অবরোধের প্রথম দিন অতিবাহিত
সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে ড্রাম ফেলে অবরোধ, বাসে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০১ নভেম্বর ২০২৩, ৬:০৪:২৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটসহ বিভাগের চার জেলায় বিএনপি- জামায়াতের ডাকে সর্বাত্মক অবরোধের প্রথম দিন অতিবাহিত হয়েছে। বিচ্ছিন্ন দু একটি ঘটনা ছাড়া কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সিলেট মহানগরীসহ জেলা সদর থেকে দূরপাল্লার কোন বাস ছেড়ে যায়নি। অবশ্য রেল চলাচল ছিল স্বাভাবিক। সিলেট -ঢাকা মহাসড়কে পিকেটিংকালে পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় যুবদল কর্মী জিলু আহমদ দিলুর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে যুবদল। অবরোধে সিলেট নগরী থেকে তিনজন, সুনামগঞ্জে ১০ জনসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে বিভিন্ন স্থানে বাসে আগুন দেয়ার চেষ্টারও খবর পাওয়া গেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ৩ দিনের জন্য সিলেটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সমন্বয়ের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। হবিগঞ্জের বাহুবলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। মৌলভীবাজারেও অবরোধে পিকেটিং করেছে অবরোধ সমর্থকরা।ঁড়লু
গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ সুরমার তেতলি এলাকায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে ড্রাম ও গাছ ফেলে ‘পিকেটিং’ করেন অবরোধকারীরা। খবর পেয়ে দ্রুত থানা পুলিশ গিয়ে সড়কের প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে দেয়। এসময় গাড়ি ভাঙচুরেরও ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন দিনার ও মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসানের নেতৃত্বে তেতলি-লালাবাজারসহ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পিকেটিং করা হয়। এছাড়া সকাল থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীরা সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের অতির বাড়ি এলাকায় অবস্থান নেয়। এসময় তারা সড়কে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকে। গাড়ি দেখতে পেলেই ধাওয়া দিচ্ছে। এসময় পুলিশের সাথে অবরোধকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সকাল ৮টার দিকে দক্ষিণ সুরমার গালিমপুর এলাকায় চান্দাইমুখীর রাস্তার মুখে বাইপাস সড়কে যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় গাড়িটিতে ভাঙচুরও চালান তারা। তবে বাসের যাত্রীরা গাড়ির টায়ারে লাগা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে পিকেটাররা পালিয়ে যান। সকাল সাড়ে ৯টায় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের লালারগাঁও এলাকায় একটি পিকআপ ভাঙচুর করে অবরোধকারীরা।
অন্যদিকে, ১০টার দিকে দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুলে একটি বাসে আগুন দেয়ার চেষ্টা করেছে অবরোধকারীরা। সাথে সাথে পুলিশ চলে আসলে তারা পালিয়ে যায়। অন্যদিকে সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোন বাস ছেড়ে যায়নি। কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে যায়নি কোন বাস। নগরীতে মানুষের উপস্থিতিও ছিল কম। সিএনজিচালিত অটোরিকশা, নিত্যপণ্যবাহী ও ব্যক্তিগত গাড়ি সীমিত পরিসরে চলতে দেখা গেছে।
সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন বলেন, যাত্রী নেই, তাই সিলেটে কোনো বাস চলছে না। তাছাড়া পথে বের হলে গাড়ির ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে, তাই পরিবহন শ্রমিকরা গাড়ি নিয়ে বের হতে চাচ্ছেন না।
অপরদিকে মঙ্গলবার সকালে সিলেটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে। সিডিউল অনুযায়ী সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল করেছে। সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মো. নুরুল ইসলাম জানান, সিলেটের সঙ্গে সারাদেশেরে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে। নির্ধারিত সময়ে ট্রেন আসা-যাওয়া করছে। এছাড়া উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ৩ দিনের জন্য সিলেটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সমন্বয়ের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কোনো ধরনের নাশকতা বা বিশৃঙ্খলা পরিলক্ষিত হলে অথবা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোনো মতামত থাকলে মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের সেল ফোন নাম্বার হচ্ছে- ০১৯৭৯ ০৬৭৪৫৪।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দোহা জানান, মানুষের সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ প্রস্তুত আছে। কেউ নাশকতার চেষ্টা করলে দ্রুত তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশেষ করে মহাসড়ক ও রেলপথের নিরাপত্তায় বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, সকালে পিকেটিংকালে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অপরদিকে, সিলেট মহানগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ মিলনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে সিলেট মহানগরীর বনকলাপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে এসএমপির বিমানবন্দর থানা পুলিশ।
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মঈন উদ্দিন সিপন জানান, আব্দুল ওয়াদুদ মিলনকে গাড়ি ভাঙচুর মামলায় গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, আমরা সফলভাবে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছি। সকাল থেকেই আমাদের নেতা-কর্মীরা মাঠে আছে। সাধারণ জনগণও এই অবরোধ কর্মসূচিতে সায় দিয়েছেন। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে আমাদের নেতা-কর্মীরা অবরোধ কর্মসূচি পালনে মাঠে রয়েছে। দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে, মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার ফেরাতে আমাদের আন্দোলন চলবে।
