্য দেশের কয়েকটি সেক্টর, যেমন- রপ্তানি আয়, প্রবাসী আয়, বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের অর্থনীতি, বৈদেশিক বানিজ্য, বিদেশি বিনিয়োগ, শিক্ষা-সংস্কৃতি, প্রবাসী কর্মসংস্থান ও প্রবাসী আয়, পুঁজি গঠন সহ সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এবং এই কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরোধ নয়, বন্ধুত্বপূর্ণ সু-সম্পর্ক বজায় রাখা অতীব জরুরি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়লে বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এটি বলতেই হয় যে, রপ্তানি আয়, প্রবাসী আয়, বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার দেশ। পরিসংখ্যান ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যাবে, চীন, রাশিয়া এবং ভারত এর ধারেকাছেও নেই।
বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের বড় অংশটি যেমন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে, তেমনি সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়ও আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। বিভিন্ন পরিসংখ্যান থেকে এর সত্যতা পাওয়া যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বানিজ্য এবং বিনিয়োগের সারসংক্ষেপ থেকে দেখা যায়, বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানি বাজার হলো যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগকারী রাষ্ট্রও যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম বিনিয়োগ হয়ে থাকে শেভরন কোম্পানির মাধ্যমে, যেটি বাংলাদেশের ৫০ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন করে থাকে। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাতে সহায়তাসহ অন্যতম প্রধান কৌশলগত সামরিক মিত্র হলো যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহত্তম অবদানকারী এবং যুক্তরাষ্ট্র হলো বাংলাদেশের অন্যতম সমর্থনকারী। আমদানির চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী পণ্যের রপ্তানি সাড়ে তিন গুণ বেশি। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি কমছে, অন্যদিকে পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক বেশি।
২০২১-২০২২ অর্থ বছরে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ৭৪০ কোটি ডলার মূল্যের পণ্যদ্রব্য। এটি হলো বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ১৯.২ শতাংশ। এক-ই অর্থবছরে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৮৩ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে, যা দেশের মোট আমদানির ৩.৭শতাংশ। দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ আমদানির চেয়ে রপ্তানি করে তিন গুণ বেশি। অর্থাৎ আমদানি কমছে অনেক বেশি। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতে, আমদানি কমলে রপ্তানি ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য মতে, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ১৭ শতাংশ রপ্তানি আয় এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে, যা সর্বোচচ। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানী, যুক্তরাজ্য, স্পেন ও ফ্রান্স বাংলাদেশ থেকে প্রধান পণ্য ক্রয়কারী রাষ্ট্র এবং বর্ণিত আর্থিক বছরে ওই ৫ টি দেশ বাংলাদেশ থেকে মোট ২৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য কিনেছে। এটি বাংলাদেশের মোট বার্ষিক ৫৫.৫৬ বিলিয়ন ডলার পণ্য রপ্তানি আয়ের ৫২ শতাংশেরও বেশি। অর্থাৎ বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের অর্ধেকেরও বেশি আসছে যুক্তরাষ্ট্র সহ উপরোক্ত পাঁচটি দেশ থেকে। গত একদশক ধরে ওই পাঁচ দেশে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান শীর্ষে। আরও লক্ষণীয় যে, বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার উন্নত পশ্চিমা দেশের গুটিকয়েক বাজারের ওপরই নির্ভরশীল হয়ে আছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি অত্যন্ত নগণ্য। তবে বাংলাদেশে চীন পণ্য রপ্তানি করে বেশি। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য রপ্তানিতে সপ্তম বৃহত্তম দেশ হলো ভারত। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে ভারত কিনে কম। যেমন, ওই সময়কালে দেশটি ২.১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য কিনেছিলো বাংলাদেশ থেকে। এর আগের অর্থ বছরে কিনেছিলো ১.৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশ বেশি পরিমাণের পণ্য আমদানি করে চীন ও ভারত থেকে। ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে বাংলাদেশ ১৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে চীন থেকে, যা আমদানির সাড়ে ২৪ শতাংশ এবং ভারত থেকে আমদানি করেছে সাড়ে ১৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য, যা আমদানির ১৭ শতাংশ। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ওই দুটি দেশ থেকে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৪৩ শতাংশ পণ্য। তবে ওই দেশ দুটিতে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, গত ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে বাংলাদেশ ৭ হাজার ৫৬০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৫.৫৯ শতাংশ বা ১ হাজার ৯৩৫ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে চীন থেকে। এর পরে আছে ভারত। ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে ১ হাজার ৩৬৯ কোটি ডলারের পণ্য, যা, মোট আমদানির ১৮.১১ শতাংশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থ বছরে বাংলাদেশ থেকে ৫ হাজার ২০৮ কোটি ডলারের পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা হয় এবং এর মধ্যে ভারতে রপ্তানির পরিমাণ ১৯৯ কোটি ডলার এবং চীনে ৬৮ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। চলতি অর্থ বছরের প্রথম দশ মাসে ৪ হাজার ৫৬৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে দেশ থেকে, এর মধ্যে ভারতে ১৮৩ কোটি এবং চীনে ৫৩ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। এই দুটি দেশে, অর্থাৎ চীন ও ভারতে যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে, তা বাংলাদেশের মোট পণ্য রপ্তানির মাত্র ৫ শতাংশের কাছাকাছি। এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা গেল যে, চীন-ভারত বাংলাদেশের পণ্য কিনে কম, তবে ওই দেশ দুটি থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে বেশি।
বাংলাদেশের বৈদেশিক বানিজ্য হয়ে থাকে মূলত চারটি বলয়ে- ১. উত্তর আমেরিকা, ২.ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ৩. চীন ৪. ভারত। প্রথম দুটি বলয়ে বাংলাদেশী পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে বেশি পরিমাণে, -বলেছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান। চীন ও ভারত থেকে বাংলাদেশ পণ্য আমদানি করে বেশি যোগ করেন সেলিম রায়হান।
অন্য তথ্য থেকে দেখা যায়, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে শীর্ষ পণ্য আমদানিকারক দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে মূলত যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর বাজারটি বাংলাদেশের রপ্তানি আয়কে বাঁচিয়ে রেখেছে। এর মধ্যে একক বাজার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান শীর্ষে। অন্যদিকে বাংলাদেশে প্রবাসী আয়ের ১৬ শতাংশ এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে, যা এককভাবে শীর্ষ স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের নাম। অথচ প্রবাসী আয়ের তালিকায় থাকা ৩০ দেশের মধ্যে চীন ও ভারতের নাম নেই।
এছাড়াও বৈদেশিক সরাসরি বিনিয়োগ এবং ঋণ- এই দুটি উৎস হলো বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রধান উৎস এবং এই দুটি উৎসেরই একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের নাম রয়েছে তালিকার শীর্ষে। ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রবাসী আয় এসেছে ৩৪৪ কোটি ডলার। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য বলছে, বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ২০ শতাংশ এবং মোট পণ্য আমদানির পৌনে ৪ শতাংশ আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। যুক্তরাষ্ট্র এখনও বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের একক বড় বাজার। গত অর্থ বছরে ২১ শতাংশ পোশাক রপ্তানি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।
এফডিআই বা ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্টের ১৯ শতাংশই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ২ হাজার ১১৫ কোটি ডলারের এফডিআই এসেছে, যার মধ্যে কেবল যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে ১৯.৩৮ শতাংশ বা ৪০০ কোটি ডলার। বাংলাদেশে এফডিআই আসে এমন শীর্ষ দশটি দেশের তালিকায় চীন-ভারতের নাম থাকলেও উভয় দেশ থেকে মোট বিনিয়োগ এসেছিলো মাত্র ২০৩ কোটি ডলার। এর মধ্যে চীন থেকে আসে ১৩৫ কোটি এবং ভারত থেকে আসে মাত্র ৬৯ কোটি ডলার।
এটি বলার অপেক্ষা রাখে না যে, রপ্তানি আয়, এফডিআই এবং প্রবাসী আয়,-এই তিনটি ক্ষেত্রেই যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। চীন-ভারত -রাশিয়া এর ধারেকাছেও নেই। বিদেশে বাংলাদেশীদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় দশ লাখের অধিক বাংলাদেশী অভিবাসী রয়েছেন এবং প্রতিবছর এই সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশী ওই অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আয়-উপার্জন করে উপার্জিত আয়ের সিংহভাগই নিজের দেশে পাঠিয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
অন্যদিকে, প্রতিবছর প্রায় পনের হাজার শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ওই দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজ দেশে ফিরে এসে অর্জিত শিক্ষা, জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, চিকিৎসা ও অন্যান্য শিক্ষাগত সুবিধা দিয়ে নিজ দেশকে সমৃদ্ধ করে চলেছেন, যা অমূল্য সম্পদ বাংলাদেশের জন্য। অবশ্য প্রতিবছরই যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। যেমন, ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো মাত্র ৩ হাজার ৮২৮ জন। ২০২১ শিক্ষাবর্ষে এই সংখ্যা ছিলো ১০ হাজার ৫৯৭। অর্থাৎ ক্রমবর্ধমান হারে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এর একাংশও কিন্তু চীন, ভারত, রাশিয়া থেকে পাওয়া যায় না।
কোভিডের সময়কালেও ওষুধ সামগ্রী ও টিকা নিয়ে আমদের জনগণের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্র। তখন বিনামূল্যে সাড়ে পাঁচ কোটি টিকা বাংলাদেশে সরবরাহ করেছিলো দেশটি। তাই সব বিচারেই বলা যায়, আমদের দেশের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক এবং মিত্রতা জরুরি।
সূত্র : দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক স্টার বাংলা, বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ওয়েবসাইট, ইউ.এস.টি.আর, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
লেখক : আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষক।