উন্নয়ন তথ্য দিবস
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ৫:৩৬:০৬ অপরাহ্ন
দুঃখ-কষ্ট নিয়েই মানুষের জীবন, কিন্তু দুঃখের পর সুখ আসবে, এটাই ধ্রুব সত্য। -এডওয়ার্ড ইয়ং
বিশ্ব উন্নয়ন তথ্য দিবস আজ। মূলত জাতিসংঘ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্যাদি সাধারণ মানুষের কাছে উপস্থাপন করাই হচ্ছে এই দিবসটি পালনের মূল উপাত্ত। বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি সাহায্য সংস্থার সহযোগিতায় জাতিসংঘের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে জাতিসংঘ ব্যবস্থার বেশ কয়েকটি মিশন বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডে নিয়োজিত আছে। এছাড়া, বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফ-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
বর্তমান বিজ্ঞানের আশীর্বাদপুষ্ট প্রযুক্তির তথ্য নির্ভর যুগে বিশ্বের সার্বিক উন্নয়নে তথ্য দিবস পালন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর তাই বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমাদের দেশেও দিবসটি যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করা হয়। শুরুতে দিনটি বিশ্ব জাতিসংঘ দিবস হিসেবে পালিত হতো। পরবর্তীতে সময়ের প্রেক্ষাপটে দিবসটি বিশ্ব উন্নয়ন তথ্য দিবস হিসেবেও স্বীকৃতি পায়। এই দিবসের ধারণা আসে ১৯৭২ সালে। সে বছর চিলিতে বাণিজ্য ও উন্নয়ন নিয়ে জাতিসংঘের একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনেই দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরের বছর ১৯৭৩ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্ব উন্নয়ন তথ্য দিবস পালিত হয়। এরপর থেকে বিশ্বের প্রায় সব দেশে নিয়মিতভাবে পালন হয়ে আসছে দিবসটি।
একই সঙ্গে ২৪ শে অক্টোবর জাতিসংঘ দিবসও পালন করা হয়। কারণ দিবস দু’টি সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় একই দিনে পালিত হয়। উন্নয়নের পথে অন্তরায় সমস্যাগুলোর সমাধানে বিশ্বজনতার মতামত বিবেচনা করা বিশ্ব উন্নয়ন তথ্য দিবসের লক্ষ। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মজবুত করাও এর উদ্দেশ্য। অনেক সময়ই তথ্যের আবদ্ধতায় জনসাধারণ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। ফলে স্থবির হয়ে পড়ে একটি দেশের উন্নয়ন। নির্ভুল ও নির্ভরযোগ্য তথ্য একটি দেশের সরকার এবং জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করে। এটি দুর্নীতিরোধ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায়ও ভূমিকা রাখে জোরালোভাবে। তাছাড়া, সব দেশেই কার্যকর তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োজন রয়েছে। এই অধিকার ছাড়া আইনি বাধা পেরিয়ে সব তথ্য জনসাধারণের পক্ষে জানা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপি অস্ত্র সংঘাতের ভয়াবহতা ও বেদনাময় স্মৃতির প্রেক্ষাপটে পৃথিবীর মানুষের ঐক্যবদ্ধ সংকল্পের প্রতিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতিসংঘ। আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, মৌলিক মানবিক চাহিদা পূরণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে জাতিসংঘের বেশিরভাগ কার্যক্রম বিস্তৃত। বর্তমানে জাতিসংঘের অধিকাংশ তৎপরতা উন্নয়ন ও মানবিক সহযোগিতার কাজে নিবেদিত। জাতিসংঘের বেশিরভাগ কাজ বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশে বসবাসকারি দুই তৃতীয়াংশ মানুষের অর্থনৈতিক-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষে পরিচালিত হচ্ছে। আর অবাধ তথ্যের প্রবাহের মাধ্যমে জাতিসংঘ পরিচালিত সব কার্যক্রম আরও গতিশীল হচ্ছে, আরও টেকসই হচ্ছে।