শায়েস্তাগঞ্জে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকালে পাথর নিক্ষেপ ও হামলা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৪৯:০৬ অপরাহ্ন
![শায়েস্তাগঞ্জে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকালে পাথর নিক্ষেপ ও হামলা শায়েস্তাগঞ্জে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকালে পাথর নিক্ষেপ ও হামলা](https://sylheterdak.com.bd/wp-content/uploads/2021/01/sylheterdak-5-768x406.jpg)
শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ের পরিত্যক্ত কলোনীতে অবৈধ বসবাসকারীদের বাসা থেকে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এসময় অবৈধভাবে বসবাসরত কর্মচারীদের হামলার শিকার হয়েছেন বিদ্যুৎ কর্মকর্তাসহ রেল কর্মচারীরা। গত সোমবার সকাল ১০টা থেকে দিনব্যাপী এ অভিযান চালানো হয়। বসবাসকারীদের অভিযোগ- তারা প্রতি মাসেই রেল কর্মকর্তাদের ৫শ’ থেকে ১হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল দিয়ে থাকেন। তারপরও কেন তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলো। একারণে প্রতিবাদ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কলোনির বাসা দখল করে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে আবাসিক ও ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করে আসছে। ফলে এসব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় আখাউড়া থেকে আগত রেলওয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন।
স্থানীয়রা জানান, আখাউড়া রেলওয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ। শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মচারী-কর্মকর্তা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে হাজার হাজার টাকা উত্তোলন করে নেয়।
আখাউড়া রেলওয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের এসএসএই ইলেকট্রিক কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান খান জানান, রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সারাদেশের ন্যায় শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন এলাকা থেকে রেলওয়ের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযান চালানো হয়। বিচ্ছিন্ন করা অবৈধ বৈদ্যুতিক ক্যাবল ও জব্দকৃত মালামাল রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করার চেষ্টা চালানো হয়।
তিনি আরো জানান, এসময় রেলওয়ে অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীরা তাদের ঘেরাও করে জব্দকৃত ক্যাবল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এ পরিস্থিতিতে কর্মকর্তারা রেল পুলিশ ফাঁড়িতে আশ্রয় নেন। পরে জব্দকৃত তারগুলো ঢাকাগামী জয়ন্তিকা ট্রেনে ওঠানোর সাথে সাথে বাইরে থেকে এলোপাতাড়ি পাথর নিক্ষেপ করে জব্দকৃত মালামাল ছিনিয়ে নেয়। এতে ট্রেনে থাকা ট্রেনের ৩জন স্টাফ, বিদ্যুৎ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান খানসহ কয়েকজন আহত হন।
পাথর নিক্ষেপের ফলে ট্রেনের পাওয়াকারের মেইন সুইচ পাথরের আঘাতে ভেঙে গেলে ট্রেনটি থেমে যায়। পরে পাওয়ারকার সচল হলে ট্রেনটি পুনরায় ছেড়ে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় রেলওয়ে প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।