বালুচরে ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা মামলায় প্রধান আসামী কাউন্সিলর নিপু
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২২ নভেম্বর ২০২৩, ৯:৩৩:০০ অপরাহ্ন

অনলাইন ডেস্ক : সিলেট নগরীর টিবি গেইট এলাকায় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় নিহত আরিফের মা আখি বেগম বাদি হয়ে বিমানবন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের ৩৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপুকে।
বিমানবন্দর থানার ওসি মঈন উদ্দিন সিপন জানান, বুধবার সন্ধ্যায় নিহত আরিফের মা টিভিগেইট ছড়ারপাড় এলাকার ফটিক মিয়ার স্ত্রী আখি বেগম বাদি হয়ে থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন।
এদিকে হত্যাকান্ডের পর পুলিশ হিরণ মাহমুদ নিপু গ্রুপের দুই কর্মীকে আটক করে। তারা হলেন বালুচর সোনারবাংলা এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে রনি (২১) ও বালুচরের কামাল মিয়ার ছেলে মামুন মজুমদার (২৮)। মামলার এজহারে ওই দুইজনের নামও রয়েছে।
ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জের ধরে গত সোমবার রাত ১২টার দিকে টিভিগেইট এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ আহমদকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে সড়কে ফেলে যায় দৃবৃত্তরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রাত ১টার দিকে আরিফ মারা যান। সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান মো. শামসুল ইসলাম গণামধ্যমকে জানিয়েছেন, নিহত আরিফের দুই পায়ের ঊরুর পেছনের দিকে, গোড়ালিতে ও হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিলো। শরীরে ২০টি সুচালো ও ধারালো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এতে রক্তনালি কেটে যাওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত আরিফ ছাত্রলীগের কোনো পদে না থাকলেও জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নাজমুল ইসলামের সঙ্গে রাজনীতি করতেন। আরিফের বাবা ফটিক মিয়া ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালান।