ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের আবাসিক এলাকায় নানা অনিয়মের অভিযোগ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:২৭:০৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের একপাশে কলেজের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, ইন্টার্ন চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ নানাস্তরের মানুষের বসবাসের আবাসিক এলাকা। সেই আবাসিক এলাকার কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, কতিপয় এক শ্রেণির ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অবসরকালীন ছুটি ও বাসায় অবস্থানকালীন মেয়াদ শেষ হলেও তারা সরকারি বাসা ছাড়ছেন না। ফলে নতুন সরকারি কর্মচারী যারা ক্যাম্পাসে বসবাস করতে চান, তাদের কপালে আর সরকারি বাসা বরাদ্দ মিলছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, কিছু কিছু কর্মচারীর মেয়াদ বেশ কয়েক বছর আগে শেষ হয়েছে। কিন্তু তারপরও তারা বাসা ছাড়তে চাইছেন না। উল্টো সেই বাসাতে নিজেরা বসবাসের পাশাপাশি আত্মীয় স্বজনদেরও আশ্রয় দিচ্ছেন। সরকারি নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কা না করে তারা একধরনের বলপ্রয়োগ করে থাকার চেষ্টা করছেন। এতে শৃঙ্খলা যেমন ভঙ্গ হচ্ছে, তেমনি নতুন যারা বাসার জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের ভাগ্যে বাসা জুটছে না।
এদিকে, সরকার নির্মিত নির্দিষ্ট ভবন ছাড়াও কিছু কর্মচারী অবৈধভাবে নিজেদের ইচ্ছেমতো টিনের এবং ঝুঁপড়ি ঘরও নির্মাণ করে বসবাস করছেন। দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে তারা বসবাস করে আসলেও কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এতে আশপাশের পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে বলেও মনে করছেন আবাসিক এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষ।
অন্যদিকে, আবাসিক ভবনের চারপাশে রয়েছে শেখ রাসেল হোস্টেল, কর্নেল জিয়া হোস্টেল, ইন্টার্ন হোস্টেল, শাহজালাল হোস্টেল। কিছু কর্মচারী পরিবারের সদস্যদের বেপরোয়া চলাফেরার কারণে সমস্যায় পড়তে হয় ওইসব হোস্টেলের শিক্ষার্থীদের। অনেকে যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে ধুমপান করেন যখন তখন। এতে সমস্যায় পড়তে হয় ছাত্র-ছাত্রীদের। তাই সরকারি নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।