বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন
হাজার প্রকল্পে ইইএফের ১৬২৪ কোটি টাকা ঋণ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ১২:১৩:৫২ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : ইক্যুইটি এন্ট্রারপ্রেনারশিপ ফান্ড (ইইএফ) থেকে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক হাজারের বেশি প্রকল্পে ১ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তহবিলের ঋণে গড়ে ওঠা প্রকল্পে প্রায় ৫৬ হাজার জনের স্থায়ী ও মৌসুমি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, আইসিটি শিল্প এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তিক শিল্প প্রকল্পে বিনিয়োগ বাড়াতে ২০০০-২০০১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে প্রাথমিকভাবে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের মাধ্যমে সম মূলধন উন্নয়ন তহবিল (ইইএফ) গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংকে ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত আগস্ট পর্যন্ত অর্থ মন্ত্রণালয় এ তহবিলে ২ হাজার ২২৫ কোটি টাকা ছাড় করেছে।
এদিকে, গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইইএফের আওতায় ১ হাজার ৯২৩টি খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তিক প্রকল্পে ৩ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা এবং ১৪০টি আইসিটি প্রকল্পে ২১৮ কোটি টাকার সহায়তা মঞ্জুর করা হয়েছে। তবে ওই সময় পর্যন্ত ৯৩৪টি খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তিক প্রকল্পে ১ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা এবং ১০৫টি আইসিটি প্রকল্পে ১৩৫ কোটি টাকা অর্থাৎ মোট ১ হাজার ৩৯টি প্রকল্পে ১ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের এ সহায়তার অর্জন ত্বরান্বিত করতে ২০১৮ সালে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তিক এবং আইসিটি খাতের জন্য ইক্যুইটি মডেলের পরিবর্তে ইইএফের আওতায় এন্ট্রারপ্রেনারশিপ সাপোর্ট ফান্ড (ইএসএফ) নামে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। সংশোধিত নীতিমালার আওতায় উদ্যোক্তারা মাত্র দুই শতাংশ সুদে চার বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ সহজ শর্তে ঋণ পাচ্ছেন।
এতে আরও বলা হয়, ইইএফ সহায়তার মাধ্যমে কৃষিভিত্তিক ও আইসিটি প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে এ যাবত প্রায় ৫৬ হাজার লোকের স্থায়ী ও মৌসুমি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। কৃষিভিত্তিক প্রকল্প বাস্তবায়নে গ্রামীণ অর্থনীতিতে উন্নয়ন হয়েছে। আইসিটি প্রকল্পগুলো থেকে উৎপাদিত বিশ্বমানের সফটওয়্যার দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যবহƒত হওয়ার পাশাপাশি রপ্তানিও হচ্ছে।
কয়েক বছর আগে ইইএফ থেকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে নানা রকম চাতুরীর তথ্য পাওয়া যায় বাংলাদেশ কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের বিশেষ নিরীক্ষায়। বিভিন্ন পর্যায়ের জালিয়াতি নিয়ে নানা সমালোচনার মুখে ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ইইএফের জন্য আবেদন নেওয়া বন্ধ ছিল।