সুজনীখাল ব্রীজের গোড়ায় গর্ত আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং শরীফ উদ্দিন সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ৫:২৮:৫৪ অপরাহ্ন
আজমিরীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সদরের মূল প্রবেশদ্বার সুজনীখালের উপর নির্মিত ব্রীজ সংলগ্ন সড়কের একাংশ ধসে গিয়ে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এরই মাঝে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এছাড়া, আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং (শরীফ উদ্দিন) সড়কের বিভিন্ন অংশে সড়ক ধসে ও পিচ উঠে গিয়ে ছোট-বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সড়কটিতে যাতায়াতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিন যাবত সড়কটির বেহাল দশা থাকলেও ছোটবড় যানবাহন চালকদের জন্য নেই
কোন সতর্কীকরণ সাইন বোর্ড। এতে যেকোন সময়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কার কথা জানান স্থানীয়রা।
জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং (শরীফ উদ্দিন) সড়ক এবং আজমিরীগঞ্জ-শিবপাশা সড়ক দুটি সুজনীখাল ব্রীজের পূর্বে মিলিত হয়ে আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং সড়ক নামে উপজেলা সদরের সাথে যুক্ত হয়েছে। উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের প্রধান সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন দুই উপজেলার লক্ষাধিক লোক যাতায়াত করেন। সড়কটির আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সদরের লালমিয়া বাজার থেকে বানিয়াচং পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে পিচ-ঢালাই উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বীরচরণ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন কুশিয়ারার শাখা নদীর সুজনীখালের উপর নির্মিত সেতুর উভয়পাশে সংযোগ সড়কের গোড়ায় মাটি সরে গিয়ে বড় ধরণের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যাত্রীবাহী বাস, সিএনজি, মালামালবাহী ট্রাক, পিকআপসহ অন্যান্য যানবাহন। শুধু এই সেতুর গোড়াই নয় সদর ইউনিয়নের বিরাট ভাটীপাড়ার কালভার্ট সংলগ্ন সড়কসহ বানিয়াচং পর্যন্ত সড়কটির প্রায় ১৭ কিলোমিটার জুড়ে বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে সেতু, কালভার্টের গোড়ায় এবং সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তবে দীর্ঘদিনেও এসব গর্ত মেরামতের কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। স্থানীয়রা জানান, সড়কটিতে যাত্রীবাহী ও মালবাহী গাড়ি চলাচল করে। সড়কটি দ্রুত মেরামত না করা হলে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড়ধরনের দুর্ঘটনা। সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক ছাবু মিয়া ও তকবির জানান, দীর্ঘদিন যাবত সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিনই যাত্রী নিয়ে জেলা শহরে যাতায়াত করতে হয়। যাত্রীদের দুর্ভোগের পাশাপাশি গাড়িও ক্ষতি হচ্ছে। পিকআপ ভ্যান চালক কবির হোসেন বলেন, রোজই সড়কটি দিয়ে মালামাল আনা নেয়া করতে হয়। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গনের ফলে ভোগান্তি পোহাতে হয়। সেই সাথে দুর্ঘটনার শঙ্কা তো আছেই। হবিগঞ্জ জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সল বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে কিছুটা মেরামত করা হচ্ছে। পুরো কাজ করতে বেশী টাকার প্রয়োজন, ফান্ডের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত আবেদন করেছি। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যেই ফান্ড পাবো। ফান্ড এলেই পুরোপুরি মেরামত শুরু করতে পারবো।