সরকারকে পূজোর ছুটি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিলেন মির্জা ফখরুল
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ৬:০৭:৩৪ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : সরকার অত্যন্ত ভয় পেয়েছে, তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সামনে পূজার ছুটিতে বিদায় নিন, সম্মানের সাথে সেইফ এক্সিট নিবেন না গণআন্দোলনের মাধ্যমে করুণ পরিণতি ভোগ করে বিদায় নিবেন। সময় কিন্তু এই পূজার ছুটিটুকু, এটা কিন্তু একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বললাম।
গতকাল বুধবার বিকেলে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জনসমাবেশের আয়োজন করে দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শাখা।
মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় আর নাই, ভালোয় ভালোয় এই কয়েকদিনে ক্ষমতা ছেড়ে দেন, বিদায় নেন, অন্যথায় ফয়সালা হবে রাজপথে।
বিএনপি মহসচিব বলেন, যতই সময় যাচ্ছে, ততই তারা গ্রেফতার বাড়িয়ে নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে সারাদেশ ২৫০ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
ফেসবুকে সরকার প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে, স্যোসাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছে, কিন্তু তারা সফল হয়নি, আজকে লাখো জনতার সমাবেশে তা প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা এখন কথা বেশি বলতে চাই না, এখন কাজ করতে চাই, আমরা কাজে নেমে পড়েছি। ক্ষমতায় থাকার জন্য খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নূন্যতম সুযোগ দিচ্ছে না শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা কতটা নির্মম-বেগম জিয়ার চিকিৎসাটা পর্যন্ত করতে দিচ্ছে না। আমাদের নেতাদের সাজা দিচ্ছে, সিনিয়র নেতাদের সাজা দিয়েছে, মোট ৯৬ জন সিনিয়র নির্বাচন যোগ্য নেতা। যদি নির্বাচন যোগ্য নেতাদের সাজা দিয়ে মাঠে খালি করতে পারে তাহলে সব পরিষ্কার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন কোনো প্রেসিডেন্ট নাই অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট নাই, কারণ প্রেসিডেন্ট দেশের বাইরে গেলে একজনকে দায়িত্ব দিয়ে যেতে হয়, অথচ এক্ষেত্রেও তারা দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। ২০১৪ সালে ১৫৪ জন এমপি বিনা ভোটে এমপি হয়েছে, ২০১৮ সালে রাতে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছে। এবারো আবার সেই অপচেষ্টা করছে বিনা ভোটে নির্বাচন করার জন্য।
আগামী কর্মসূচি ঘোষণাকালে মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। এই কর্মসূচি যুগপৎ আন্দোলনের আংশিক কর্মসূচি। এই মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে আমাদের মহাযাত্রা শুরু হবে। এর সরকার পতন না করে আমরা ঘরে ফিরে যাব না। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে অনেক বাধা বিপত্তি আসবে। এই প্রোগ্রাম হবে শান্তিপূর্ণ, আমাদের সকল কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা অশান্তি সৃষ্টিকারী সরকারের পতন ঘটাবো।