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে মহাসড়কে টহল অব্যাহত আছে। মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। অবরোধকারীদের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন কিছু ধাওয়ার ঘটনা ছাড়া সিলেটে এখন পর্যন্ত কোনো বড় ধরনেরে ঘটনা ঘটেনি।
আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট:
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সুনামগঞ্জেও বিএনপি জামায়াতের ডাকে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার জেলা যুবদলের সভাপতি আবুল মনসুর শওকতসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সকাল সাড়ে নয়টায় পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া অন্য নেতারা হলেন- বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, রাখাব উদ্দিন, ইকবাল হোসেন, তৌহিদ চৌধুরী, ইজাজুল হক চৌধুরী, শামছুল হক, সাকিব মুন খোকন, আবুল হাসান রাসেল ও হেনু মিয়া।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন মিলন বলেছেন, দলীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থানের সময় পুলিশ বিএনপির ১০ গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে গ্রেফতার করেছে।
অপরদিকে, সুনামগঞ্জ থেকে দূরপাল্লার কোন বাস ছেড়ে যায়নি। অবরোধকারীরা বিভিন্ন স্থানে পিকেটিং করে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছিল কঠোর অবস্থানে।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃত নেতারা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলার আসামি। তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি জানান, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তিনদিনের অবরোধের প্রথমদিনে হবিগঞ্জে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার সকালে বিএনপির নেতাকর্মীরা হবিগঞ্জ-ধুলিয়াখাল বাইপাস সড়কে টায়ারে আগুন ধরিয়ে অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ ধাওয়া দেয়। এদিকে, বাহুবল উপজেলার মিরপুর বাজারে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৯টায় ভাদৈ এলাকায় কয়েকজন যুবক রাস্তা অবরোধ করে টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ও ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তারা পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাস্তার আগুন নিভিয়ে দেয়। পরে তাদের ধরতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা মিরপুর বাজারে মহাসড়ক অবরোধ করে। পুলিশ সেখানে গেলে তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করে। পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে।
মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি জানান, মৌলভীবাজারে ঢাকা-সিলেট আন্তঃমহাসড়ক অবরোধ করে রাখে বিএনপি ও এর সহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মৌলভীবাজারের অংশের বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সড়কে অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
এতে নেতৃত্ব দেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ুন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সভাপতি ও মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জ্বলসহ নেতৃবৃন্দ। এছাড়া মৌলভীবাজার থকে দূরপাল্লার কোন বাস ছেড়ে যায়নি।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ুন বলেন, আমরা এখন চূড়ান্ত আন্দোলন সংগ্রামে আছি। অভীষ্ট লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। সফল না করে আমরা ঘরে ফিরবো না। মামলা হামলা নির্যাতন করে বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মীকে রাজপথ থেকে সরানো যাবে না।
দক্ষিণ সুরমা : দক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধি জানান, বিএনপি, জামায়াতের দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি পালনের অংশ হিসেবে প্রথম দিন গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ সুরমার সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের তেতলী, অতিরবাড়ি, সাতমাইল, বাইপাস সড়ক, হুমায়ুন রশীদ চত্বরসহ বিভিন্ন স্থানে পিকেটিং করার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অবরোধকারীরা সড়কে গাছ, ড্রাম ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ অবরোধকারীদের ধাওয়া দিতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ারগ্যাস ছুঁড়ে। পুলিশকে লক্ষ করে অবরোধকারীরা ইট নিক্ষেপ করে। অবরোধকারীদের ধাওয়া দিতে সাজওয়া যানও ব্যবহার করা হয়। পুলিশ, সিআরটি, র্যাব, বর্ডার গার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য এসময় কঠোর অবস্থানে ছিল। এ সময় অবরোধকারী ৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। অবরোধকারীরা হুমায়ুন রশীদ চত্বরে ঢাকা মেট্রো খ ১২-৭৭৩১একটি কার ও অতিরবাড়ি এলাকায় ঢাকা মেট্রো ন ১৯-৪৫৮১ একটি পিকাআপ ভ্যান ও দুইটি বাস ভাঙচুর করে। এদিকে, তেতলী এলাকায় এক যুবদল নেতা অবরোধ চলাকালীন সময়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে চন্ডিপুলে দক্ষিণ সুরমা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বিএনপি জামায়াতের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান।
জৈন্তাপুর : জৈন্তাপুর (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, দেশব্যাপী বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের আহবানে ডাকা ৭২ ঘণ্টা অবরোধের ১ম দিন গতকাল মঙ্গলবার জৈন্তাপুরে শান্তিপূর্ণভাবেভাবে পালিত হয়েছে। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সিলেট-তামাবিল-জাফলং মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ ছিল। তবে, বিচ্ছিন্নভাবে কিছু মালবাহী ট্রাক চলাচল করতে দেখা গেছে। বেলা ২টার দিকে দরবস্ত-কানাইঘাট রাস্তার সিলেট জাফলং সড়কে সিলেটের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মাহফুজা আক্তার শিমুল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শেখ সেলিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু সুফিয়ান, কানাইঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অলক কান্তি শর্মা, জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: তাজুল ইসলাম পিপিএম প্রমুখ।