যাকে নৌকা দেওয়া হবে, তার জন্য কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ৫:১৪:৩৬ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি গতকাল রোববার বিকেলে নরসিংদী জেলার নবনির্মিত ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার (জিপিইউএফএফ) উদ্বোধন উপলক্ষে মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে এক বিশাল জন সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এ আহ্বান জানান। নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগ এ মহাসমাবেশ আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে জনসভায় উপস্থিত লাখো জনতা ২ হাত উঁচিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার শপথ নেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ এগিয়ে যাবে। তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যাকেই নৌকা প্রতীক দেওয়া হবে, তার জয়ের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ২০১৩-২০১৪ সালের মতো ফের নির্বাচন বানচাল করতে অগ্নিসন্ত্রাস করছে। প্যালেস্টাইনে নির্মম হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। হাসপাতালে বোমা মেরে ইসরাইল মানুষ খুন করছে। বিএনপিও ইসরায়েলের মতো অ্যাম্বুলেন্সে আক্রমণ করছে।
শেখ হাসিনা অগ্নিসন্ত্রাসীদের ধরতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, তাদের হাতের নাগালে পেলে তাদেরই দেওয়া আগুনে ফেলে দিতে হবে। যাতে তাদের শিক্ষা হয়।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার সময় নভেম্বর মাস। কিন্তু খালেদা জিয়া চান না দেশের মানুষ শিক্ষিত হোক। চাইলে তিনি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময় অবরোধ ও হরতাল দিতেন না। জনগণের সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগ করতেন না। অবশ্য তাদের সামনে আসার সাহস নেই। এজন্যই তারা পালিয়ে থেকে অ্যাম্বুলেন্সে হামলা করে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালায়। পুলিশ ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে। তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। অবশ্য বিএনপি যুগ যুগ ধরেই এই সন্ত্রাস করছে।
এ সময় সরকারপ্রধান আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাসের সমালোচনা করেন। তিনি জানতে চান, অবরোধ দিয়ে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা বন্ধ করে বিএনপি কীভাবে সরকার হটাবে? তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলনে মানুষের সমর্থন নেই। চোরাগুপ্তা হামলা করে সরকারের পতন ঘটানো যায় না।
নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম তালেব হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা কাজী মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় জনসভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মির্জা আজম, মেহের আফরোজ চুমকি প্রমুখ।
জনসভায় যোগ দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী নরসিংদীর ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন কর্তৃক নবনির্মিত ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানাটি দক্ষিণ এশিয়ার সর্বৃবৃহৎ সার কারখানা। ১১০ একক জমির ওপর এই সার কারখানাটি নির্মাণে ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানাটির উদ্বোধন উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করেন।
জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলমের উপস্থাপনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোনাজাত পরিচালনা করেন কালেক্টরেট মসজিদের ইমাম হাফেজ মওলানা মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুন।