পণ্য-সেবার মান
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ অক্টোবর ২০২৩, ১২:১৮:০৬ অপরাহ্ন
![পণ্য-সেবার মান পণ্য-সেবার মান](https://sylheterdak.com.bd/wp-content/uploads/2021/01/sylheterdak-5-768x406.jpg)
সৌন্দর্য একদিন তোমাকে ছেড়ে যাবে, কিন্তু জ্ঞান চিরদিন তোমার সাথে থাকবে। – তুরস্কের প্রবাদ।
আজ বিশ্ব মান দিবস। প্রতি বছর অক্টোবর মাসের ১৪ তারিখ এই দিবসটি পালিত হয় আন্তর্জাতিকভাবে। মূলত পণ্য-সেবার মান উন্নয়নের লক্ষে বিশ্বব্যাপি কর্মরত বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবি প্রতিষ্ঠানের অবদানের প্রতি সম্মান জানানোর জন্যই এই দিবসটি পালিত হয়। পণ্য, সেবা প্রভৃতির মান উন্নয়ন ও বজায় রাখার প্রতি কর্তৃপক্ষ, উদ্যোক্তা এবং ভোক্তাদের সচেতন করার উদ্দেশ্যেই দিবসটির অবতারণা।
১৯৬৪ সালের আজকের এই দিনে ল-নে বিশ্বের ২৫টি দেশের প্রতিনিধিরা বিশ্বব্যাপি পণ্য-সেবার মান বজায় রাখার জন্য একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মান নির্ধারক সংস্থার বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন; যা পরের বছর থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এই ঘটনাকে স্মরণীয় রাখতেই দিবসটি বৈশ্বিকভাবে পালিত হয়। ১৯৭০ সাল থেকে আইএলও (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) দিবসটি পালন করে আসছে। বাংলাদেশের মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিএসটিআই এর উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হবে দিবসটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিশ্ব মান দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম। এখানে পণ্যের মান নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। খাদ্যপণ্যসহ প্রায় সব ধরনের পণ্যের মান আশানুরূপ নয়। জীবন রক্ষাকারি ওষুধ থেকে শুরু করে খাদ্য পণ্যে রয়েছে ভেজাল। মেয়াদ উত্তির্ণ পণ্য বিক্রি হচ্ছে অহরহ। ভোক্তারা অনেক সময় বাধ্য হয়েই এসব পণ্য কিনছে। অনেক নামকরা প্রতিষ্ঠানও তৈরি করছে ভেজাল পণ্য। বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যেও মেশানো হচ্ছে ভেজাল। পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারি সরকারি প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই অনেক সময় জনবল সংকটের অজুহাতে এগুলো দেখেও না দেখার ভান করে। অথচ বিশ্বায়নের এই যুগে যেকোন পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয় ও বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে মান আস্থার প্রতিক হিসেবে কাজ করে। পণ্যের মান ভালো হলে জনগণের আস্থা বাড়ে। পণ্যটির চাহিদাও বৃদ্ধি পায়। পণ্য বা সেবার বাজার সম্প্রসারণে মান এর গুরুত্ব সর্বাধিক। উল্লেখ করা যেতে পারে, দেশীয় ও আমদানিকৃত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআই ১৯৬৯ সাল থেকে কার্যক্রম শুরু করে। সেই বছর থেকেই বাংলাদেশ বিশ্ব মান দিবস পালন করছে।
পণ্য ও সেবার মান নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা সবচেয়ে জরুরি। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক মান সংস্থাগুলো তাদের গবেষণালব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে যথাযথ মানের পণ্য উৎপাদন এবং সেবা প্রদানের সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করে থাকে। এই দিকনির্দেশনা যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই মানুষের চাহিদা প্রত্যাশা অনুযায়ি পূরণ হতে পারে। আর বিএসটিআই সব ক্ষেত্রেই জাতীয় মান প্রণয়ন করে পণ্যের গুণগত মান বজায় রেখে তা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারে। এ ব্যাপারে সরকারের জোরালো পদক্ষেপ নেয়া উচিত। তাছাড়া, ভোক্তাদেরও সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।