সিসিকের সংবাদ সম্মেলন
দুর্যোগ মোকাবেলায় উদ্যোগ সমূহ থমকে আছে ——–মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ৪:৩০:১৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ঃ ভূমিকম্প সহ যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে ঘন বসতিপূর্ণ সিলেট মহানগরে বড় ধরণের ভূমিকম্প হলে উদ্ধার কাজ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের যন্ত্রপাতির সংকট রয়েছে ।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সিসিকের সভা কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানিয়েছেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, সিলেটে ইদানিং ঘন ঘন ভূমিকম্পন অনুভূত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সিসিক দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নগরে ৪টি খেলার মাঠ বা খালি স্থান তৈরীর পরিকল্পনা গ্রহণ করে। কিন্তু সরকার ৩০ শতাংশ নিজস্ব অর্থ সংকুলানের শর্তে ২টি মাঠ প্রস্তুতের অনুমোদন দিলেও এখনো অর্থ বরাদ্দ না দেয়ায় প্রকল্প সমূহ বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।
সিলেট মহানগরে ২৩টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙ্গার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিসিক মেয়র বলেন, উচ্চ আদালতের মামলা জনিত কারণে সিসিকের মালিকানাধীন ঝুকিপূর্ণ তালিকার সিটি সুপার মার্কেটই ভাঙ্গা যায়নি। একইভাবে বেশির ভাগ ভবন মালিক ও ব্যবসায়ীদের করা উচ্চ আদালতে মামলা এবং মালিকদের ভবনের সক্ষমতা বাড়ানো আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বলেন, সিলেট নগরের ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন নীচে নেমে যাচ্ছে। নগরবাসির প্রতিদিন ৮ কোটি লিটার পানির চাহিদা পূরণে ২টি সার্ফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এর পাশাপাশি গভীর উৎপাদক নলকূপের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। যদিও ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ফলে ভূমিকম্প ঝুঁকি বাড়ে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। সেজন্য চেঙ্গের খাল নদীর পানি সংগ্রহ করে ৫০ এমএলডি উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি সার্ফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরীর পরিকল্পনা হাতে নেয় সিসিক। কিন্তু দীর্ঘ দিন হলেও সরকারের অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় সেটিরও নির্মাণের কাজ থমকে আছে।
মেয়র আরো বলেন, বর্ধিত সিটি কর্পোরেশন এলাকা সহ সিসিকের উন্নয়নে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প সরকারের কাছে প্রস্তাব করা হলে সেই প্রকল্প ১২’শ কোটি টাকায় নামিয়ে অনুমোদন হয়েছে। কিন্তু এখনো অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ।