জৈন্তাপুরে সিআইডি দলের ওপর হামলা হাতকড়াসহ আসামিকে ছিনতাই

স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটের জৈন্তাপুরে অভিযানকালে সিআইডি টিমের ওপর হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। আসামি ছিনিয়ে নেয়ার সময় হামলা চালিয়ে এক সিআইডি কর্মকর্তাকে আহতও করা হয়েছে। এ ঘটনায় জৈন্তাপুর থানায় মামলা হয়েছে। ছিনিয়ে নেওয়া আসামির নাম ধলাই মিয়া (১৯)। সে জৈন্তাপুরের লামা শ্যামপুর এলাকার কাদির পীরের ছেলে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টায় জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুরে এ ঘটনা ঘটে।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিআইডির পুলিশ সুপারের নির্দেশে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে চৌকি বসিয়ে তল্লাশি চালান উপ পরিদর্শক দ্বীপরাজ ধর প্রিন্স। এসময় সিলেট শহর অভিমুখী আরেকটি ডিআই ট্রাক থামিয়ে তল্লাশিকালে চালক চোরাই মালামাল বহনের কথা স্বীকার করেন। চালক ধলাই মিয়াকে হাতকড়া পরিয়ে গাড়ি তল্লাশির চেষ্টাকালে কয়েকটি ডিআই পিকআপ ও একটি নোহা মাইক্রোবাসে ৮০/৯০ জনের মাদক চোরাকারবারী দলের সদস্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। তারা হাতকড়াসহ চালক ধলাই মিয়াকে ছিনিয়ে নেয়। তাদের হামলায় সিআইডি পুলিশের ওই কর্মকর্তা আহত হন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, একই সময়ে অপর অভিযানে একটি ডিআই পিকআপ তল্লাশি চালিয়ে ১৪টি বস্তায় ৭০ কেজি করে ৯৮০ বস্তা ভারতীয় চা-পাতা জব্দ করা হয়। যার বাজার মূল্য ১ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। অভিযানকালে চা পাতার বৈধ কোনো কাগজপত্র প্রদর্শন করতে না পারায় আজগর আলী (৩৫) নামে পিকআপ চালককে আটক করা হয়। তিনি উপজেলার হেমু দত্তপাড়া এলাকার হারিছ মিয়ার ছেলে।
জিজ্ঞাসাবাদে আটক আসামি স্বীকার করেন, চোরাকারবারীদের সহযোগিতায় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাই পথে ভারতীয় চা-পাতা দেশে আনেন তিনি। এসময় চা-পাতাসহ নাম্বার প্লেটবিহীন হলুদ ও নীল রংয়ে ডিআই পিকআপটি জব্দ করা হয়।

সিআইডি সিলেটের বিশেষ পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা জানান, হ্যান্ডকাফসহ আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অপরাধে এসআই দ্বীপরাজ ধর প্রিন্স বাদী হয়ে জৈন্তাপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় চালক ধলাইসহ ৭ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭০/৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেফতারসহ হ্যান্ডকাফ উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া ভারতীয় চোরাই চাপাতাসহ আটক চালক আজগরসহ ৮ জনের নামোল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতদের আসামি করে একই থানায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। ছিনিয়ে নেয়া আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।