পাকিস্তানের কাছে হেরে বাংলাদেশের বিদায়

স্পোর্টস ডেস্ক ঃ ৩৩তম ওভারের তৃতীয় বল। সাকিবের কাছ থেকে রিজওয়ানের নেওয়া সিঙ্গেল পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করে। টানা ৪ ম্যাচ হারার পর অবশেষে জয়ের মুখ দেখলো পাকিস্তান। সেমিফাইনালের স্বপ্নটা এখনো টিকে থাকল তাদের। অন্যদিকে, খাতা-কলমে যে সম্ভাবনাটুকু ছিল বাংলাদেশের, সেটিও শেষ হয়ে গেল এ হারে। বাকি ২ ম্যাচ জিতলেও বাংলাদেশের পয়েন্ট ৬-এর বেশি হবে না। কিন্তু এরই মধ্যে কমপক্ষে ৮ পয়েন্ট আছে ৪টি দলের। ফলে সেমিফাইনালের দৌড় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছিটকে গেল বাংলাদেশ। কলকাতায় আগে ব্যাটিং করে শুরুতেই চাপে পড়ার পর লিটন ও মাহমুদউল্লাহর জুটির লড়াইয়ে ২০৪ রান তুলতে পেরেছিল বাংলাদেশ। আরেকটি একপেশে লড়াইয়ে বাংলাদেশ ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে। লক্ষ্য টপকাতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ১২৮ রান এনে দেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও ফকর জামান। ইনিংসের ২২তম ওভারে ৬৮ করা শফিককে ফেরালেও ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি বাংলাদেশ। মিরাজ অবশ্য বল হাতে কিছুটা চাপ তৈরি করতে পেরেছিলেন, শফিকের পর ফেরান ৯ রান করা বাবর ও ৮১ রান করা ফখরকে। ১৬৯ রানে ৩ উইকেট হারানো পাকিস্তানের খেলা শেষ করেন মোহাম্মদ রিজোয়ান ও ইফতেখার আহমেদ।

রিজওয়ান ২৬ ও ইফতেখার ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন। এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের টপ অর্ডার দাঁড়াতেই পারেনি। ২৩ রানের মধ্যে ফিরে যান তানজিদ হাসান (০), নাজমুল হোসেন (৪) ও মুশফিকুর রহিম (৫)। চতুর্থ উইকেটে লিটন দাস ও মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ৭৯ রান আসে এই জুটি থেকে। লিটন আউট হন ৪৫ রান করে। এরপর মাহমুদের সঙ্গে সাকিব আল হাসানের ২৮ রানের জুটি। স্বপ্নের এক ডেলিভারিতে মাহমুদকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান শাহীন শাহ আফ্রিদি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। খানিক পর ৭ রানে আউট হন একাদশে ফেরা তাওহিদ হৃদয়। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে সাকিবের ৪৫ রানের জুটিতে ২০০ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ৪৩ রান করেন সাকিব ও মিরাজ আউট হন ২৫ রানে। ৪৫ ওভার ১ বলে ২০৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের তারকা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ৯ ওভারে মাত্র ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন।