গোলাপগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে চিরনিদ্রায় শায়িত
দিলু হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে বিএনপি

গোলাপগঞ্জ (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা: সিলেটে মঙ্গলবার অবরোধের সময় পিকেটিংকালে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালানোর সময় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত গোলাপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য জিলু আহমদ দিলু হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে বিএনপি।

গতকাল বুধবার (১ নভেম্বর) বাদ আছর গোলাপগঞ্জ উপজেলার ইলাইগঞ্জ বাজারে জানাজাপূর্ব সমাবেশে বক্তারা এ দাবি করেন। জানাজার পূর্বে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী ও বিএনপি নেতা ফয়সল আহমদ চৌধুরীসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

এ সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, ঘটনার সময় লালাবাজার এলাকায় যুবদলের সমাবেশ চলছিল। এ সমাবেশে পুলিশ ধাওয়া করে। মোটর সাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের ভ্যানের আঘাতে আহত হন জিলু। এ সময় তাকে মারধর করা হয় বলে তাদের অভিযোগ। তাই, বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে জিলু হত্যার রহস্য উদঘাটনের দাবি জানান তারা।
বুধবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে জিলুর লাশ গ্রহণ করেন বিএনপি নেতারা। পরে অ্যাম্বুলেন্সযোগে তার লাশ গোলাপগঞ্জ নিয়ে যাওয়া হয়। বাদ আছর গোলাপগঞ্জের ইলাইগঞ্জ বাজারের মুক্তা মিয়া মার্কেটের সামনে জিলুর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও এলাকার বিপুল সংখ্যক লোক অংশ নেন। পরে তার গ্রামের বাড়ি দক্ষিণ মদনগৌরীতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) অবরোধ চলাকালে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে পিকেটিং করছিলেন জিলুসহ যুবদলের কয়েকজন নেতাকর্মী। এসময় পুলিশ ধাওয়া করলে মোটরসাইকেলযোগে যুবদল নেতাকর্মীরা পালানোর চেষ্টা করেন। পুলিশের ভাষ্য, পালানোর সময় গাছের সাথে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হন জিলু। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বেলা ১টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহত জিলু গোলাপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ মদনগৌরী গ্রামের এলাইছ মিয়ার ছেলে ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।