খাদিমনগরে টিলা ধসে স্কুল ছাত্রী নিহত

টুকেরবাজার এবং জৈন্তাপুরে বাড়িঘর বিধ্বস্ত

স্টাফ রিপোর্টার: অবিরাম বর্ষণে সিলেটে টিলা ধসের ঘটনায় অর্চনা ছত্রী (১১) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। গতকাল শনিবার ভোররাতে উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের খাদিম চা-বাগানে এঘটনা ঘটে। নিহত শিশু বাগানের চা শ্রমিক বুলবুল ছত্রীর মেয়ে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ত। এদিকে, অতিবর্ষণে সিলেটের টুকেরবাজার ও জৈন্তাপুর উপজেলায় টিলা ধসে বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।

খাদিমনগর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আতাউর রহমান শামীম জানান, বুলবুল ছত্রীর বাড়ি টিলার পাদদেশে। দুই দিন ধরে বৃষ্টির গতকাল ফলে শনিবার ভোর চারটার দিকে টিলাটি ধসে পড়ে। এতে বুলবুল ছত্রীর বাড়ি টিলার মাটির নিচে চাপা পড়ে। স্থানীয় লোকজন গিয়ে মাটির নিচ থেকে বুলবুল ছত্রী, তাঁর স্ত্রী এবং চার বছরের ছেলেকে উদ্ধার করে। তবে এ সময় তাঁদের মেয়ে অর্চনাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রায় দুই ঘণ্টা পর অর্চনাকে ঘরের মধ্যে মাটিচাপা অবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাছরীন আক্তার বলেন, সিলেটে দুই দিন ধরে অতিবৃষ্টির ফলে টিলা এবং এর পাদদেশে বসবাসকারীদের সতর্ক করা হচ্ছিল। এজন্য একাধিকবার মাইকিং করা হয়েছে। আজও মাইকিং করা হচ্ছে। এর মধ্যে শনিবার ভোররাতে টিলার মাটি ধসে এক শিশু মারা গেছে। খবর পেয়ে তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাঁরা নিহত শিশুর পরিবারকে সান্ত¦না দেন। এ সময় প্রাথমিকভাবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিশুটির পরিবারকে ১০ হাজার টাকা

সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আরও ১০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, জৈন্তাপুর উপজেলায় টিলা ধসের ঘটনায় তিনটি বাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। জৈন্তাপুর উপজেলার ৬ নম্বর চিকনাগুল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, তার বাড়ির কাছে ভোরে টিলা ধসের ঘটনা ঘটে। এরপর কিছু দূরের আরেকটি টিলা ধসে তিনটি বাড়ির ওপরে পড়ে। তবে ধসের আগে ঘরের বাসিন্দারা বেরিয়ে যাওয়ায় প্রাণে রক্ষা পান। একইদিন সিলেট সদর উপজেলার টুকেরবাজার ইউনিয়নের একাধিক স্থানে টিলা ধসের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জানান- অতিবৃষ্টিতে এলাকায় একাধিক স্থানে টিলা ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।