নবীগঞ্জে টিলা ধসে ঘর ভেঙে তিন পরিবারে আহত ১০

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : নবীগঞ্জ উপজেলার দিনারপুর পরগণা টিলা ধসে ৩টি ঘর ভেঙে গেছে। এ ঘটনায় তিন পরিবারের ১০জন আহত হয়েছেন। গত শুক্রবার ভোরে উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের মীরটিলার পাদদেশে এ ঘটনা ঘটে।

এতে মীরটিলার পাদদেশে বসবাসকারী হিরা মিয়া, ধনাই মিয়া ও রেজাক উল্লাহর ঘর ভেঙে আসবাবপত্র, গবাদি পশুর ব্যাপকভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসময় স্থানীয় লোকজন তিনটি পরিবারের নারী-শিশুসহ ১০ জন সদস্যকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাস অনুপ।

এদিকে, টিলা ধসের খবরে দিনারপুর পরগণার তিনটি ইউনিয়নের পাহাড়-টিলার পাদদেশে বসবাসকারী বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল খ্যাত দিনারপুর পরগণা দেবপাড়া, গজনাইপুর ও পানিউমদা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। মুষলধারায় বৃষ্টি হলেই পাহাড়-টিলার পাদদেশে বসবাসরত বাসিন্দাদের মধ্যে ঝুঁকি ও আতঙ্ক দেখা দেয়। টানা বৃষ্টির ফলে শুক্রবার ভোরে গজনাইপুর ইউনিয়নের বনগাঁও মীরটিলার মাটি ধসে পড়ে হিরা মিয়া, ধনাই মিয়া ও রেজাক উল্লাহর ঘর ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসময় স্থানীয়রা তিন পরিবারের নারী-শিশুসহ ১০ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত হিরা মিয়া জানান, মুষলধারে বৃষ্টি হলেই আমরা যারা টিলার নিচে বসবাস করি তাদের মনে টিলা ধসের আশঙ্কা বিরাজ করে। শুক্রবার ভোরে হঠাৎ মীরটিলার মাটি ধসে আমার ঘরসহ ৩টি ঘর ভেঙে যায়। তাৎক্ষণিক স্থানীয়দের সহায়তায় আমাদের বের করা হয়। ঘরের মালামাল ও গরুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
গজনাইপুর ইউপি সদস্য জাহেদ আহমদ জানান, আমার ওয়ার্ডের মীরটিলার নিচে ১৫-২০টি পরিবার বসবাস করে। শুক্রবার ভোরে মীরটিলার মাটি ধসে পড়ে তিনটি ঘর ভেঙে মানুষ, গবাদি পশু ও আসবাবপত্রের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাস অনুপ জানান, টিলা ধসের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে কি দেয়া যায় একটা তালিকা করে খুব দ্রুত সহায়তা প্রদান করা হবে।