স্বাধীন ফিলিস্তিন ও আরব লীগ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০২ নভেম্বর ২০২৩, ১:৪০:১৩ অপরাহ্ন
অ্যাডভোকেট আনসার খান
১৯৪৪ সালের আলেক্সজান্দ্রিয়া প্রোটোকলের আলোকে ১৯৪৫ সালের ২২ মার্চ আরব অঞ্চলের ছয়টি রাষ্ট্র- মিসর, ইরাক, সৌদি আরব, লেবানন, সিরিয়া এবং ট্রান্স জর্ডান এর সমন্বয়ে ‘আরব লীগ’ নামক আঞ্চলিক জোট গঠিত হয়েছিলে। বর্তমানে এর সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা ২২-টি। এই ২২-আরব রাষ্ট্রের মোট আয়তন ১,৪১,৩২,৩২৭ বর্গ কিলোমিটার এবং বর্তমানে মোট জনসংখ্যা প্রায় ছয়শ মিলিয়ন এবং মোট জিডিপি প্রায় ৭.১ ট্রিলিয়ন ডলার। এই জোটের অর্থনীতি প্রধানত তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানি ও পর্যটন শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। আরব লীগের দেশ, সৌদি আরব, ইরাক, আরব আমিরাত, কুয়েত তেল উৎপাদনকারী দেশ ‘ওপেকের’ সদস্য।
এশিয়া এবং আফ্রিকা মহাদেশজুড়ে বিস্তৃত বিশাল এই ভূমির বেশির ভাগই মরুভূমি। তবে উর্বর ভূমির পরিমাণও নেহায়েত কম নয়। এক-ই সাথে পাহাড়-পর্বত, নদী-খাল-নালা, গভীর গহন জঙ্গল, সাগর-মহাসাগর ইত্যাদি তিনটি ‘জি’ তথা জিওপলিটিক্যাল(ভূ-রাজনৈতিক), জিওস্ট্র্যাটেজিক্যাল(ভূ-কৌশলগত) এবং জিও ইকোনোমিক (ভূ-অর্থনৈতিক) অবস্থা বিবেচনায় আরব লীগের মর্যাদা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ওই তিন-জি এর বিশেষত্বের জন্যই আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক শক্তি হিসেবে আরব লীগের গুরুত্ব অনেক বেশি হওয়ার কথা। কেননা ভৌগোলিক অবস্থান আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রগুলোর সম্পর্কের ক্ষেত্রে বড়ধরণের প্রভাব রাখে বলে মনে করা হয়। কৌশলগত রাজনীতি ও সামরিক বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষকগণ বলেন, কোনো রাষ্ট্রই পররাষ্ট্র সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণ ও এর কার্যকরতার জন্য ভৌগোলিক অবস্থানকে অস্বীকার করতে পারেনা। যেমন তৎকালীন জার্মান রাষ্ট্রনায়ক বিসমার্ক মন্তব্য করেছিলেন ১পররাষ্ট্র নীতিতে ভৌগোলিক অবস্থানের প্রভাব অপরিবর্তনীয়।’ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী উধাঁঃড়ময এর মতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপন ও নির্ধারণে ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান দুটি কারণে মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ। ১. আন্তর্জাতিক সংকট ও যুদ্ধের ক্ষেত্রে ফান্ডামেন্টাল এবং ২. এটি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের পূনর্বিন্যাসের ক্ষেত্রে একটি নির্ধারক ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে।
ভূ-রাজনৈতিক, ভূ-কৌশলগত এবং ভূ-অর্থনৈতিক অবস্থান বিবেচনায় মধ্যপ্রাচ্যের আরব ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলো গুরুত্বপূর্ণ স্হানে অবস্থান করছে। ১৯৪৭-৪৮ সালের তুলনায় বর্তমানে মুসলিম দেশগুলো রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামরিক ও ভৌগোলিক দিক দিয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী অবস্হানে আছে। ওই দেশগুলোর তেল-গ্যাসের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল বৃহৎ শক্তিগুলো। জনসংখ্যা, আদর্শবাদীতা, প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যতা, কৌশলগত অবস্থান বিবেচনায় মুসলিম দেশগুলো আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পাওয়ার এ্যাক্টর হিসেবে ভূমিকা পালন করতে সক্ষম। তবে সামরিক শক্তি হিসেবে বিশ্বমানের হয়ে ওঠতে পারেনি মুসলিম রাষ্ট্রগুলো। ইসরায়েল, উত্তর কোরিয়ার মতো দেশগুলো পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হতে পারছে, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীনের মতো দেশগুলো চোখ বন্ধ করে থাকায়। অথচ ইরান যখন পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদন করতে চায়, তখন ওই বৃহৎ শক্তিগুলো বাধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আরব লীগ নামক আঞ্চলিক জোটটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কার্যকর তেমন কোনো ভূমিকা পালন করতে পারেনি নিজেদের মধ্যে, বিশেষকরে, ইরাক ও মিসরের মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে শুরু থেকেই সংকট সৃষ্টি হওয়ায় এবং পাশাপাশি শীতল যুদ্ধের সময়কালে যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যকার আদর্শগত মতভিন্নতার কারণে আরব লীগের সদস্য দেশগুলোর মধ্যেও গভীর বিভাজন এবং অনৈক্য তৈরি হয়েছিলো, যেটি আরব লীগের কার্যক্রমকে স্হবির ও বাধাগ্রস্থ করেছিলো এবং এর প্রভাব এখনও রয়েছে। আরবের ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে স্হায়ী অনৈক্য এবং পারস্পরিক অবিশ্বাস ও শত্রুতা এখনও বিদ্যমান রয়েছে।
