স্মরণ
প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবীবুর রহমান
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৫০:৫৭ অপরাহ্ন
ড. সৈয়দ রেজওয়ান আহমদ
আজ এক প্রাজ্ঞ মনীষী সম্পর্কে লিখতে বসেছি, যিনি ১৩৫৬ বাংলা মোতাবেক ১৯৪৯ইং সনে সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানাধীন ঘনশ্যাম নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাওলানা মাহমুদ আলী রাহ. ছিলেন বৃহত্তর সিলেটের তৎকালীন সময়ের একজন বড় আলেমেদ্বীন ও কামিল বুজুর্গ। মাতা ছিলেন একজন দ্বীনদার পরহেজগার মহিলা। ছোট ভাই হাফিজ মাওলানা আতিকুর রহমান রাহ. ছিলেন বৃহত্তর সিলেটের একজন বিখ্যাত হফিজে কুরআন ও মুহাদ্দিস।
প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবীবুর রহমান একটি বিপ্লবী নাম, একজন সিংহপুরুষ, নাস্তিক-মুরতাদদের আতংক, আলেম-উলামার ভরসাস্থল, শিক্ষকদের সুযোগ্য কা-ারী, শিক্ষার্থীদের আদর্শ শিক্ষক, সুবক্তা, লেখক, সমাজসেবক, আধ্যাত্মিক রাহবর ছিলেন। শুধু স্বদেশেই বিখ্যাত নন বরং বর্তমান পাক-ভারত উপমহাদেশের ওলামায়ে কেরাম ও সর্ব সাধারণের নিকট অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি। তাঁর অসাধারণ মেধা, প্রজ্ঞা পবিত্র কুরআন ও হাদিসের বুৎপত্তি এবং উর্দু ও মাতৃভাষায় কুরআনের অধ্যাপনা ও বিশদ ব্যাখ্যার জন্য তিনি অবিস্মরণীয় হয়ে আছেন স্থান করে নিয়েছেন দেশ বিদেশের আলেম সমাজের অন্তরে। নবী কারিম সা. এর খাঁটি ওয়ারিস হিসেবে এবং মুসলিম জাতির জন্য তার দরদ মমতা ভালোবাসা ও ত্যাগ-তীতিক্ষা তথা কুরবানির জন্য দেশ ও জাতির নিকট তিনি এমনই শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব ও জাতীয় নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন যে হাজারো মানুষ তার জন্য অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত ছিল।
সুদীর্ঘ ৬৯ বছরের বর্ণাঢ্য জীবনে তিনি ছিলেন একজন ওয়ায়েজ-খতিব, সারা বাংলাদেশ বিশেষ করে দীনি মাদরাসাসমূহের বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে কুরআন-হাদিসের আলোকে মুক্তাঝরা অমিয় বাণীতে দেশবাসীর সশ্রদ্ধ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন তার পূর্বসূরিদের সুযোগ্য উত্তরাধিকারী।
বিশ্বের যে ক’জন মহান ব্যক্তিত্ব নিজ জীবদ্দশায় স্বীকৃতি লাভ করেছেন তিনি তাদের অন্যতম। প্রিন্সিপাল রাহ. এদেশের বিখ্যাত পীর ও মুর্শিদ হাফিজ মাওলানা আব্দুল কারীম শাখে কৌড়িয়া রাহ. মাওলানা রিয়াসত আলী রাহ. মুহাদ্দিস ও মুহতামিম রানাপিং মাদরাসা, হাফিজ মাওলানা আকবর আলী ইমামসাব হুজুর রাহ., জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা উবায়দুল হক রাহ, শায়খুল হাদীস আল্লামা নূর উদ্দিন গহরপুরী রাহ., মাওলানা আমীন উদ্দিন শায়খে কাতিয়া রাহ., শায়খুল হাদীস আল্লামা আজীজুল হক রাহ., মাওলানা বশীর উদ্দিন রাহ. রেঙ্গা প্রমুখ মনীষীবৃন্দের ছিলেন সুযোগ্য উত্তরাধিকার। ছাত্র জীবনে অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র, উস্তাদদের নেহায়েত স্নেহভাজন, কর্ম জীবনে একজন দক্ষ মানুষ গড়ার দক্ষ কারিগর ও শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধাভাজন মহান উস্তাদ, রাজনৈতিক জীবনে একজন যোগ্য লিডার, আধ্যাত্মিক জীবনে একজন কামিল বুজুর্গ শেষ রাত্রির কান্না ছিল তাঁর দৈনিক রুটিনের অংশ। তিনি মানুষ গড়ার দক্ষ কারিগর। সমাজ গড়ার উত্তম সংগঠক।
প্রিন্সিপাল রাহ. সাথে আমার পরিচয় ছোট বেলা থেকে সৈয়দপুর গ্রামের বিভিন্ন মাহফিলে আগমনের সুবাদে। তিনির একজন কঠিন ভক্ত ছিলাম আমি। জগন্নাথপুরের যেখানের প্রিন্সিপালের আগমন সেখানে ছোটে যেতাম আমরা ক’জন। এমনকি তাঁর ডাকে সিলেটের সকল প্রোগ্রামে উপস্থিতির চেষ্টা করতাম। কোর্ট পয়েন্টে জামেয়া মাদানিয়ার ডাকে মাদরাসা বিদ্বেষীর বিরুদ্ধে হযরত মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহ হরীপুরী রাহ. এর উপস্থিতিতে প্রতিবাদ সভায় সৈয়দপুর থেকে আমরা গাড়ী রিজার্ভ করে উপস্থিত হই। সন্ধ্যার পূর্বে প্রোগ্রাম শেষ হলে মিছিল সহকারে তালতলা মসজিদ গেট পার হতে না হতেই আওয়াজ আসে কাজির বাজারের লাল বাহিনীর গুন্ডারা মিছিলের উপর অতর্কিত হামলা করেছে। মিছিল এলো মেলো হয়ে যায়। সাহস নিয়ে সামনে অগ্রসর হয়ে মাদরাসার গেট পর্যন্ত পৌঁছেই পাল্টা হামলায় অংশ নেই। মাদরাসার শিক্ষক মরহুম রাহ. এর একান্তজনের অন্যতম মাওলানা আব্দুস সোবহান দা. বা., মাওলানা জালালীর সাহসী ভূমিকায় লাল বাহিনীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। আমার একান্ত সঙ্গী মাওলানা আশফাকসহ শতাধিক ছাত্র শিক্ষক ও ভক্তবৃন্দ আহত হন। সেদিন দেখেছিলাম প্রিন্সিপালের বীরত্ব ও সাহসিকতা এবং আহতদের প্রতি ভালবাসা ও সহমর্মিতা।
তিনি ছিলেন নাস্তিক মুরতাদ এবং অসামাজিক কার্যকলাপের প্রতিরোধে অন্দোলনের রূপকার। ১৯৮১ সালে সরদার আলাউদ্দিন বলেছিলো ‘পবিত্র কুরআন আল্লাহর কালাম নয়, বরং এটা মানব রচিত পুস্তক।’ কুখ্যাত আলাউদ্দিনের এ ধরণের কটুক্তির প্রতিবাদে ৩ দফা দাবী বাস্তবায়নে সিলেটবাসী বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। দল মত নির্বিশেষে প্রিন্সিপাল রাহ. কে আহ্বায়ক করে ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়। গোটা দেশবাশী এ আন্দালনে একাত্মতা ঘোষণা করেন। প্রায় লক্ষাধিক জনতাকে নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়লে স্বৈরাচারী সরকারের পেটুয়া বাহিনী কর্তৃক এলোপাতারী গুলি বর্ষণে চারজন লোক শহীদ হয়েছিল। জনতার চাপের মুখে সরকার তিন দফা দাবী মেনে নিতে বাধ্য হয়। এননিভাবে তসলিমা নাসরিন কর্তৃক মহানবী সা. কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে আন্দোলনের প্রধান ভূমিকায় ছিলেন প্রিন্সিপাল রাহ.।
১৯৯৪ সালে সিলেটের সকল পীর-মাশায়েখ ও ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে সিলেটের কোর্ট পয়েন্টে হযরত মাওলানা আব্দুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলী রাহ. এর সভাপতিত্বে গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। গণজমায়েতের ফলে দেশব্যাপী নাস্তিক মুরতাদ বিরোধী আন্দোলনের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়। ৩০ জুন সারা দেশে হরতাল পালিত হয়। হরতালে কিশোরগঞ্জের মেধাবী ছাত্র আরমান শহীদ হয়। আরমান হত্যার প্রতিবাদে পরদিন বাদ জুম’আ সারা দেশে শোক সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। সিলেটের