ছাতকে বড় ভাইয়ের স্বীকারোক্তিতে ছোট বোনের বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ২:৫৭:৫৯ অপরাহ্ন
ছাতক ও জাউয়াবাজার থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : আপন বড় ভাইয়ের স্বীকারোক্তিতে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়–য়া ছাত্রী ছোট বোন ইভা বেগমের (৯) বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ খুনের ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর গত শুক্রবার রাতে ছাতক উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ কুরশি গ্রামের লিটন মিয়ার ধানক্ষেত থেকে ইভার খন্ডিত মাথাটি উদ্ধার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের বড় ভাই রবিউল হাসানের তথ্যের ভিত্তিতে খ-িত মাথাটি উদ্ধার করা হয়। রবিউলকে ইভা হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ইভা উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ কুরশি গ্রামের মুশাহিদ আলীর মেয়ে ও স্থানীয় কুরশি পূর্বপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। ইভা হত্যার ঘটনায় তার বাবা গত বৃহস্পতিবার অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় মামলা করেছিলেন। গত ৪ অক্টোবর বিকেলে ইভা বাড়ির পাশে একটি দোকানে মোবাইল ফোন রিচার্জ করতে যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিল। সন্ধ্যার পর বাড়ির পাশে একটি ধানক্ষেতে মাথাবিহীন বিবস্ত্র অবস্থায় ইভার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ইভার লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর উপজেলার দোলারবাজার ইউনয়নের দক্ষিণ কুরশি এলাকার খালেদ নূর নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় ইভার মা ও বড় ভাই রবিউলকে আসামি করা হয়। সেই মামলায় রবিউলকে কারাগারেও যেতে হয়। সম্প্রতি রবিউল কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন। প্রতিক্ষকে ফাঁসাতেই রবিউলের সহযোগিতায় তারা ইভাকে খুন করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাহিদপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সৈয়দ গোলাম সারোয়ার জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভাই রবিউল হাসানের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে ইভা বেগমের দেহ পাওয়ার স্থান থেকে প্রায় ৫০ গজ দক্ষিণ-পশ্চিম দূর থেকে কাটা মাথাটি পুলিশ উদ্ধার করে। এর পর মাথাটি ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (ছাতক সার্কেল) রণজয় চন্দ্র মল্লিক জানান, এই খুনে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা করছে পুলিশ।