শিক্ষার উদ্দেশ্য ও প্রত্যাশা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০২ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৬:০৪ অপরাহ্ন
আফতাব চৌধুরী
প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি হওয়ার আগেই আমরা শুনেছি ‘লেখাপড়া করে যে গাড়ি-ঘোড়া চড়ে সে।’ বড় হয়ে দেখলাম, লেখাপড়া তেমন না করেও অনেকে গাড়ি-ঘোড়া চড়ছেন। বাড়ি-গাড়ির মালিক হয়েছেন। মাছের মধ্যে দেখতে যেটি বড় সেটিকে বলা হয় বড় মাছ। দেখতে যেগুলো ছোট সেগুলোকে বলে ছোটমাছ। কিন্তু মানুষের মধ্যে যার আকৃতি বড়, সে বড় মানুষ না-ও হতে পারে। পক্ষান্তরে, দেখতে ছোট কিন্তু পকেটে বান্ডিল বড়, সেও বড় মানুষ হতে পারে। সহজ কথায়, ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স যার যত বেশি, তিনিই তত বড় মানুষ হিসাবে সমাজে গণ্য হন। এসব তথাকথিত বড় মানুষ প্লেনে চড়ে যখন-তখন যে কোনও জায়গায় যেতে পারেন। বাজার থেকে বড় মাছ, তাজা মাংস, ক্ষীর, পনির সবই এরা কিনে খেতে পারেন। অন্যদিকে, বিদ্বান ব্যক্তি সমাজে সম্মান পান ঠিকই। তবে বেকার বিদ্বানের সম্মান কতটুকু, সে কথা সবাই জানেন।
সেদিন এক স্কুলে একটি ছাত্র টিফিন টাইমে ছুটি নিতে এসেছিল। আমি বিশেষ কারণে তখন ঐ স্কুলে গিয়েছিলাম-কথা বলছিলাম হেড মাষ্টারের সঙ্গে। হেড মাষ্টার বললেন, ঘন ঘন তুই ছুটির দরখাস্ত নিয়ে আসিস কেন? বাড়িতে তোর কী এমন কাজ? আমি তোকে দু’টো ট্রান্সলেশন জিজ্ঞেস করব। উত্তর দিতে পারলে ছুটি পাবি। বল, ‘আমি তাকে চিনি’ এই বাক্যটির ইংরেজি ট্রান্সলেশন কী হবে? ছাত্রটি বলল, ‘আই সুগার হিম।’ প্রধান শিক্ষক বললেন, তোমার মাথা আর আমার মন্ডু। পাশে বসা ছিলেন এক জুনিয়র শিক্ষক। তিনি বললেন, স্যার ওকে বকবেন না। আপনার দ্বিতীয় ট্রান্সলেশনটা এবার ওকে জিজ্ঞেস করুন। প্রধান শিক্ষক প্রশ্ন করলেন, ‘অবিবাহিতা মেয়ে নীচে দাঁড়িয়ে আছে’ এই বাক্যটির ইংরেজি ট্রান্সলেশন কী হবে? ছাত্রটি মাথা চুলকে বলল, পারব না স্যার। প্রধান শিক্ষক বললেন একটু চিন্তা করে দেখ। ছেলেটি হঠাৎ লাফিয়ে উঠে বলল, পারব স্যার। ‘অবিবাহিতা মেয়ে নীচে দাঁড়িয়ে আছে’ এই বাক্যটির ইংরেজি ট্রান্সলেশন হলো-‘মিস আন্ডার স্ট্যান্ডিং’। মিস মানে অবিবাহিতা মেয়ে। আন্ডার শব্দের বাংলা হলো নীচে। আর স্ট্যান্ডিং মানে হলো দাঁড়িয়ে আছে। প্রধান শিক্ষক এবার হো হো করে উচ্চহাস্যে ফেটে পড়লেন। পাশে বসা সেই জুনিয়র শিক্ষকও হাসতে হাসতে বললেন, আপনি আরও জোরে হাসুন স্যার।