বিভিন্ন মসজিদ থেকে মুসল্লিগণ মিছিল সহকারে মধুবন মার্কেটের সামনে শোক সভায় সমবেত হন। শোক সভা শুরু হলে তৎকালীন একজন মন্ত্রীর গাড়ী সভার মধ্যস্থল দিয়ে এগিয়ে আসলে স্বেচ্ছাসেবক গাড়ীটি অন্যদিকে ফিরিয়ে দিতে চেষ্টা করলে ড্রাইভার উপেক্ষা অগ্রসর হতে থাকে এবং একজন বৃদ্ধকে ধাক্কা দেয়, এতে জনতার মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে এবং কাঁদানো গ্যাস নিক্ষেপ করে ত্রাস সৃষ্টি করে। এতে প্রায় শতাধিক মুসল্লী আহত হন। মন্ত্রীর গাড়ী ভাংচুরের সকল দায়ভার আন্দোলনের অগ্রসেনা প্রিন্সিপাল রাহ. এর উপর চাপিয়ে দেয়া হয়। অপরদিকে জকিগঞ্জের আটগ্রামে এনজিও কর্মীরা তাদের অফিসে অগ্নিসংযোগ করে এবং আল্লামা ফুলতলী রাহ. এর পুত্রের উপর হুলিয়া জারী করে। পুলিশ বাহিনী ঘৃণ্য তল্লাশী চালিয়ে ফুলতলী রাহ. এর পরিবারের অপ্রাপ্ত বয়স্ক দু’জন নাতিকে এবং মাদরাসার একজন শিক্ষককে গ্রেফতার করে। অন্যদিকে পেটুয়া বাহিনী কমান্ডোস্টাইলে হামলা চালায় কাজির বাজার মাদরাসায়। তারা প্রিন্সিপালের অফিসের তালা ভেঙ্গে তছনছ করে অফিস কক্ষ, মাদরাসার কয়েকজন শিক্ষক এবং মরহুম রাহ. ছোট ভাই লুৎফুর রহমানসহ প্রায় অর্ধশতাধিক ছাত্রকে গ্রেফতার করে।
তিনি ছিলেন আন্দোলন সংগ্রামের সিপাহসালার। তিনি শুধু আন্দোলন সংগ্রামেই নয় আর্তপীড়িত, এতিম, বিধবা এবং অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানো ছিল তাঁর কার্যক্রমের অংশ। যেখানেই অসহায় মানুষের আর্তনাদ সেখানেই তাঁর উপস্থিতি। বার্মা থেকে বিতাড়িত মজলুম মুসলমানদের সাহায্যে কক্সবাজারে বিপুল পরিমান ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। তিনি অসহায়দের পাশে দাড়াতে ‘আল মারকাজুল খায়রী আল ইসলামী’ নামে সেবামূলক সংস্থা গঠন করেন।
প্রিন্সিপাল রাহ. ১৯৭৩ সালে সিলেট সরকারী আলীয়া মাদরাসা থেকে কামিল (হাদীস) বিষয়ে ডিগ্রী লাভ করেন। ইমামতি দিয়ে তাঁর কর্ম জীবন শুরু। তাঁর মহান কীর্তি হচ্ছে, তিনি জামেয়া মাদানিয়া কাজির বাজার মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল এবং কাজির বাজার মসজিদের ইমাম। কাজির বাজার মসজিদ সংলগ্ন একটি ডালিম গাছের নীচ থেকে শুরু করেন সবাহি মক্তব। ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানটি আজ বাংলাদেশের একটি অন্যতম ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপ নিয়েছে। তাছাড়া কওমি মাদরাসার প্রচলিত সেলেবাসকে সামনে রেখে তিনি যুগপোযোগী বিভিন্ন বিষয় শ্রেণী ভিত্তিক সংযোজন করে তাঁর উন্নত চিন্তাচেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটান। ফলে বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন এলাকা থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সমাবেশ ঘটে জামেয়ায়। তাছাড়া তিনি জামেয়ায় যোগ্য, অভিজ্ঞ ও মেধাসম্পন্ন একঝাক শিক্ষকদের সমবেত করেছিলেন, যাঁদের সুযোগ্য নেতৃত্বে স্বল্প সময়ে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিষ্ঠানে পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হয়।
