জগদীশপুর চা বাগানে কাঠের ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে তিন যুগ পার
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ১:২৮:১৫ অপরাহ্ন
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর চা বাগানে ঝুঁকিপূর্ণ একটি কাঠের সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করছে। সেতুটি ভেঙে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নড়বড়ে কাঠের সেতুটি কিছুদিন পর পরই শ্রমিকরা জোড়া তালি দিয়ে কোন রকম সচল রেখেছে। সেতুটি পাকা না হওয়ায় চা বাগানে উৎপাদিত চা সরাসরি পরিবহন করা সম্ভব হচ্ছে না। সেতুটি নির্মাণের জন্য বাগানবাসীরা কয়েক বছর ধরে দাবি তুলে আসলেও সেতুটি পাকাকরণ হয়নি। রাজনৈতিক নেতারা নির্বাচন এলেই সেতু পাকা করতে শ্রমিকদের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
জগদীশপুর ইউপি সদস্য ও বাগান শ্রমিক সন্তোষ মুন্ডা জানান, কাঠের এই সেতু দিয়ে যুগ যুগ ধরে চা বাগানের লোকজনসহ হাজার হাজার মানুষ চলাচল করছে।
তিনি আরো জানান, সেতুটি পাকা করতে আমরা বিমান প্রতিমন্ত্রীর নিকট একাধিকবার দাবি তুলেছি। মন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন সেতুটি অচিরেই পাকা হয়ে যাবে। কিন্তু এখনও বাস্তবায়নের কোন লক্ষণ নেই। কাঠের সেতু দিয়ে চা বাগানের কোন মালামাল পরিবহন করা সম্ভব হচ্ছে না। সেতুটি এখন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। লোকজন উঠলেই নড়াচড়া করে। যে কোন সময় সেতুটি ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বাগান সভাপতি নরেশ কৈরি জানান, সরকার দেশের অনেক উন্নয়ন করে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য কাঠের সেতুটি যুগ যুগ ধরে পাকা করা হচ্ছে না। এ নিয়ে সাধারণ শ্রমিকদের মধ্যে অনেক ক্ষোভ রয়েছে। সরকার কম গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সেতু করে কিন্তু আমাদেরটি করা হয়নি। কাঠের সেতুটি বাগানের নিজস্ব অর্থায়নে ৩৩ বছর আগে তৈরি করা হয়। বৃষ্টিতে ভিজে কাঠ পচে আবার নষ্ট হয়ে যায়। জোড়াতালি দিয়ে সেতুটি এভাবে টিকে রয়েছে। ভাঙা সেতুর কারণে চা বাগানের মালামাল সরাসরি কারখানায় নেয়া সম্ভব হয় না। এছাড়া বাগানে উৎপাদিত চা পাতা বাগান থেকে সরাসরি পরিবহন করা যাচ্ছে না। সেতুটি পাকা করা হলে জগদীশপুর, লেবামারা, রসুলপুর গ্রামের লোকজন সহজেই চলাচল করতে পারতো।
বাগানের ব্যবস্থাপক ফকির লিমন আহমেদ জানান, সরকার মাধবপুরে অনেক সেতু, রাস্তা পাকা করে যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নতি করেছে। কিন্তু অতি গুরুত্বপূর্ণ কাঠের সেতুটি পাকা করলে চা শিল্প বিকাশ এবং জনগণের অনেক উপকার হতো।
মাধবপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নূর মামুন জানান, সেতুটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। এটি নির্মাণের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু এটি এখনো টেন্ডারে যায়নি।