আরব লীগভূক্ত রাষ্ট্র সহ বিশ্বের মুসলিম দেশগুলো ইসরায়েলের সঙ্গে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক, বানিজ্যিক সহ কোনোপ্রকারের সম্পর্ক বা যোগাযোগ স্থাপন না করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিলো। কিন্তু মুসলিম দেশগুলো সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেনি। দুর্ভাগ্যবশত ইসরায়েলকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম মুসলমান প্রধান দেশ ছিলো তুরস্ক। আরব লীগভূক্ত মিসর, জর্ডান, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ইত্যাদি অনেক গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সর্বপ্রকার সম্পর্ক স্থাপন করেছে। সৌদি আরবও সম্পর্ক স্হাপনের পাইপলাইনে আছে। অথচ ফিলিস্তিনী মুসলমানদের জন্য কিছুই করছে না ইসলামী ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলো। এই যে গত সাত অক্টোবরের পর থেকে গাজায় মুসলমানদের ওপর ইসরায়েলীরা বর্বর সামরিক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, হাজারো মুসলমানদের হত্যা করেছে, তাদের বাস্তুচ্যুত করেছে, গোটা গাজাকে মুসলমানদের জন্য একটি উম্মুক্ত কারাগার ও কনসেনট্রেশান ক্যাম্প বানিয়ে ফেলেছে, সেইসব দূর্ভাগা মুসলমানদেরকে ইসরায়েলী বর্বরতা থেকে রক্ষা করার জন্য কোনো মুসলিম ও আরব লীগের রাষ্ট্র এগিয়ে আসেনি ইসরায়েলীদের বর্বরদশা থেকে মুক্ত করার জন্য। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের ও এর মিত্ররা সামরিক শক্তি নিয়ে ইসরায়েলকে সহযোগিতা দিয়ে চলেছে। কিন্তু ফিলিস্তিনের প্রতি সংবেদনশীল ও বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত চীন, রাশিয়া, ইরানের মতো দেশগুলো সামনে এসে প্রকাশ্যে ফিলিস্তিনীদের রক্ষার জন্য দৃশ্যমান কোনো ভূমিকা পালন করছে না।
আরব লীগের কিছু সংখ্যক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিত্রতা এবং কিছু দেশ সোভিয়েত ইউনিয়নের আদর্শের প্রতি ঝুঁকে পড়ায় জোটের মধ্যে গভীর বিভাজন সৃষ্টি হয়। ফলে আরব লীগ সমন্বিত ঐকমত্যের ভিত্তিতে জোটটির পররাষ্ট্র নীতি, অর্থনৈতিক নীতি বা প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সক্ষম হয়নি। এইসব কারণে মূলত আরব লীগ তার যাত্রার শুরুতেই সমস্যার মুখোমুখি হয়, যদিও জোটটি আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যায়নি, কিন্তু প্রচুর সূযোগ ও সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আরব লীগ একটি শক্তিশালী জোট হিসেবে আঞ্চলিক বা বিশ্বরাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠতে পারেনি বা ভূমিকা পালন করতে পারেনি তাদের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা এবং মতানৈক্যজনিত কারণে। তাই আরব লীগ প্যালেস্টাইন সংকট নিয়েও সম্মিলিতভাবে একক কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি। গাজায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা ও বর্বরতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আরব লীগ কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি ওই একই কারণে।
আরব লীগ তার প্রতিষ্ঠাকালীন এজেন্ডায় বলেছিলো, ফিলিস্তিনের ইহুদি সম্প্রদায়কে প্যালেস্টাইনের ভূমিতে স্বাধীন একটি ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা থেকে বিরত রাখা হবে। কিন্তু ফিলিস্তিনে ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা রুখে দিতে সক্ষম হয়নি আরব লীগ। বরং স্বাধীন ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলেও ফিলিস্তিনের মুসলমানরা নিজ ভূমিতে পরবাসী হয়ে আছেন। স্বাধীন ফিলিস্তিন আলোর মূখ দেখেনি সাত দশকের পরেও।
