আগুনকে যে ভয় পায়, সে আগুনকে ব্যবহার করতে পারে না। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শেখ রাসেল দিবস
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ অক্টোবর ২০২৩, ২:২১:৫১ অপরাহ্ন
আজ দেশে পালিত হচ্ছে ‘শেখ রাসেল দিবস’। দিবসটি জাতীয়ভাবে পালিত হবে। মন্ত্রী পরিষদের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ২০২১ সাল থেকে প্রতি বছর অক্টোবর মাসের ১৮ তারিখ শেখ রাসেল দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এ ব্যাপারে সরকারের বক্তব্য হচ্ছে- সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সর্বোপরি সর্বস্তরে প্রতি বছর ১৮ই অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস জাতীয়ভাবে পালন আগামি দিনের শিশুদের জন্য একটি অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে থাকবে। শেখ রাসেলের এই শূন্যতা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে তার আদর্শিক সব স্থান ও মানসিক দৃঢ়তার স্থানটিকে পূরণ করবে এবং জাতীয় জীবনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রকৃত ইতিহাস জানার সুদূরপ্রসারি সুযোগ এনে দেবে।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ট পুত্র শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের আজকের এই দিনে জন্ম গ্রহণ করেন। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে শেখ রাসেল সর্বকনিষ্ট। ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শেখ রাসেল ১৫ই আগস্ট দুর্বৃত্ত ঘাতকচক্রের হাতে নিহত হন পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে। আগামি দিনের সকল ছাত্রছাত্রী যেন তাদের প্রিয় শেখ রাসেলকে তাদের হৃদয়ে মনিকোঠায় জাগরুক এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করতে পারে সেই লক্ষে পালিত হচ্ছে আজকের দিবসটি। একই উদ্দেশ্যে ইতোপূর্বে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়। কর্মসূচির আওতায় দেশব্যাপি প্রায় ২৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হবে। সরকারের প্রত্যাশা হচ্ছে, এই সব কর্মসূচির মাধ্যমে শিশু কিশোরদের মাঝে শেখ রাসেলের স্মৃতি অম্লান থাকবে; বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আগামি দিনে বাংলাদেশকে নেতৃত্বদানের ক্ষেত্রে শেখ রাসেলের দীপ্ত প্রত্যয়কে হৃদয়ে ধারণ করে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার শক্তিতে বলীয়ান হবে।
পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্টের কালরাতে মানুষরূপি হায়েনাদের বুলেট রেহাই দেয়নি দশ বছরের শিশু শেখ রাসেলকেও। তার সেই করুণ মৃত্যু মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন প্রতিটি মানুষের অন্তরে আঘাত করে আজও। ভূলুন্ঠিত করে মানবসভ্যতা। এমন নির্মমতার পুণরাবৃত্তি রুদ্ধ হোক। আজকের শেখ রাসেল দিবসের এটাই হোক অঙ্গীকার।