মেডিকেল বোর্ডের সংবাদ সম্মেলন
খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকিতে, লিভার প্রতিস্থাপনে বিদেশে নিতে হবে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১০ অক্টোবর ২০২৩, ৫:১২:২৪ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকির মধ্যে আছে বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা।
তাঁরা জানান, লিভার সংক্রমণের কারণে বারবার পেটে পানি চলে আসছে। উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিকেও কাজ হচ্ছে না। পেট থেকে পানি হƒদযন্ত্র পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। এ জন্য ইতোমধ্যে তাঁকে দুইবার সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে। এখন লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য জরুরিভিত্তিতে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন।
গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা এ কথা জানান।
মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ‘খালেদা জিয়া মূল চিকিৎসা পাচ্ছেন না। লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে তার। আমরা যে চিকিৎসা দিচ্ছি তা তাৎক্ষণিক। জরুরিভিত্তিতে তাঁকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। না হলে যে কোনো সময় তিনি মারা যেতে পারেন।’
তিনি জানান, লিভারের সংক্রমণের কারণে বারবার পেটে পানি চলে আসছে খালেদা জিয়ার। উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হলেও কাজ হচ্ছে না। পেট থেকে পানি হƒদযন্ত্র পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। এ জন্য ইতোমধ্যে তাঁকে দুইবার সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসক এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শরীরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হওয়ায় এ পর্যন্ত ৪ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা তাঁকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। আমাদের হাতে আর কিছু নেই, যা কিছু করার ছিল করেছি। উন্নত চিকিৎসাই একমাত্র ভরসা। দুই বছর আগে টিপস পদ্ধতিতে চিকিৎসা হলে খালেদা জিয়ার পেটে ও হƒদযন্ত্রে রক্তক্ষরণ হতো না। উনার অবস্থাও এত আশঙ্কাজনক হতো না।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে টিপস ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয় না। ২০০৬ ও ২০০৮ এ বারডেমে পরীক্ষামূলকভাবে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট চালু হলেও সেটি অব্যাহত রাখা যায়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন আগে পরীক্ষামূলক চালু হয়েও আবার বন্ধ হয়ে গেছে।’
ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘যখন কোনো কলাপস হয় তখন সিসিইউতে নেওয়া হয়। সিসিইউতে যে সেটআপ আছে কেবিনে সেটা নেই। টিপস প্রসিডিউর যদি আমরা করতে পারি, তাহলে তার অবস্থার উন্নতি হতে পারে। তিনি ৯০/১০০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারেন।’