বিশ্বম্ভরপুরে চোরাই ৫ গরুসহ চোর আটক
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৪৪:৩৫ অপরাহ্ন
বিশ্বম্ভরপুর (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে চোরাই ৫টি গরুসহ এক চোরকে গ্রেফতার করেছে। গত শনিবার চালবন গুলি কিত্তা গ্রামের হাসান আলির বাড়ি থেকে চারটি গরু উদ্ধার করে। অপর এক অভিযানে বোয়ালিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ঘর থেকে আরো ১টি বকনা গরু উদ্ধার করা হয়। পরে ফতেপুর ইউনিয়নের সংগ্রামপুর গ্রামের মৃত আক্রম আলীর পুত্র চোর খালেক মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
বিশ্বম্ভরপুর থানার এসআই আনন্দ চন্দ্রের নেতৃত্বে পুলিশ ও পলাশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল আহমদের সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।
বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বণিক চুরি যাওয়া গরু উদ্ধার করে গরুর ছবি ফেইসবুকে ছেড়ে দেয়ার পর গরুর মালিকরা তাদের গরু সনাক্ত করতে পারেন এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মাধ্যমে চারটি গরু মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গরুর মালিক সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরা রং ইউনিয়নের জগাইরগাঁও গ্রামের বাদশা মিয়ার পুত্র ময়না মিয়া জানান, প্রায় ১৭-১৮ দিন পূর্বে রাতে গোয়ালঘর থেকে আমার একটি গাভী, যার মূল্য ৬০ হাজার টাকা চুরি হয়। একই গ্রামের আজর আলীর পুত্র লিয়াকত আলীর আরেকটি অস্ট্রেলিয়ান গাভী বাছুরসহ চুরি হয়। যার মূল্য প্রায় এক লাখ টাকা। গৌরারং ইউনিয়নের মেম্বার আব্দুস সুবহানের সহায়তায় গরুগুলো থানা থেকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পলাশ ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামের যতীন্দ্র দেবনাথের পুত্র মঞ্জু দেবনাথ জানান, গত ৫ অক্টোবর তার গোয়ালঘর থেকে বেড়া কেটে সিন্ধি জাতের একটি বকনা বাছুর চুরি হয়। যার মূল্য ৫০ হাজার টাকা। গরুর মালিক কে চেয়ারম্যান সোহেল আহমদের উপস্থিতিতে গরুটি হস্তান্তর করা হয়।
বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে চোর খালেক মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে থানায় আরো চুরির মামলার রেকর্ড রয়েছে।
বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃত আসামিসহ অজ্ঞাত আরো ব্যক্তিদের আসামী করে থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে (মামলা নং ৪ তারিখ ০৪/১০/২০২৩)। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত ১টি গরু থানার হেফাজতে রয়েছে।