সিলেটে ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ৪:১০:০৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। মাঝারি মানের এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ২।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে এ ভূ-কম্পন হয়। তবে, এতে তাৎক্ষণিকভাবে সিলেটের কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ভূমিকম্পের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়ারলেস সুপারভাইজার মো. জহিরুল ইসলাম।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ভারতের মেঘালয় রাজ্যের আসামে। কম্পনটির রিখটার স্কেল ছিলো ৫ দশমিক ২ মাত্রার। ভূমিকম্পের সময় সিলেট নগরীসহ আশপাশ এলাকার বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে সিলেটের কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে সিলেটে এক মাসের ব্যবধানে তিন বার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ১৪ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ কম্পনগুলো অনুভূত হয়েছিলো। গতকালের আগে সর্বশেষ ৯ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টা ১৮ মিনিটে সিলেটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য অনুযায়ী, সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় তীব্র ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে সিলেট বিভাগ। সিলেটে যে কোনো বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা করা হচ্ছে। বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস হিসেবেই ছোট ছোট ভূ-কম্পন হচ্ছে।
তারা বলেন, গত তিন মাসে অনুভূত হওয়া ছয়টি ভূমিকম্পের মধ্যে গত সেপ্টেম্বরেই হয়েছে তিনটি। দুটি হয়েছে আগস্ট মাসে। তবে ছয়টি ভূমিকম্পের মধ্যে দুটিরই উৎসস্থল ছিল ডাউকি চ্যুতিতে। বাংলাদেশের মাটির নিচে ভূমিকম্পের দুটি বড় উৎস আছে। তার মধ্যে ডাউকি চ্যুতি একটি। আর এখানে একের পর এক ভূমিকম্প হচ্ছে কয়েক বছর ধরেই।
ডাউকি চ্যুতিতে ছোট ছোট এসব ভূমিকম্পের ফল কী হতে পারে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতভেদ আছে।
তবে গতকাল যে ভূমিকম্প হয়েছে, এর উৎপত্তিস্থল ভারতের মেঘালয় রাজ্য। সেটি অবশ্য ডাউকি চ্যুতির অংশ নয়। এটি ওল্ডহ্যাম ফল্ট বা চ্যুতির মধ্যে পড়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রিজেলিয়ান্স বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, বাংলাদেশে বেশির ভাগ ভূমিকম্পের উৎসস্থল ডাউকি গতকালের ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল না। এ ভূমিকম্পের উৎসস্থল ১৮৯৭ সালে মেঘালয়ের সেই বড় ভূমিকম্প যেখানে হয়েছিল, সেখানেই। ১৮৯৭ সালে ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৩। এরপর এ অঞ্চলে আর বড় ভূমিকম্প হয়নি।