নতুন শিক্ষা পদ্ধতিকে বলা হয় ‘জয়ফুল লার্নিং’। মানে, আনন্দের মাধ্যমে শিক্ষা দান । ছাত্রটির ইংরেজি ট্রান্সলেশন শুনে আপনি যেভাবে উচ্চগ্রাসে হেসে উঠেছেন, একেই বলে ‘জয়ফুল লার্নিং ’। এই জয়ফুল লার্নিংয়ের সঙ্গে ‘জয়ফুল ডান্সিং’ করতে পারলে আরও ভাল। কর্তা গোঁসাই গেয়ে থাকেন, ‘গোলাপ নেচে নেচে আয়।’ গোলাপের মতোই নেচে নেচে আমরা এখন পড়াব। ক্লাসে সিনেমার ভিলেনের মতো রুক্ষ মুখ বানিয়ে এখন আর পড়ানো চলবে না। বকাবকি করলে সেটা হবে ‘মেন্টাল টর্চার’। মানে মানসিক অত্যাচার। আর বেত্রাঘাত করলে আইনের চোখে দন্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে। চালের বস্তার গায়ে লেখা থাকে ‘স্টোন ফ্রি রাইস’। মানে, পাথরশূন্য চাল। আমাদেরও হতে হবে ‘এঙ্গার ফ্রি টিচার।’ অর্থাৎ, রাগশূণ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা। ক্লাসে পড়ালেখা কম হচ্ছে না বেশি হচ্ছে, সেটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। মিড-ডে মিল ঠিকমতো সার্ভ করা হচ্ছে কিনা, স্কুল প্রধান হিসাবে সেটাই আপনি দেখবেন। মিড-ডে মিল খেয়ে আপনার যথেষ্ট বয়স হয়েছে স্যার। সামনেই আপনার রিটায়ারমেন্ট। এখন এই বয়সে ‘মডার্ন’ সিস্টেম অব এডুকেশন’ পুরোপুরি রপ্ত করা আপনার পক্ষে সম্ভব নয়। তবুও চাকরির বাকি দিনগুলোতে ঠিকঠাকভাবে মিড-ডে মিল চালিয়ে যান। কবি বলেছেন-
‘কি গাইব আমি/কি শোনাব আমি/ আজি এ আনন্দধামে।’শোনা যায়, কোনও কোনও স্কুলে নাকি কচিকাঁচারা স্কুলে বসার সঙ্গে সঙ্গে ওই সুরেই গেয়ে থাকে- ‘কি খাব আমি/ কি খাওয়াবে তুমি/ আজি এ বিদ্যানিকেতনে।’
পত্র-পত্রিকা খুললে প্রায়ই দেখা যায়, কোনও কোনও স্কুলে মিড-ডে মিল ঠিকমতো পরিবেশন করা হচ্ছে না। অভিযোগের আঙুল উঠে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তাই আমার অনুরোধ, আপনি সব বিতর্ক, সব অভিযোগের ঊর্ধ্বে থাকবেন স্যার। আপনাদের আমলের পুরনো একটি গান নিশ্চয় আপনার মনে আছে। গানের কলিগুলো হলো- ‘যা রে যাবে যদি যা/ উষার দুয়ার খুলে দিয়েছি।/ যা কিছু কথা ছিল/ বলে দিয়েছি। যা-রে যাবে যদি যা।’
ওই গানটির সুরেই অনেক প্রধান শিক্ষক তথা প্রধান শিক্ষিকা নাকি দুপুরবেলা গেয়ে থাকেন- ‘খা-রে খাবে যদি খা/ খিুচড়ি রান্না করে দিয়েছি।/ যা কিছু ঢেলে দেওয়ার/ ঢেলে দিয়েছি।/ খা-রে খাবে যদি খা/ পেঁয়াজ রসুন ছুলে দিয়েছি/ খা-রে খাবে যদি খা।’
অতঃপর সেই জুনিয়র শিক্ষক আরও বললেন, স্লো লার্নারদের ‘স্পিডি লার্নার’ হিসাবে এগিয়ে দিয়ে যেতে হবে। এই যুগ হলো জেটযুগ। এখন সর্বত্র জেট বিমানের গতিতে পড়ালেখা চলছে। প্রাচীনকালে গরুর গাড়ির মতো শম্বুক গতিতে পড়ালেখা করলে এখন আর চলবে না। ওরা অনেক পিছিয়ে যাবে। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। অনেকদিন আগের কথা। রাঙামাটির কোনও এক গ্রাম থেকে চট্টগ্রামে এসেছিলেন একজন লোক। রাঙামাটিতে ট্রেনলাইন নেই। তাই তিনি জীবনে কোনও দিন ট্রেন দেখেননি। তখন ছিল কয়লার ইঞ্জিনের যুগ। কে একজন তাকে বলে দিয়েছিলেন, ‘নীচের দিকে পানি পড়ে, উপর দিকে ধোঁয়া ওড়ে’ দেখলেই বুঝবে ওটা ট্রেন। সেই লোকটি চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে গিয়ে ট্রেন দেখবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন। চট্টগ্রামের এক গলির ভিতর যেতে যেতে তিনি দেখলেন, একজন লোক মাটিতে হাঁটু মুড়ে বসে প্রস্রাব করছে। তার ঠোঁটের জ্বলন্ত বিড়ি থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। আর যায় কোথায়। ওকেই ট্রেন ভেবে সোজা ওই মানুষটির কাঁধে তিনি চেপে বসলেন। নীচের লোকটি চেঁচিয়ে বলল, কোন শালা আমার কাঁধে চেপেছে? আমার ঘাড় ভেঙে যাচ্ছে। উপরের লোকটি বললেন, আমি তো ট্রেনে চেপেছি ভাই। ছোটবেলায় সঠিক শিক্ষা না হওয়াতে ট্রেন সম্পর্কে তার কোনও ধারণা জন্মেইনি। তাছাড়া, সে যুগে টিভি এ ধরনের লার্নার তৈরি হলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরই বদনাম। ছাত্র-ছাত্রীরা সামনাসামনি প্লেন দেখুক কিংবা না দেখুক, ট্রেন দেখুক বা না দেখুক, সব বিষয়ের উপর তাদের লেটেস্ট নলেজ থাকতে হবে। এজন্য প্রয়োজন আধুনিক যন্ত্রপাতির। চাই প্রজেক্টর। চাই ইন্টারনেট এবং আরও অনেক কিছু যার খুবই অভাব গ্রামাঞ্চলে।
আগেকার দিনের লেখাপড়ার সঙ্গে এ কালের পড়ালেখার বিস্তর ব্যবধান আছে। সে-কথা সবাই স্বীকার করেন। কেউ কেউ মনে করেন, পুরোনো শিক্ষাপদ্ধতিই ভাল ছিল। অন্য কেউ মনে করেন, নতুন শিক্ষাপদ্ধতি ভাল। শিক্ষা যুগোপযোগী হওয়া চাই, এ কথা অনেকেই বলেন। তবে বেত্রাঘাত হলো শেষ অস্ত্র। এরপর আর কোনও অস্ত্র শিক্ষার্থীদের উপর প্রয়োগ করা যায় কি? শিক্ষাবিদ উসমান গনি বেত্রাঘাতের বিরোধী ছিলেন। তাঁর লেখা পড়লেই সে কথা জানা যায়। তিনি লিখেছেন, একদিন এক স্কুলের শিক্ষক এক ছাত্রকে বেত্রাঘাত করেছিলেন। ছেলেটি অতঃপর স্কুল থেকে পালিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে এলো। ওর মা জিজ্ঞেস করলেন, কি হয়েছে বাছা? ছেলেটি বলল, শিক্ষক তাকে বেত্রাঘাত করেছেন। এই কারণে সে আগামীকাল থেকে স্কুলে যাবে না। ওর মা বললেন, তুই কাঁদিস না বাপধন। তুই ঘরে থাক। আমি এখনই যাচ্ছি। স্কুলে গিয়ে শিক্ষককে সোজাসুজি প্রশ্ন করব, কেন তিনি তোকে মারলেন? এই বলে সেই ভদ্রমহিলা হনহন করে স্কুলের দিকে ছুটলেন। স্কুলে পৌছে তিনি সেই শিক্ষককে প্রশ্ন করলেন, কেন মেরেছেন আমার ছেলেকে? শিক্ষক বললেন আপনার ছেলেটা পড়াশোনায় ভীষণ গাধা। ওকে মানুষ করার জন্য আমি মেরেছি। ভদ্রমহিলা তখন উচ্চস্বরে বললেন, মারপিট করলে যদি গর্দভ মানুষ হয়, তা হলে ওর বাপ কেন আজও মানুষ হলো না? হাতা-খুন্তিতে বলুন, লাঠি-ঝাড়–তে বলুন, কিছুতেই আমি কসূর করি না বলুন শিক্ষক, এত মারপিট খেয়েও আমার ছেলের বাপ কেন মানুষ হলো না?
স্লো লার্নারদের কথা আগেই বলা হয়েছে। প্রশ্ন হলো, স্লো লার্নারদের ‘ফাস্ট লার্নার’ বানানো যায় কীভাবে? কাকেই বা বলব স্লো লার্নার? একদিন এক ছাত্র দুপুর বারোটার সময় বইপত্র নিয়ে স্কুলে হাজির হয়েছিল। প্রধান শিক্ষক রেগে গিয়ে বললেন, এখন কেন এসেছিস? দুপুর বারোটা বেজেছে। এই তোর স্কুলে আসার সময়? বেরিয়ে যা স্কুল থেকে। ছেলেটি বলল, স্যার, পড়ে গিয়েছিলাম আর লেগে গিয়েছিল। প্রধান শিক্ষক এবার মায়ামিশ্রিত সুরে প্রশ্ন করলেন, কোথায় পড়েছিলি? কোন জায়গায় তোর লেগেছে? ছাত্রটি বলল, সকালে ভাত খেয়ে বিছানায় পড়ে গিয়েছিলাম আর ঘুম লেগে গিয়েছিল।
এ দেশে শিক্ষা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। কোনও পদ্ধতি মন্দ, এখনও বোধহয় শিক্ষাবিদরা নির্ধারণ করতে পারেননি। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা মাঝে-মাঝে বিদেশে যান। বিদেশে গিয়ে ফাস্ট লার্নারদের পড়াশোনার অগ্রগতি বোধহয় তারা দেখেন। তারপর স্বদেশে ফিরে এসে আমাদের স্লো লার্নারদের ফাস্ট করার ব্যাপারে সরকারকে বোধহয় তারা পরামর্শ দেন। কেউ কেউ বলেন, স্লো লার্নার-ফাস্ট লার্নার বলে ক্যাটাগরি যখন আলাদা করা হচ্ছে, তখন স্লো টিচার-ফাস্ট টিচার চিহ্নিত করা হবে না কেন? একই সঙ্গে স্লো গার্জিয়ান নির্ধারণ করা হবে না কেন? গণতন্ত্রে মত প্রকাশ করার অধিকার প্রত্যেকের আছে। কেউ কেউ এও বলেছেন, স্লো লার্নার-ফাস্ট লার্নার নিয়ে আলোচনা পরে হবে। প্রথম প্রয়োজন, সরকার প্রদত্ত পাঠ্য বইয়ের যে অজস্র বানান ভূল, সেগুলো সংশোধন করা। সেদিন এক ভদ্রলোকের বাড়িতে গেলাম। আগের কোনও পরিচয় ছিল না তার সঙ্গে। কলিং বেল টিপতেই এক বয়স্ক লোক দরজা খুলে বললেন, ‘গার্লিক গার্লিক, সেভেন্টি এইট্রি।’ শব্দগুলো বলে তিনি ভিতরের কোঠায় চলে গেলেন। আমি বোবা হয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে রয়েছি। একটু পরে সেই প্রশ্ন করলাম, আপনার ওই ‘গার্লিক, সেভেন্টি এইট্টি’ কথাগুলোর মানে কী? ভদ্রলোকটি বললেন, ওই ইংরেজি বাক্যের বাংলা হলো, ‘বসুন বসুন সত্বর আসি’ আমি বললাম, গার্লিক মানে বসুন। আপনি দু’বার গার্লিক উচ্চারণ করেছেন মানে বসুন বসুন। সেভেন্ট্রি মানে সত্তর। আর এইট্টি মানে আশি। ওই ভদ্রলোকটি বললেন, আমি যে নোটবই থেকে ছোটবেলা শব্দগুলোর বাংলা শিখেছি, সেখানে লেখা ছিল, ‘গার্লিক মানে বসুন। সেভেন্ট্রি মানে সত্বর। আর এইট্টি মানে আসি।’ আমি বললাম, ছাপার ভুলে রসুন হয়েছে বসুন। সত্তর হয়েছে সত্বর। আশি হয়েছে আসি। আমি তাকে বললাম, এ রকম আর কাউকে বলবেন না। নইলে লোকে হাসি-ঠাট্টা করবে। এখন প্রশ্ন হলো, ছাত্র-ছাত্রীরা যদি এ রকম ভুল বানান শিখে, তাহলে কি শুধু ছাত্র-ছাত্রীর ক্ষতি? না, ক্ষতি শুধু ছাত্র-ছাত্রীর নয়। ক্ষতি এই সমাজের, এই দেশের। উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা নিজের লাভের কথা বেশি ভাবলে দেশের ক্ষতি তো হবেই। আজকের ভূল শিক্ষা এই প্রজন্ম তথা আগামী প্রজন্মকেও শেষ করে দিতে পারে। ভূপিন্দরের একটি গানে আছে- ‘কবে যে কোথায় / কী যে হল ভুল। / জীবন জয়ায় / হেরে গেলা।’
কোনও এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক এক ছাত্রের প্রোগ্রেস রিপোর্ট লিখে নীচে মন্তব্য লিখলেন, ‘মাননীয় অভিভাবক মহাশয়, আপনার ছেলের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল হওয়ার কথা। শুধুমাত্র খারাপ দিক হলো এই যে, সে দিনের বেশিরভাগ সময় মেয়েদের সঙ্গে আড্ডা-ইয়ার্কি মারতে ভালবাসে। আমি তার এই বদ অভ্যাসগুলো ছাড়াবার কৌশল চিন্তা করছি। সফল হলে আপনাকে জানাব।’ এই রিপোর্ট কার্ডটি ছাত্রটির মায়ের হাতে এলো। ছাত্রের মা প্রোগ্রেস রিপোর্ট পড়ে অভিভাবকের মন্তব্য কলামে লিখলেন, ‘যদি আপনি সফল হন স্যার, তবে সেই কৌশলটা দয়া করে আমাকে জানাবেন। আপনার আবিষ্কৃত কৌশলটা আমি আমার ছেলের বাপের উপর প্রয়োগ করব।’
সাংবাদিক-কলামিস্ট ।