রেকর্ড ছাড়িয়েছে আলু পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ৪:২০:৩৭ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : দিন দিন দাম বাড়ছে নিত্যপণ্যেও দাম। কয়েক মাসের ব্যবধানে বাজারের সব থেকে কম দামের খাদ্যপণ্যটি এখন চোখ রাঙাচ্ছে। আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে আলুর দাম। দেড় মাস আগেও ৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া আলুর কেজি এখন স্থানভেদে ৬০-৭০ টাকা। যা সরকার নির্ধারিত দামের দ্বিগুণ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে আলুর বার্ষিক চাহিদা ৮৫-৯০ লাখ টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ১১২ কোটি টন আলু উৎপাদিত হয়। তবে, কোল্ড স্টোরেজে আলু সংরক্ষণে ঘাটতি এবং বীজের জন্য আলু প্রয়োজন হওয়ায় আরো আলু উৎপাদন প্রয়োজন। আলুর উৎপাদন কম হওয়া নিয়ে কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন উদ্বেগ প্রকাশ করলেও সরকার এই বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি বলে অভিযোগ।
এদিকে, অস্থিরতা চলছে পেঁয়াজের বাজারে। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩৫-৪০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। যা গত ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ৮০-৯০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করে দেয়ায় মাত্র দুই দিনেই পণ্যটির বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, ভারতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির প্রভাব দেশের বাজারে পড়েছে। রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধি করেছে ভারত। আগে ২০৫ মার্কিন ডলারে পেঁয়াজ আমদানি হলেও বর্তমানে ভারত সরকার সেটি বাড়িয়ে ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে। এতে করে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে প্রতি কেজিতে খরচ পড়বে ৮৮ টাকা।
অথচ বাজার নিয়ন্ত্রণে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভোক্তা পর্যায়ে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৬৪-৬৫ টাকা এবং আলু ৩৫-৩৬ টাকা নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু সরকারি সংস্থা মাঠে নামিয়েও নির্ধারিত সেই দাম বাজারে কার্যকর করা যায়নি। উল্টো দেড় মাস পরে বেঁধে দেওয়া দামের দ্বিগুণ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ ও আলু।
এদিকে, বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় সরবরাহ বাড়াতে এবং দাম স্থিতিশীল রাখতে আলু আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।