অবৈধ পথে ভারত গেলো তিনজন আর ফিরে এলো দুইজন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ২:১৯:৪৬ অপরাহ্ন
কোম্পানীগঞ্জ থেকে আবিদুর রহমান ঃ কোম্পানীগঞ্জের সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে ভারতে গিয়ে বাংলাদেশি এক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে তার খোঁজ মিলছে না। ওইদিন উৎমা বড়পুঞ্জি বাজার সীমান্ত দিয়ে ভারতে যায় তিন ব্যক্তি।
নিখোঁজ ব্যক্তি আবুল কালাম (৪০)। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের বরমসিদ্ধিপুর গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। পেশায় একজন কৃষক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বরমসিদ্ধিপুর গ্রামের আবুল কালামসহ তিনজন গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে উৎমা বড়পুঞ্জি বাজার সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান। অপর দুইজন বাড়িতে ফিরে এলেও এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ আবুল কালাম।
তার পরিবারের দাবি, আবুল কালামকে সেদিন যারা ডেকে নিয়েছিল, তারাই গুম করে রেখেছেন। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে বিজয়পাড়ুয়া (মাঝেরগাঁও) গ্রামের আলী আহমদ জানান, বড়পুঞ্জি বাজার সীমান্তের ১২৫৫ পিলার দিয়ে ভারতে যায় কালামসহ তিনজন। কিছু সময় পর দুইজন ফিরে আসে। বিকেল গড়িয়ে রাত হয়। আবুল কালাম না ফেরায় সবার মনে সন্দেহ জাগে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সীমান্ত এলাকায় চলে খোঁজাখুঁজি। কিন্তু মেলেনি তার খোঁজ। পরে বিজিবি ক্যাম্পে যাওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানায়, সীমান্তের ওপার থেকে ওইদিন প্রথমে চিনি নিয়ে কামাল আসে দেশে। এর কিছুক্ষণ পর মমিনও আসে। তার ধারণা, আবুল কালামকে খাসিয়ারা আটক করে রাখতে পারে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফখরু মিয়া জানান, আমি আবুল কালামের মায়ের কাছে শুনেছি সে ভারতে ঘাস আনতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। তার সাথে একই গ্রামের কামাল ও মমিন ছিল।
তবে, এ দু-জনের পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি অস্বীকার করা হয়। তাদের দাবি, কামাল ও মমিন ওইদিন ভারতে যায়নি।
এদিকে, গত সোমবার সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন নিখোঁজ আবুল কালামের স্ত্রী হালিমা বেগম। তাতে বরমসিদ্ধিপুর গ্রামের তৈয়ব আলী, হেলাল আহমদ ও সাইদুলকে আসামি করা হয়। এজাহারে বলা হয়- ঘটনার দিন এই তিনজনই আবুল কালামকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারা মাদক চোরাচালানের সাথেও জড়িত।
আবুল কালামের ভাই শাহ আলম জানান, ‘আমার ভাইকে ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টার দিকে বাড়ি থেকে হেলাল, তৈয়ব আলী ও সাইদুল ডেকে নিয়ে যায়। বিকেলে তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে বলে- এইতো এদিকে গেছে। কিছুক্ষণ পর চলে আসবে। কিন্তু সাতদিনেও আসেনি ভাই।’
এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) উৎমা বিওপির নায়েব সুবেদার রফিকুল ইসলাম জানান, নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। তাদেরকে বলেছি নিখোঁজের জিডি লাগবে। তারা জিডি নিয়ে আর যোগাযোগ করেনি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিল্লোল রায় জানান, সীমান্ত পাড়ি দিয়ে যাওয়া তিন ব্যক্তির মধ্যে একজন নিখোঁজ আছে শুনেছি। বিষয়টি সীমান্ত সংশ্লিষ্ট। তাই বিজিবি দেখছে।