মহালয়া উদযাপন পরিষদ শ্রীহট্টের ৩ দিনব্যাপী বার্ষিক উৎসব শুরু
মাতৃশক্তির আরাধনার প্রাক্কালে পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনাই মহালয়া ——– স্বামী চন্দ্রনাথানন্দজী মহারাজ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ৯:১৮:১৭ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক ঃ মহালয়া উদযাপন পরিষদ শ্রীহট্ট ১৪৩০ বাংলার ৩২ বছর পূর্তি উপলক্ষে শ্রীশ্রী ঁবলরাম জিউর আখড়া, মীরাবাজার, সিলেটে ৩ দিনব্যাপী বার্ষিক মহালয়া উৎসব গতকাল বৃহস্পতিবার, সকালে জাতীয় পতাকা, মহালয়া পতাকা ও সমিতির পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উদ্বোধন হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সম্পাদক শ্রীমৎ স্বামী চন্দ্রনাথানন্দজী মহারাজ বলেছেন, মাতৃশক্তির আরাধনার প্রাক্কালে পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনাই মহালয়া। তিনি আরো বলেন, তর্পনাদির মাধ্যমে পিতৃ পুরুষদের স্মরণ মননে রেখে আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে দেবীপক্ষকে আবাহন করাই মহালয়ার মূল উদ্দেশ্য। তিনি তাঁর বক্তব্যে মহালয়ায় বিভিন্ন মাঙ্গলিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও আর্তপীড়িত মানবতার সেবায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করায় পরিষদকে অভিনন্দন জানান। প্রধান অতিথি পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে ৩ দিনব্যাপী বার্ষিক মহালয়া উৎসবে উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
মহালয়া উদযাপন পরিষদ শ্রীহট্ট ১৪৩০ বাংলার সভাপতি এ্যাপেক্সিয়ান চন্দন দাশের সভাপতিত্বে ও সহ সভাপতি বিনয় ভূষণ তালুকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী বাংলাদেশ ব্যাংকের অবঃ ডি.জি.এম প্রণব কুমার দেবনাথ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেটের যুগ্ম পরিচালক জ্যোতি মোহন বিশ^াস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সাবেক সভাপতি সমাজসেবী জ্যোতির্ময় সিংহ মজুমদার চন্দন, সিলেটের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার সাহা, পরিষদের উপদেষ্টা রোটারিয়ান নীরেশ চন্দ্র দাশ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হিমাদ্রী শেখর রায়, পরিষদের যুগ্ম সমন্বয়কারী বীর মুক্তিযোদ্ধা চিত্তরঞ্জন দেব, উপাধ্যক্ষ কৃষ্ণপদ সূত্রধর, স্বপন চক্রবর্তী।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি নিরঞ্জন চন্দ্র চন্দ, তারেশ কান্তি তালুকদার, জ্যোর্তিময় দাশ যীশু, অসিত কুমার সূত্রধর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অরুণ কুমার বিশ্বাস, সহ সম্পাদক দীপক কুমার দাশ, অনুকূল সূত্রধর, উত্তম ঘোষ, মৃণাল কান্তি চৌধুরী মঞ্জু, রোটারিয়ান পীযুষ পুরকায়স্থ, রজত চক্রবর্ত্তী, মনোজ কান্তি ভট্টাচার্য্য মান্না, সত্য কুমার বিশ্বাস, স্বাগত বর্ধন ইমন, সাংগঠনিক সম্পাদক চন্দ্র শেখর দে চপল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ভানু চন্দ্র পাল, সুনির্মল চক্রবর্ত্তী, রমাকান্ত গুপ্ত রুপু, সুশান্ত বনিক, সুবিনয় আচার্য্য রাজু, হৃষিকেশ দাশ, কোষাধ্যক্ষ হারাধন দেব প্রভাষ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা শাশ্বতী পাল সোমা, সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা কৃষ্ণা তালুকদার কণিকা, জয়তী ঘোষ লোনা, সহ প্রচার সম্পাদক লিটন দে, রনি চন্দ্র শীল প্রমুখ।
বিকাল সাড়ে ৪টায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন। উদ্বোধকের বক্তব্যে অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, সিলেট সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা সকল ধর্মের মানুষ মিলেই এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সকল ধর্ম মতের মানুষকে সম্মান দিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলতে আমরা একযোগে কাজ করবো।
উপ-কমিটির আহবায়ক সত্যপ্রিয় দাশ শিবুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রজত চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, পরিষদের সভাপতি এ্যাপেক্সিয়ান চন্দন দাশ, সাধারণ সম্পাদক জ্যোতি মোহন বিশ^াস।
উপ-কমিটির আহবায়ক শিতাংশু বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব প্রভাষক নিহার রঞ্জন রায়ের সঞ্চালনায় বিকাল সাড়ে ৫ টায় ধর্মীয় কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা চিত্তরঞ্জন দেব। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সুখময় বিশ্বাস যাদব।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উপ-কমিটির আহবায়ক স্বপন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এবং ভানু চন্দ্র পাল ও রমাকান্ত গুপ্ত রুপুর যৌথ সঞ্চালনায় ধর্মীয় গল্পবলা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অরুণোদয় পাল ঝলক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিষদের যুগ্ম সমন্বয়কারী উপাধ্যক্ষ কৃষ্ণপদ সূত্রধর, মণিপুরী রাজবাড়ী দুর্গাপূজা কমিটির সম্পাদক রতন দে, পরিষদের সহ সভাপতি নিধীর রঞ্জন সূত্রধর।