অবৈধভাবে বালুপাথর ডাম্পিং হুমকির মুখে পান্ডারখাল বাঁধ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ৯:৩৯:১৯ অপরাহ্ন
দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) থেকে তাজুল ইসলাম ঃ বালু-পাথর ব্যবসায়ীদের ‘আগ্রাসনে’ হুমকির মুখে দোয়ারাবাজারের পান্ডারখাল বাঁধ। বাঁধের উপর চলমান রয়েছে ছাতক-সুনামগঞ্জ সড়ক। প্রতিনিয়ত অজ¯্র মানুষের যাতায়াত। এছাড়া, বাঁধের চারপাশে রাখা হয়েছে ইট, বালু-পাথরের স্তুপ।
ফলে বর্ষা এলেই বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা বিদ্যমান। সেই অর্ধ শতাব্দী আগে নির্মিত বন্যা প্রতিরোধক ওই বাঁধটির প্রাকৃতিক পরিবেশ এখন বিপন্নপ্রায়। বাঁধের দুইপাশ ধসে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পান্ডারখাল বাঁধটির টেকসই ধরে রাখতে কয়েক যুগ আগে লাগানো হয়েছিল বিভিন্ন প্রজাতির সারিবদ্ধ বৃক্ষরাজি। আর এসব গাছ-গাছালিকে ঘিরে বাঁধটি একটি সবুজ পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। পরন্ত বিকেলে পাখির কলরব, জলের কলকলানিতে সবুজ শ্যামল প্রাকৃতিক মনোমুগ্ধকর পরিবেশে প্রতিদিন ভিড় জমাতেন বিভিন্ন এলাকার প্রকৃতিপ্রেমী ও দর্শনার্থীরা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এখন আর সেই পরিবেশ নেই। পান্ডারখাল বাঁধ এখন পরিণত হয়েছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী অসাধু ব্যবসায়ীরদের বালুপাথর স্তুপ করে রাখার স্থান। দীর্ঘদিন ধরে বাঁধের দুইপাশের গাছপালার গোড়ায় ইট, বালু-পাথর স্তুপ করে রাখায় অধিকাংশ গাছপালা ক্রমশ মরে যাচ্ছে। বাকি গাছগুলোও মরার উপক্রম।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কোনো বাধা নিষেধ মানছেনা ব্যবসায়ীরা। অনুমতি ছাড়াই নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ব্যস্ততম সড়ক ও বাঁধের ওপর প্রকাশ্যে চলছে ইট বালি-পাথরের রমরমা ব্যবসা। এতে পথচারীদের চলাচলে বিঘœসহ প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। আর অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। ফলে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে বাঁধের প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ।
অভিযোগ রয়েছে, ‘স্থানীয় ইউপি সদস্য জিয়াউল ইসলাম হচ্ছেন এসব অবৈধ ব্যবসা পরিচালনার মূল হোতা।’ এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘বাঁধে বালি-পাথর রাখতে নিষেধ করেছেন এসিল্যান্ড। তবে ‘মজুত বালুপাথর বিক্রির পর সেখানে আর রাখবো না।’
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফজলে রাব্বি চৌধুরী জানান, ‘খবর পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে জরিমানাসহ সেখানে বালি-পাথর রাখতে নিষেধ করেছি ব্যবসায়ীদের।’
জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী জানান, ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাঁধের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হবে।’