রাজনীনৈতিক ময়দানে তিনি ছিলেন একজন সংগঠক। রাজনীতি তাঁর কোন পেশা বা নেশা ছিল না। তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক, দীনের মুবাল্লিগ ও রাসুল সা. এর ওয়ারিসরূপে তাঁর প্রকৃত অনুসারী। এ কারণেই দেখা যায়, জাতীয় সংকট মুহূর্তে অতি ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি মাদরাসায় হাজির হতে না পারলে অস্থির হয়ে পড়তেন এবং যে কোনো কিছুর বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানের নিয়মানুবর্তিতা রক্ষায় যতœবান থাকতেন। মহানবী সা. এর কর্ম ধারার প্রকৃত ওয়ারিস এবং একনিষ্ঠ অনুসারী হওয়ার কারণে ‘খেলাফত আলা মিনহাজিন নবুওয়াহ’ প্রতিষ্ঠার মহান কর্তব্য পালন এবং বিশেষত জাতীয় সংকট ও দুর্যোগের সময়ে প্রজ্ঞাপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং অবিচল থাকার জন্য তাঁর রাজনৈতিক সচেতনতা ও জাতীয় যেকোন সমস্যায় সুযোগ্য নেতৃত্বদানের অবদান অনস্বীকার্য। এ প্রসঙ্গে বলতে গেলে বাংলাদেশের স্বাধীন হওয়ার পর যখন ইসলামের নামে রাজনীতি করা অঘোষিত নিষিদ্ধ ছিল তখন তিনি ছাত্র হওয়া সত্বেও আলেমসমাজের মাঠকাপাঁনো বক্তা এবং তৎকালীন সময়ের ছাত্র নেতা হাবীবুর রহমান হিসেবে বৃহত্তর সিলেটে এক নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি অতি সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে ইসলাম মুসলমান ও দীনদারদের জন্য শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ সাধারণ নাগরিক অধিকার ভোগ করে চলাফেরা ও জীবন যাপন করাও দুর্বিসহ হয়ে উঠেছিল এবং বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে পরিকল্পিত মিথ্যা-অলীক অভিযোগে আল্লাহ ওয়ালাদের সন্ত্রাসী সাব্যস্ত করার অপচেষ্টা করা হচ্ছিল। তখন এই বিভীষিকাময় চরম পরিস্থিতির মোকাবেলায় দীনের অতন্দ্র প্রহরী এবং বিভিন্ন হুমকি ও নির্যাতন উপেক্ষা করে আল্লাহর দ্বীন আল্লাহর জমীনে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে যে সঠিক ও প্রজ্ঞাপূর্ণ কাজ করেছিলেন তাঁর সাহসী ভূমিকা জাতি চিরদিন স্মরণ করবে ইনশাল্লাহ।
আল্লাহ তা’য়ালার চিরন্তন বিধান প্রতিটি জীব মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে এবং তার হায়াতের নির্ধারিত সময় পার করার সাথে সাথে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিতে হবে। সেই চিরন্তন ফায়সালা অনুযায়ী আমাদের সকলের মুরুব্বী মাওলানা হাবীবুর রহমান রাহ. ২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২.১০ মিনিটের সময় আমাদের এতিম করে মাওলার সান্নিধ্যে চলে গেলেন। আর কোনো দিন দেখব না তাঁর হাস্যোজ্জ্বল চেহারা। শুনবো না বাতিলের বিরুদ্ধে আপোষহীন হুংকার এবং দরসে হাদিসের সিংহাসনে তার জ্ঞানগর্ভ তাত্ত্বিক আলোচনা।
আমার বিশ্বাস নতুন প্রজন্ম তাঁর আদর্শ ও প্রতিভাকে মূল্যায়ন করে সামনে অগ্রসর হওয়ার প্রেরণা পাবে। মজলুম জননেতা হিসেবে তাঁর নন্দিত চেহারা উঠে আসবে জাতীয় জীবনের বৃহৎ ক্যানভাসে। জেল-জুলুম হুলিয়া মাথায় একজন মুমিনের প্রতিকৃতি কী হতে পারে? সংগ্রামী জীবনে নীতি-আর্দশের প্রশ্নে তাঁর আপোসহীন ভূমিকা বিস্তারিত বিবরণ সম্বলিত হয়ে উঠে আসবে সকলের সম্মুখে। পরিশেষে মহান রব্বুল আলামীনের দরবারে এই মোনাজাত করি হে আল্লাহ! তুমি তোমার প্রিয়তম বান্দাকে জান্নাতের সু-উচ্চ আসনে সমাসিন কর। আমিন।
লেখক : শিক্ষক।