১৯৪৭ সালেই জাতিসংঘের গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী হাজার বছরের ফিলিস্তিনী বসতি তথা ভূখন্ডটি বিভক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের স্বীকৃতি নিয়ে ১৯৪৮ সালে ইহুদিদের জন্য ইসরায়েল নামক স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। উল্লেখ্য যে সোভিয়েত ইউনিয়নের তৎকালীন প্রতিনিধি আন্দ্রে গ্রোমিকো প্যালেস্টাইন ভূখ-ে ইহুদি ও ফিলিস্তিনী মুসলমানদের সমঝোতার ভিত্তিতে একটি একক ইসরায়েল রাষ্ট্র অথবা সমঝোতা না হলে ইহুদিদের জন্য একটি স্বাধীন ইসরায়েল রাষ্ট্র এবং ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন জাতিসংঘে এবং তার ওই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ১৯৪৭ সালের ২৯ নভেম্বর সাধারণ পরিষদের ভোটে দ্বি-রাষ্ট্র প্রস্তাব পাস হয়েছিলো। প্যালেস্টাইন ভূখ- ভাগ করে ইহুদি রাষ্ট্র গঠনের জন্য ৫৫ শতাংশ এবং ফিলিস্তিনী মুসলমানদের জন্য ৪৫ শতাংশ ভূমি বরাদ্ধ রাখা হয়েছিলো। ফিলিস্তিনের মুসলমানরা এই বিভক্তি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা সত্ত্বেও ইসরায়েল স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছিলো ১৪ মে ১৯৪৮ সালে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন ইসরায়েলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বসে ফিলিস্তিনের মুসলমানদের সাথে কোনো ধরনের সমঝোতার চেষ্টা না করেই।
ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছিলো আরব লীগের প্রথম ব্যর্থতা। কারণ তাদের সনদের অঙ্গীকার ছিলো প্যালেস্টাইনে কোনো ইহুদি রাষ্ট্র গঠন করতে দেওয়া হবে না। কিন্তু ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অথচ ফিলিস্তিন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি এখনও। অধিকন্তু আরব লীগ এবং মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর অনেকে ইসরায়েলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছে।
আরব লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সনদে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর নেতারা সামরিক বিষয়ে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছিলেন, যা ১৯৫০ সালের একটি চুক্তির মাধ্যমে শক্তিশালী করা হয়েছিলো যাতে সদস্য রাষ্ট্রগুলো আরব লীগের সদস্য নয় এমন অন্য যেকোনো রাষ্ট্রের আক্রমণ বা আগ্রাসনের শিকার হলে আরব লীগের সকল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে বিবেচনা করে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগ্রাসন মোকাবেলা করবে মর্মে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলো। ফিলিস্তিন আরব লীগের সদস্য হওয়ায় ১৯৪৮ এবং ১৯৬৭ সালে সংঘটিত দুটি আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে আরব লীগের এজেন্ডার আলোকেই আরবের কয়েকটি রাষ্ট্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলো, যদিও দুটো যুদ্ধেই আরব রাষ্ট্রগুলো পরাজিত হয়েছিলো। আর্থিক, সামরিক বাহিনীর ও যুদ্ধ সরঞ্জামের দূর্বলতা, পাশাপাশি সোভিয়েত ইউনিয়ন সহ বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর পক্ষ থেকে কাঙ্ক্ষিত সহায়তা না পাওয়ায় আরবদেশগুলোকে যুদ্ধে পরাজিত হতে হয়েছিলো।
বর্তমানে গাজায় ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযান থেকে মুসলমানদের রক্ষা করার জন্য, মুসলমানদের জন্য স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথমত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধরত সকল দল ও গ্রুপকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং একটি একক কমান্ডে সর্বসম্মতভাবে গ্রহনযোগ্য একজন নেতাকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বেছে নিতে হবে। স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধরত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি সংগঠন, হামাস ও ফাতাহ, এই দুটি সংগঠনের মধ্যে ঐকমত্য স্থাপন করে সামনে আগাতে হবে। মনে রাখা দরকার যে, আন্তর্জাতিক সমর্থন ছাড়া আচমকা এবং অতর্কিতে হামলা করে বা রকেট হামলা করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র আদায় করা প্রায় অসম্ভব।
বর্তমানে জাতিসংঘের স্বীকৃতি প্রাপ্ত পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষে ‘ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ’ এর সঙ্গে সমন্বয় করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াই এগিয়ে নিতে হবে। নতুবা হঠাৎ হামলা সন্ত্রাসী কর্মকা- হিসেবে চিহ্নিত হবে, যা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যুদ্ধকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে। ফিলিস্তিনীদের মধ্যে ন্ন্যুতম জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় আরব লীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
সূত্র : বিবিসি নিউজ, রয়টার্স, উইকিপিডিয়া, গ্লোবাল কনফ্লিক্ট ট্যাকার, আরব লীগের ওয়েবসাইট।
লেখক: আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষক