লাখাই উপজেলায় আমন ধানে পোকার আক্রমণ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ১১:২৭:০০ অপরাহ্ন
লাখাই (হবিগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : লাখাই উপজেলায় রোপা আমন ধানে দেখা দিয়েছে পাতা মোড়ানো মাজরা ও পাতা হলুদে রোগ। পোকার আক্রমণে দিনদিন পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে। এতে ধানের ফলন নিয়ে চিন্তিত কৃষকরা। ধান রক্ষার কোনো উপায় না পেয়ে দিশেহারা তারা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ৪ হাজার ৯শত হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল প্রায় ৪ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, আর কয়েক দিন পরে গাছে ধানের শীষ আসার কথা। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে পোকার আক্রমণ। ধানগাছ প্রথমে হলুদ ও পরে শুকিয়ে বাদামি রং ধারণ করছে। কীটনাশক ছিটিয়েও কোনো ফল পাচ্ছে না কৃষকরা। ফসলের মাঠজুড়ে এখন শুধু পোকা আর পোকা। পোকার হাত থেকে ফসল রক্ষায় বাজারে পাওয়া কীটনাশক জমিতে ছিটিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। আমনের ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। দ্রুত পোকা দমন করতে না পারলে এবার রোপা আমন উৎপাদন ব্যাহত হবে বলে আশংকা প্রকাশ করেন কৃষকরা।
করাব ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের কৃষক সবুজ মিয়া জানান, তার প্রায় ৩ বিঘা জমিতে পোকা আক্রমণ করেছে। কীটনাশক স্প্রে করেও এই পোকা দমন করা যাচ্ছে না। এ যাবত তিনবার কীটনাশক স্প্রে করা হয়েছে। প্রতিবার স্প্রে করতে বিঘা প্রতি প্রায় সাত-আটশ’ টাকা করে খরচ হচ্ছে। তার মতো একই ইউনিয়নের করাব গ্রামের কৃষক ভিংরাজ মিয়া, ফুলতৈল গ্রামের গোপাল চন্দ্র দেব, মনতৈল গ্রামের মালেক মিয়া, বুল্লা ইউনিয়নের বেগুনাই গ্রামের আব্দুল ওয়াহাব, গোয়াকাড়া গ্রামের আয়ুব আলীসহ অনেকেই জানালেন তাদের জমিতে পোকার আক্রমণের কথা। তারা বলেন, ঋণ নিয়ে এবার আমন ধান চাষ করেছেন অনেকে। ধান বের হতে না হতেই পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এই পোকা ধান গাছের পাতা খেয়ে বিবর্ণ করে ফেলছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অমিত ভট্রাচার্য্য বলেন, ধান গাছের হলুদ বর্ণ রোধে ও পোকার আক্রমণ থেকে ধানগাছ রক্ষায় কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। পোকা দমনে ধান ক্ষেতে পার্চিং পদ্ধতির ব্যবহার নিশ্চিতকরণে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদুল হাসান মিজান বলেন, সম্প্রতি ধান ক্ষেতের পাতা মোড়ানো ও মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছিল। তবে বর্তমানে পোকার আক্রমণ কিছু কমে আসছে। আমরা কৃষকদেরকে উঠান বৈঠকসহ বিভিন্ন ভবে পরামর্শ দিয়েছি ধান ক্ষেতে সময় মতো সঠিক ভাবে কীটনাশকের ব্যবহার করার জন্য বলছি।