হবিগঞ্জে টানা বর্ষণে রাস্তাঘাট ডুবে একাকার
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ৫:৩৮:৫৮ অপরাহ্ন
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জে টানা ১৫ ঘণ্টা মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। এতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে শহরের অধিকাংশ এলাকা। রাস্তাঘাট ডুবে একাকার হয়ে যায়। অনেক স্থানে বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করে। অপরদিকে বৃষ্টি শুরুর সাথে সাথেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়। প্রায় ২২ ঘণ্টা জেলা শহর বিদ্যুৎবিহীন ছিল। আর বিদ্যুৎ না থাকার কারণে মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্কও বন্ধ হয়ে পড়ে। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। এ অবস্থায় শুক্রবার ভোররাত থেকে সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। তবে রাতে বৃষ্টি বন্ধ হলে বিভিন্ন স্থানে রাস্তাঘাট ও বাসাবাড়ি থেকে পানি নামতে শুরু করে। শনিবার সকালে শহরের অধিকাংশ এলাকায়ই রাস্তাঘাট এবং বাসাবাড়ির পানি নেমে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে বৃষ্টির কারণে শনিবার শাকসবজির দাম মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায়। একেকটির দাম চাওয়া হয় আকাশছোঁয়া। সকালে শহরের সবচেয়ে বড় পাইকারি কাঁচাবাজার কোর্ট স্টেশন চাষি বাজারে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়। বাজারে সবজি উঠেছে সামান্য পরিমাণ। ক্রেতা-বিক্রেতা কম। যা বাজারে এসেছে দাম আকাশছোঁয়া। পেঁপে ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, কাকরুল ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, মুকি ৬০ টাকা থেকে ৯০ টাকা, ২৫/৩০ টাকার একেকটি লাউ ৫০/৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
টানা বর্ষণে শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ড, শায়েস্তানগর, শ্যামলী, সিনেমা হল রোড, মুসলিম কোয়ার্টার, মোহনপুর, রাজনগর, কামড়াপুর, বগলাবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে রাস্তাঘাট ডুবে যায়। অনেক বাসাবাড়িতেও পানি ঢুকে। শহরের অনেক পুকুরের পানি উপচে মাছ ভেসে গেছে।
সবজি বিক্রেতা আব্দুল জলিল বলেন, বাজারে মাল নেই। তাই মালের দাম বৃদ্ধি পাবে। যে পণ্য ছিল ৫০ টাকা এখন তা হবে, ৭০ টাকা বা ৮০ টাকা।
সবজি ক্রেতা ব্যাংকার ফজলুল হক বলেন, বাজারে আগুন লেগেছে। সবজিই নেই। বাজারের কোন সুস্থতা নেই। মানুষের নাভিশ^াস উঠে যাচ্ছে। এক টাকার পণ্য এখন পাঁচ টাকা হয়েছে। সবাই শুধু ক্ষমতার পাগল। কিন্তু মানুষ কিভাবে চলবে তার খবর কেউ রাখে না। এছাড়া বৃষ্টিতে শহরের অবস্থা মারাত্মক ভাবে খারাপ।